চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে। দেখুন, আমাদের দেশ দুর্নীতিতে ১ নম্বর। মানুষে-মানুষে হানাহানি, মারামারি, মূল্যবোধ কম, কেউ কাউকে সম্মান করতে জানি না। একজন আরেক জনের টাকা মেরে দিচ্ছি, শেয়ার কেলেঙ্কারী করে বিনিয়োগকারীদেরকে নিঃস্ব করে দিচ্ছি। চরিত্রে ইসলাম না থাকলে সংবিধানে বিসমিল্লাহ্ আর রাস্ট্রধর্ম ইসলাম দিয়ে কি হবে!!! সুইডেন-ডেনমার্ক এবং পশ্চিমা অনেক দেশে ধর্মের বালাই নাই, কিন্তু তাদের চরিত্র ঠিক আছে।
কেউ কাউকে ঠকায় না, কারো টাকা মেরে দেয় না, প্রজেক্টের টাকা পকেটস্থ করে না।
উপরের ছবিটা দেখুন, শেয়ার কেলেঙ্কারীতে এদের নাম এসেছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারীকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। সালমান এফ রহমান সাহেবের দাঁড়ি আছে, তিনি হয়ত নামাজ-কালামও পড়েন। অর্থাৎ তিনি ধার্মিকের বেশ ধরেছেন কিন্তু চরিত্র ঠিক নাই, বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে খেলাপী ঋণের সিংহভাগ তার দখলে।
তাহলে উনার দাঁড়িতে বা নামাজ-কালামে দেশ ও দশের কি লাভ হলো?? বরং ক্ষতিই হয়েছে।
সংবিধানে সম্ভবতঃ এরশাদ সাহেব বিস্মিল্লাহ্ ঢুকিয়েছিল আর রাস্ট্রধর্ম ইসলাম কে করেছিল জানি না। তো বিস্মিল্লাহ্ ঢুকানো এরশাদ সাহেবের যে দুর্নীতি ছিল তাতে তার ৫০০ বছরের জেল (সব মিলিয়ে) হতে পারে বলে শুনেছি। কিন্তু তার গুপ্তকেশের একটারও স্থানচ্যুতি ঘটে নাই। এখন আবার হাসিনা সরকার রাস্ট্রধর্ম ইসলাম আর সংবিধানে বিস্মিল্লাহ্ রেখে সংবিধান সংশোধন করছেন।
আমার কথা হলো, আওয়ামী লীগ সরকার কি এতই ইসলাম-প্রিয় হয়ে গেল যে ধর্মের বিষয়গুলো সংবিধানে রাখছে?? এগুলো কি ভোটের জন্য নয়?? তাই যদি না হবে তাহলে লিমনের ব্যাপারে এবং অন্য অনেক ব্যাপারে উনারা ইসলাম মানছে না কেন??
তাই বলি, বাংলাদেশের সংবিধানে বিস্মিল্লাহ্ আর রাস্ট্রধর্ম ইসলাম হলে কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, বা আমরা সবাই ভাল হয়ে যাব?
ধন্যবাদ সবাইকে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।