আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচ্ছিন্ন

সৃষ্টিশীল কোন কাজ করা। মাথার উপর থেকে সূর্য সামান্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। বিল্ডিং এর ছায়ার ভিতর দিয়ে হেঁটে বাসার দিকে যেতেই মনটা কেঁদে উঠলো। সময় তার নিষ্ঠুর দা দিয়ে কাটতে কাটতে গাছ থেকেই আলাদা করে দিয়েছে। আজ চাইলেও আর পারিনা অন্যদের সাথে মন খুলে মিশতে।

রহিত হয়ে গেছে আমার মুখের ভাষা। আমি তো এমন ছিলাম না কখনও। কত সুন্দর হেসে খেলে সময় পার হয়ে যেত আমার। মনে মনে গালি দিতাম আশে পাশের মানুষদের। আসলে কি আমার আশে পাশের মানুষরাই দায়ী।

তারাও তো আমার মতই পোড় খাওয়া কোন গাছের খন্ডিত অংশ। থুরী সময়ের টানে খসে পড়েছি মহাবিশ্ব থেকে বিশ্বে। বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে, বাংলাদেশ থেকে বগুড়া, বগুড়া থেকে কালিগঞ্জে, কালিগঞ্জ থেকে সরকার বাড়ী, সরকার বাড়ী থেকে আজিজ সরকার, আজিজ সরকার থেকে সালাম সরকার, সালাম সরকার থেকে রাসেল। মায়ের মৃতুর পর ভালবাসার পরিবর্তে ভালবাসা পেতেই বেশী আগ্রহী ছিলাম। আশে পাশে তাকালে মনে হয় আমি একা হয়ে গেছি।

কোন বন্ধু-বান্ধবী নাই, মা-বাবা নাই, আত্মীয়-স্বজন নাই, মামা-মামী নাই, চাচা-চাচী নাই, সান্তনা জানানোর লোক নাই। আধুনীক জীবন আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছে। আমার মত আর কতজনের দীর্ঘশ্বাঃস দিয়ে এই আধুনীক সমাজ টিকিয়ে রাখতে হবে। আজ হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে পারছি যে মুখে না বললেও প্রায় সবারই মনের কথা একই। হারাতে চাই সবুজ ধানের জমিতে।

সাঁতার কাটতে যাব গ্রীষ্মের নদীতে। পা মেলে বটতলায় বসে মনের সুখে বাশী বাজাতে চাই। হৃদয় উজার করে ভালবাসতে চাই মানুষকে, কোন কিছুর বিনীময়ে না। কিন্তু তার পরেও মন খুলে কথা বলতে চাই। ফিরে পেতে চাই আমার মুখের ভাষাকে।

কত সুন্দর হত আমরা সবাই যদি শহুরে গাম্ভীর্য তারল্য করে মনখুলে মিশতাম একে অপরের সঙ্গে। তাহলে হয়ত এই শহরও আমাদের কাছে সুন্দর হয়ে উঠত। নিঃসঙ্গতার যাতাকলে পিষ্ঠ হতে হতো না আমার মত। নিঃসঙ্গতার কাছে টাকা পয়সাও তুচ্ছ্য হয়ে উঠে, হয়ে পড়ে মূল্যহীন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।