সম্পর্ক আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। আলৌকিক বিশ্বাসে আস্থা না থাকলে যা দেখলেন তা স্বপ্ন বলে মনে হতে পারে। বাড়াবাড়ি রকমের স্বপ্ন। কেননা, আপনি রাতের বেলায়ই আকাশ জুড়ে সূর্য দেখছেন! কিনবা দিনের বেলায়ই দেখছেন একটা নয়, দুই-দুটু সূর্য!
রুপকথা কিংবা কল্পবিজ্ঞানের ভিন কোন গ্রহের কথা ভাবছেন? আপনার সব ভাবনাকে এবার সত্যিকার পার্থিক বস্তু করে তুলবে এসব ঘটনা। আমাদের পৃথিবী থেকেই এই বছর (২০১১) যে কোন সময় এমন দৃশ্য সৃষ্টি হতে যাচ্ছে।
মাত্র ৬৪০আলোকবর্ষ দূরে কালপুরুষ নক্ষত্রপুঞ্জের দ্বিতীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র 'বিটলজেস' আমাদের এই হতভম্ব করা দৃশ্য উপহার দেবে। মহাবিশ্বের অসম্ভব ব্যাপ্তির হিসাব-নিকাশে ৬৪০ আলোকবর্ষ খুব বেশি দূরত্ব নয়। বলা যায়, আমাদের ঘরের পাশে। এমন একটি রকেট, যা গতি সেকেন্ডে দেড় লাখ কিলো। মিটার, তাতে করে পাড়ি জমালে এই নক্ষত্রের কাছে পৌঁছুতে প্রায় ১২৮০ বছর পার হয়ে যাবে।
এই 'বিটলজেস' নক্ষত্র এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে। আর তাতে করে এই অতি-দানব লাল নক্ষত্র সমস্ত জ্বালানি নিঃশেষ করে ভেঙে পড়তে যাচ্ছে নিজের ভেতরে। ভেঙে পড়ার সেই বিস্ফোরণের আলো প্রবল ভাবে উজ্জ্বল করে তুলবে লক্ষত্রটিকে। তবে তা খুবই ক্ষণস্থায়ী। আমাদের হিসাবে কয়েক মাসের স্থায়ীত্ব হলেও মহাকালের হিসাবে তা খুবই নগণ্য।
ঘটতে যাচ্ছে মহাজাগতিক অতিবিরল সুপারনোভা। নক্ষত্রের সুপারনোভায় পরিণত হওয়া ঘটনা খুব বিরল নয়, তবে তা আমাদের এত কাছের কোন নক্ষত্রের ক্ষেত্রে এটা অতি বিরল বটে। সুপারনোভা-যা বাংলা করলে অর্থ দাড়ায় 'অতি নবতারা', আসলে তা 'অতি অন্তিম তারা', সূর্যের চেয়ে বৃহৎ কোন নক্ষত্রের চূড়ান্ত পরিণতি। কালপুরুষের যে দ্বিতীয় উজ্জ্বল নক্ষত্রটি (সব নক্ষত্রের ঔজ্জ্বল্যের তুলনায় নবম) এখন আকাশের দ্বিতীয় সূর্য হতে যাচ্ছে, এটি কয়েক মাস পর মনে হতে পারে বিরান শ্মশান। অষ্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রাড কার্টার বলেন, 'এই আসন্ন ঘটনা নিয়ে এখন শুধু একটি বিতর্কই বাকি-ঠিক কখন ঘটবে ঘটনাটি।
' বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতে পৃথিবীর ভয়ের কিছুই নেই। সূত্র: দ্য মেইল, পিটিআই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।