আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিমন নিরপরাধ প্রমাণিত...!!!

সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা এখন কী বলবেন? জোর গলায়, ক্ষমতার জোরে তিনি নিরীহ কলেজছাত্র লিমনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন কয়েক দিন আগে। একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা, একসময় ছিলেন ক্ষমতাশালী মেজর জেনারেল। সেই মানুষটি মানুষকে বিভ্রান্ত করার মধ্য দিয়ে যা করলেন, তা এখন কীভাবে মূল্যায়ন করবে দেশ-বিদেশের মানুষ! সেটা তারাই ভালো বলতে পারবে। দেশের সবচেয়ে বেশি পাঠকসংখ্যার পত্রিকা, যে পত্রিকার তথ্যের ওপর অন্তত সাধারণ মানুষের একটা উচ্চতর ধারণা আছে। মানুষ বিশ্বাস করে পত্রিকাটির খবর।

সেই পত্রিকাটি সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধানী খবরও ছেপেছে লিমন নিয়ে...যাকে বলে এক্সক্লুসিভ নিউজ। সেই পত্রিকার কোনো সাংবাদিককে না ডেকে সংবাদ সম্মেলন করলেন। করলেন প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিষোদগার। এতে তিনি কী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেটাও এখন মানুষ বিবেচনা করবে। পত্রিকাটির সম্পাদককে নিয়েও তিনি কড়া ভাষায় মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর সাবেক একজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তার কাছে এমনটি মানুষ আশা করে না। সোজা কথায় বললে এমনটি দাঁড়ায় যে, বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি পত্রিকা_কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনকে কিছুদিন আগে হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে অভিযুক্ত করলেন। আর উনি কিনা সেই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর পত্রিকা দুটির সাথে গলা মিলিয়ে বললেন, মতিউর রহমান ২১ আগস্ট বোমা হামলার সাথে জড়িত। মানুষ কিন্তু এখন জানতে চাইবে যে কত টাকার বিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেছেন? না হলে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরের সুযোগে তিনি মনগড়া বক্তব্য দিলেন কীভাবে? আর বললেন, এইটাই সরকারের বক্তব্য। আর ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো আরেক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, স্বরাষ্টমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমদ সিদ্দিকের বক্তব্যই সরকারি বক্তব্য!!! এখন এই দুইজন কী বলবেন? তার মানে হচ্ছে, তারা সরকারের আসলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন কি? শেষপর্যন্ত অর্থ উপেদষ্টা মশিউর রহমানও বললেন, লিমনের সন্ত্রাসী হওয়ার গালগপ্প।

অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা বললেন, লিমন হোসেনেক নিয়ে যেন তাঁর দলের কোনো নেতা-কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তা লিমনকে সন্ত্রাসী হিসেব না বলে। কেননা, সরকারের গোয়েন্দারা লিমনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে কোনো প্রমাণ পাননি। এমনকি তিনি সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে লিমনের যথাযথ চিকৎসা দেওয়ার নির্দশ দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সেই প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, সেই এইচ টি ইমাম, আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (যিনি বলেছিলেন, লিমনের ব্যাপারে তাঁর কিছুই করার নেই) এখন কী বলবেন?? শেষ পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক তাঁর আগের অবস্থান থেকে সরে এসে গড্ডলিকায় গা ভাসিয়ে দিলেন। খুয়ালেন নিজের ব্যক্তিত্বও।

কী বলবেন এখন ? বরং এখন এইটাই বলা ভালো যে জয় লিমনের জয!!!!!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।