কোয়ান্টামের গুরুজীর এখন বোতল বোতল চৌম্বকীয় পানি পড়া বিলাচ্ছেন
তার ভক্তরা একদিন গিয়ে বোতল জমা দিয়ে আগে আস্তানাতে গিয়ে, পরের দিন নিয়ে আসে।
একজন পদার্থবিদ (গুরুজীর একনিষ্ঠ মুরীদ) আমাকে এই কথা জানালেন, কিন্তু সেই পানিপড়া কেমনে কাজ করে, সেটা বলতে পারলেন না, শুধু বললেন, গুরুজী বলেছেন, অতএব কাজ করবে।
দুইটা বোতলে পানি নিয়ে তার মাঝে একটা চুম্বক ১২+ ঘন্টা রেখে দিলে পানি চুম্বকায়িত হবে।
তো, সেই পদার্থবিদ জানালো, চুম্বকের মেরুর কারণে বোতলের পানি গুলোও দুই মেরুতে ভাগ হয়ে যাবে। (গুরুজী বলেছেন।
)
তারপর সেই পানি সকাল বিকাল খেলে আপনার অশেষ উন্নতি সাধন হবে, তবে তার আগে কোর্স করে নিতে হবে, নতুবা চুম্বকের পানি কাজ নাও করতে পারে।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, দুই বোতলের পানি যখন দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পড়বে, তবে কোন মেরুর পানি আমার জন্য উপকারী হবে?`সেটা কেমনে বুজবো?
ধরাযাক, আমার শরীরের জন্য উত্তর মেরুর পানি উপকারী, আমি যদি দক্ষিণমেরুর পানি খেয়ে ফেলি, আমার কি কোনো বিপদ হবে কিনা?
জবাব এলো, যে কোনো এক বোতল খেলেই হবে, কিংবা চাইলে ২ বোতলই খেতে পারো।
যদি দুইবোতলের পানিই খাই, তাহলে ঐ পানি তো পেটে গিয়ে মিশে যাবে, তাহলে চুম্বক দিয়ে তথাকথিত আলাদা করলাম কেন?
গুরুজীর চ্যালা নিশ্চুপ, রাগত স্বরে বলে, অবশ্যই কাজ করবে।
আমি জানিনা এইসব ভন্ডামী কবে বন্ধ হবে।
আপনারা চাইলেও এই বোতল পানি খেতে পারেন।
আমি নিয়মাবলী দিয়ে দিচ্ছি।
http://www.healingwithmagnets.com/water.htm
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।