সমাজকর্মী
এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারন দিনমজুরের ছেলে লিমন, যে ছেলেটি পরিবারের ‘নূন আনতে পান্তা ফুরায়’ এমন একটি অবস্থার মধ্যে থেকেও পড়াশুনা বন্ধ রাখেনি, কলেজের ক্লাস-পড়াশুনার ফাকে ফাকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় কাজ করে নিজের পরাশুনার খরচের পাশাপাশি পরিবারকেও সাহায্য করার চেষ্টা করতো সর্বক্ষন। সেই লিমনকে কোন কারন ছাড়াই অন্যায়ভাবে, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বে-আইনিভাবে গঠিত “র্যাব” পায়ে গুলি করে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিল। কি অপরাধ ছিল লিমনের? সুস্থভাবে বেঁচে থেকে দুবেলা দুমূঠো খাবারের জন্য সংগ্রাম করা, কষ্ট করে পড়াশুনা করে কোন একদিন পরিবারের মূখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখা, এটাই কি লিমনের অপরাধ ছিল? হয়তো তাই! তা না হলে কেন নিরপরাধ লিমনকে পঙ্গু হতে হলো, কেন পরিবারের মূখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন ভঙ্গ হলো!
লিমনকে পঙ্গু করেই ক্ষান্ত হলো না রাষ্ট্রের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী! এবার উঠে পড়ে লেগেছে তাকে একজন দাগী সন্ত্রাসী বানানোর কাজে। বাহ! এই না হলো সত্যিকারের, গর্ব করার মত আমাদের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী! আমরা এই বাহিনীকে নিয়ে গর্ব করবো না তো, সংগ্রামী লিমনকে নিয়ে গর্ব করবো!
লিমন কষ্ট করে পড়াশুনা করে তেমন কি আর হতে পারতো? তার থেকে আমাদের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, খেটে খাওয়া অতি সাধারন লিমনকে এ দেশের একজন বিখ্যাত-কূখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেছে সেটাতো বিশাল পাওয়া লিমনের জন্য। আর তাড়াতাড়ি বিখ্যাত-কূখ্যাত করার জন্যেই তো পুলিশ তড়িঘরি করে লিমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল।
বড় হিংসা হয় লিমনের জন্য, লিমন কত সৌভাগ্যবান তা না হলে কি এতো তাড়াতাড়ি চার্জশিট দিতে পারে পুলিশ! যেখানে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও হাজার-লক্ষ মামলার চার্জশিট দিতে পারে না পুলিশ, সেখানে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই চার্জশিট দিয়ে দিল পুলিশ!
লিমন আসলে বোকা, বোকা না হলে কি মামলা করতে যায় র্যাবের বিরুদ্ধে! লিমন, যেখানে র্যাব-পুলিশ দিন রাত পরিশ্রম করে তোমাকে বিখ্যাত-কূখ্যাত করার জন্য কাজ করছে, আর তুমি কি না তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করো। না না ভাই এটা তুমি ঠিক করো নাই। তুমি জানো? এই র্যাব-পুলিশের পিছনে রাষ্ট্র কত অর্থ ব্যয় করে, আর সেই ব্যয় কেন করে জানো, সবই এই তোমাকে-আমাকে বা আমদেরকে বিখ্যাত-কূখ্যাত করার জন্য, রক্ষা করার জন্য নয় (যদিও রক্ষা করারই কথা)। তুমি সৌভাগ্যবান, তাই তোমার আগেই হয়েছে। দুর্ভাবনায় আছি, কবে তোমার মত আমি কিংবা আমরাও হবো সৌভাগ্যবান!!
ঈএবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারন দিনমজুরের ছেলে লিমন, যে ছেলেটি পরিবারের ‘নূন আনতে পান্তা ফুরায়’ এমন একটি অবস্থার মধ্যে থেকেও পড়াশুনা বন্ধ রাখেনি, কলেজের ক্লাস-পড়াশুনার ফাকে ফাকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় কাজ করে নিজের পরাশুনার খরচের পাশাপাশি পরিবারকেও সাহায্য করার চেষ্টা করতো সর্বক্ষন।
সেই লিমনকে কোন কারন ছাড়াই অন্যায়ভাবে, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বে-আইনিভাবে গঠিত “র্যাব” পায়ে গুলি করে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিল। কি অপরাধ ছিল লিমনের? সুস্থভাবে বেঁচে থেকে দুবেলা দুমূঠো খাবারের জন্য সংগ্রাম করা, কষ্ট করে পড়াশুনা করে কোন একদিন পরিবারের মূখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখা, এটাই কি লিমনের অপরাধ ছিল? হয়তো তাই! তা না হলে কেন নিরপরাধ লিমনকে পঙ্গু হতে হলো, কেন পরিবারের মূখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন ভঙ্গ হলো!
লিমনকে পঙ্গু করেই ক্ষান্ত হলো না রাষ্ট্রের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী! এবার উঠে পড়ে লেগেছে তাকে একজন দাগী সন্ত্রাসী বানানোর কাজে। বাহ! এই না হলো সত্যিকারের, গর্ব করার মত আমাদের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী! আমরা এই বাহিনীকে নিয়ে গর্ব করবো না তো, সংগ্রামী লিমনকে নিয়ে গর্ব করবো!
লিমন কষ্ট করে পড়াশুনা করে তেমন কি আর হতে পারতো? তার থেকে আমাদের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, খেটে খাওয়া অতি সাধারন লিমনকে এ দেশের একজন বিখ্যাত-কূখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেছে সেটাতো বিশাল পাওয়া লিমনের জন্য। আর তাড়াতাড়ি বিখ্যাত-কূখ্যাত করার জন্যেই তো পুলিশ তড়িঘরি করে লিমনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল। বড় হিংসা হয় লিমনের জন্য, লিমন কত সৌভাগ্যবান তা না হলে কি এতো তাড়াতাড়ি চার্জশিট দিতে পারে পুলিশ! যেখানে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও হাজার-লক্ষ মামলার চার্জশিট দিতে পারে না পুলিশ, সেখানে তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই চার্জশিট দিয়ে দিল পুলিশ!
লিমন আসলে বোকা, বোকা না হলে কি মামলা করতে যায় র্যাবের বিরুদ্ধে! লিমন, যেখানে র্যাব-পুলিশ দিন রাত পরিশ্রম করে তোমাকে বিখ্যাত-কূখ্যাত করার জন্য কাজ করছে, আর তুমি কি না তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করো।
না না ভাই এটা তুমি ঠিক করো নাই। তুমি জানো? এই র্যাব-পুলিশের পিছনে রাষ্ট্র কত অর্থ ব্যয় করে, আর সেই ব্যয় কেন করে জানো, সবই এই তোমাকে-আমাকে বা আমদেরকে বিখ্যাত-কূখ্যাত করার জন্য, রক্ষা করার জন্য নয় (যদিও রক্ষা করারই কথা)। তুমি সৌভাগ্যবান, তাই তোমার আগেই হয়েছে। দুর্ভাবনায় আছি, কবে তোমার মত আমি কিংবা আমরাও হবো সৌভাগ্যবান!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।