আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩২তম বিসিএসঃ মৌলিক মানবাধিকারের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন

I have nothing to say about me..... ৩১তম বিসিএস সবে মাত্র শেষ হলো,ভুলেভরা প্রশ্নে ছাত্রদের মন ভেঙ্গে গেছে পুরোপুরি। আর এরই মধ্যে সরকার(পিএসসি) ঘোষনা করে দিয়েছে পরবর্তি বিবিএস এর, যাকে সংক্ষেপে আদর করে বলা হচ্ছে বিশেষ বিবিএস। একে বিশেষ বিসিএস বলার অন্যতম কারন হচ্ছে, এই বিসিএস এ শুধু মাত্র অংশ গ্রহন করতে পারবে মুক্তিযুদ্বাদের পরবর্তিপ্রজন্ম। আমি আবার বলছি শুধু মাত্র সম্মানিত মুক্তিযুদ্বাদের পরবর্তিপ্রজন্ম। The constitution of People Republic Of Bangladesh এর Part3(Fundamental Rights) তে বলা হয়েছেbr /> Article-27.."All citizen's are equal before law and are entitled to equal protection of law" এখানে বলা হচ্ছে-"সকল মানুষ আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনে সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী" আর্থাৎ কোন মানুষকে আইন বড়, ছোট বা অসম্মানজনক ভাবে দেখব না তার জন্ম, বংশ, গোত্র বা অন্যান্য কারনে।

Article -28(1):-"The state shall not discriminate against any citizen on the grounds only of religion, race, caste, sex, or place of birth" অর্থাৎ -"কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্হানের কারনে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। " এবার চলুন আমরা একজন মানুষ সরকারী চাকুরীর করার ক্ষেত্রে The constitution of People Republic Of Bangladesh এর Part3(Fundamental Rights) তে কি বলা হয়েছে তা দেখিbr /> Article 29(1):- There shall be equality of opportunity for all citizens in respect of employment or office in the service of the Republic. "প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। " Article-29(2):- No citizen shall, on grounds only of religion, race, caste, sex or place of birth, be ineligible for, or discriminated against in respect of , any employment or office in the service of the Republic. "কেবল ধর্ম গোষ্ঠী বর্ণ নারী পুরুষভেদ বা জন্ম স্থানের কারনে কেন নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের আযোগ্য হয়বে না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না। " সতরাং আমরা দেখতে পাই যে, বাংলাদেশের বাংলাদেশের পবিত্র সংবিধান ও এক্ষেত্রে কোন প্রকার আপোষ করে নি, এমন কি কোন মুক্তিযুদ্ধাদের জন্যতো নই। তার পরবর্তী প্রজন্মের কথাতো বাদই দিলাম।

অমাদের পূর্বসূরিরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন শুধু মাত্র পাকিস্থানের শোষন ও বঞ্ছনা থেকে সমস্থ দেশকে এবং তাদের পরবর্তি প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য। এখন যদি দশ জন বন্ধুর মধ্যে এক জন তার বাবা বা দাদা মুক্তিযুদ্ধা হওয়ার কারনে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারবে, আর বাকিরা পারবে না। এটা কি এক শোষনের হাত থেকে বেচেঁ গিয়ে অন্য শোষনের মখোমুখি হওয়ার নামান্তর নই? তাও ঠিক হতে মক্তিযুদ্ধাদের সার্টিফিকেট গুলো নিয়ে যদি থাকতো স্বচ্ছতা!!! সরকার বদলের সাথে সাথে সার্টিফিকেট গুলোর মূল্য ও বদলে যাই। এক্ষেত্রে আমাকে অনেকে হয়তো বা ভুল বোঝতে পারেন, বলতে পারেন আমি একজন স্বাধীনতা বিরোধী, সংক্ষেপে রাজাকার ও ডাকতে পারেন। অথবা বলতে পারেন আমি মুক্তি যুদ্বাদের প্রতি যতার্থ সম্মান দেখাচ্ছিনা।

তার উত্তরে আমি বলতে চাই যে, আমাদের অনেকের দাদা , চাচারা স্বাধীনতা যুদ্ধকরেছেন, করেছেন তাদের জীবণের সবচেয়ে প্রিয় ও মূল্যবান উপাদন গুলো ত্যাগ, কিন্তু তারা যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা তখন কোন কিছুর বিনিময় চান নি। যদি সেই সময় মুক্তিযুদ্ধারা তাদের স্বার্থ নিয়ে চিন্তা করতে তাহলে, আমাদের দেশ আজ স্বাধীন হতো না , আমরা পেতাম না মুক্ত জীবনের স্বাদ। কারন হলো স্বার্থবাদীরা কখনো সফল হতে পারে না । পারে না ত্যাগ স্বীকার করতে। যাদের নিস্বার্থ ত্যাগের করনে আমরা আজ নিজেদের স্বাধীন হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে আছি, আজো যারা সত্যিকার আর্থের মুক্তিযুদ্বাছিলেন তাদেরকে এখনো আমরা নিশ্বঃ ও রিক্ত দেখতে পায়, কেনো আমরা তদের কে এই সব ছোট খাটে বিষয়ের সাথে জড়িয়ে ছোট করবো? তাই আমি এ কথা সুস্পষ্ট ভাবে বলতে চাই যে, মুক্তিযুদ্ধারা সম্মানের পাত্র, তারা কখনো তাদের কাজের প্রতিদান চান না।

প্রতিদানের জন্য তারাই ব্যাস্ত যারা মুক্তি যুদ্ধের নামে গল্প ফেদেঁ নিজেদের পকেট ভারি করছেন। সুতরাং আসুন আমরা সমস্বরে বলি, ৩২তম বিশেষায়িত বিসিএস অবৈধ এবং সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি এবং মহান মুক্তিযুদ্বে আত্মত্যাগ দানকারীদের প্রতি অসম্মান জনক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.