আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নীতি নির্ধারণী উচুপদে দলীয় লোক দেয়া হোক!

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। (প্রথমেই বলে নিই আমি কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। বাংলাদেশের রাজনীতির যা পচা অবস্থা তাতে তাদেরকে সমর্থন করার কোন মানেও হয় না। নানান দলবাজি দেখে দেখে আমার মনে যা উদয় হয়েছে তাই নিয়ে এই পোস্ট।

) সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশের জনগণ কোন দল কে ৫ বছরের জন্য দেশ চালানোর সুযোগ দেয়। এই ৫ বছর সেই দল সরকার চালায়। যেহেতু তাদেরকে সরকার চালানোর সুযোগ দিয়েছে তাই তারা সব ক্ষেত্রে দলীয় করণ করতেই পারেন। তবে এটা আমার মনে হয় আইন সঙ্গত ভাবে করলেই ভাল হয়। যেই সব সরকারী পদ নীতি নির্ধারণের সাথে জড়িত সেই সব পদে বিসিএস এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ না করে অভিজ্ঞ দলীয় লোক ৫ বছরের জন্য নিয়োগ করলে সেই দলের কর্মসূচী বাস্তবায়ন সহজ হতে পারে।

১। সচিব নিয়োগ: প্রশাসনে যুগ্ম সচিব এর উপরে কোন প্রমোশন থাকবে না। যুগ্ম সচিবরা যখন অবসরে যাবেন তখন তারা ছাত্র জীবনের রাজনীতির অভ্যাসটা আবার চাঙ্গা করবেন। তারা যেই দল করবেন সেই দল ক্ষমতায় এলে তারা অতিরিক্ত সচিব/ সচিব পদে নিয়োগ পাবেন। তারা তখন ধুমিয়ে দলের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে থাকবেন।

কারো কোন আফসোস থাকবে না। যার যার খুশী মতো "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" বা "জয় বাংলা" বলতে পারবেন। ২। জেলা প্রশাসক: এই পদে খালি বদলী করা হয়। দলীয় লোক দিলে আর বদলী করার দরকার হবে না।

ইচ্ছে মতো শাসন করতে পারবেন। ৩। ইউএনও: এই পদে এখন অনেক ঝামেলা। খালি ধমক খেতে হয়। এলাকার নেতা আর পাতি নেতারা খালি জ্বালায়।

দলীয় লোক ৫ বছরের জন্য দিলে আর ধমক খাবার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। ৪। স্কুলের হেড মাস্টার: রাজনীতি এখন স্কুলেও চলে এসেছে। তাই আগের দিনের মতো আর হেড মাস্টারী করা যায় না। তাই রাজনীতি করে দল ক্ষমতায় এলে ৫ বছরের জন্য হেড মাস্টার বানালে কত সুবিধা।

৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি: এই পদে এখনো দলীয় লোকই দেয়া হয়। তবে আইন করে নিতে পারলে ভাল হত। ৫। রাষ্ট্রদূত: দূতাবাসগুলোতে দলের সাবেক কুটনীতিকদেরকে রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দিতে পারে।

তাতে করে তারা বর্তমানের চেয়ে ভাল সেবা দিতে পারবেন। কোন ভয় থাকবে না। এখন যেমন সবাই জাতির জনক বলে বলে গলা ফাটিয়ে ফেলছেন আবার ২০১৪ সালের পর তারাই শহীদ জিয়া বলে বলে গলা ব্যথা করবেন। কিন্তু দলীয় ভাবে রাষ্ট্রদূত পদে সাবেক কূটনীতিকদেরকে নিয়োগ করলে এই সব অসুবিধা আর থাকবে না। যারা রাজনীতি করে তারা কিছু একটা পাবার আশা থেকেই করে।

তাই গুণী লোকেরা যাতে পেতে পারে তাই আমার এ প্রস্তাবনা। আরো কি কি পদে দলীয় ভাবে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে আপনার ভাবতে থাকুন। এই ফাকে আমি বাংলাদেশের পচা রাজনীতিকে কয়েকটা লাথি দিয়ে আসি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।