এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০ ছোট বেলায় নানীর মুখে অনেক কিসসা (গল্প) শুনতাম। ভুতের গল্প শোনার জন্য বেশি বায়না ধরতাম। এখন কাজের ব্যস্ততার জন্য নানীর সাথে দেখা হয় না অনেকদিন ধরে। সেই কিসসা গুলো খুব মনে পড়ে। কল্পনা করুন, বাড়ির উঠানে বসে আমরা সব নাতি নাতনিরা নানীকে মাঝখানে রেখে গল্প শুনছি।
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। ওহ ভাবলেই কেমন জানি লাগে। আজ আপনাদের একটা কিসসা শুনাবো। ছোটবেলায় শুনেছিলাম। সম্পূর্ণ গল্প মনে নাই।
তাই কিছুটা পরিবর্তন করেছি। আপনি যদি এই ধরনের কোন কিসসা জানেন, তাহলে লোরকের ফেইসবুক পেইজে গিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করুন।
এক খাবার দুইবার হজম
গ্রামের সবাই তাকে হাঁদা নামে চিনে। আসল নাম অনেকেই ভুলে গেছে। সহজ সরল মানুষদেরকে নিয়ে আমরা সবাই মজা করতে ভালবাসি।
হাঁদা হচ্ছে সেই রকম সহজ সরল মানুষ। সে নতুন বিয়ে করেছে। নতুন বউকে নিয়ে তার ঘর সংসার চলছে। কেউ যখন জিজ্ঞেস করে বাসর রাতে বউ এর সাথে কি কি করেছো? সে সহজ সরল ভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেয়। হাঁদা আসলেই একজন হাঁদারাম।
গ্রীষ্মকাল। হাঁদা গায়ের হাট থেকে বড় একটা কাঁঠাল মাথায় করে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে দেখা হল আক্কাস এর সাথে যে সবসময় তকে বোকা বানায়। পথে হাঁদাকে দেখে তার মাথায় একটা বুদ্ধি ঠেকল হাঁদাকে একটু হাঁদা বানানোর জন্য। সে হাঁদাকে জিজ্ঞেস করল- ‘তোর মাথায় কিরে?’ হাঁদা উত্তর দিল- ‘ক্যান, কাঁঠাল’।
সে বলল- ‘বিচি সহ এই আস্ত কাঁঠাল খেতে পারবি?’ হাঁদা বলল- ‘বিচিসহ কাঁঠাল খাওয়া যায় নাকি?’ সে বলল- ‘যদি খেতে পারিস, তাহলে পাঁচশ টাকা দিব’। পাঁচশ টাকার লোভে হাঁদা রাজি হয়ে গেলো। অনেক কষ্টে পুরো কাঁঠাল খেয়ে ফেলল। খেয়ে ফেলার পর হাঁদার পেটে ত্রাহি অবস্থা। রাতে তার পেটে মোচর দিয়ে উঠল।
আবার এইদিকে বাতাস বইতে শুরু করেছে। যে কোন সময় ঝড় আসবে। এত রাতে বাড়ি থেকে অনেক দুরের টাট্টিখানায় যাওয়া অসম্ভব। তাই হাঁদা বাড়ির আমগাছের নিচে চলে গেল। অনেকসময় নিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে ঢুকল।
আস্ত বিচি হজম করা যায়!! তাই বিচি সহ পুপু বিসর্জন দিতে হাঁদার অনেক কষ্টই হচ্ছিল।
এই দিকে ঝড়ে হইত অনেক আম পড়েছে, তাই আম কুড়ানোর জন্য হাঁদার বউ বের হল। কিন্তু আমগাছ তলায় এসে সে তো অবাক!! অনেকগুলো পরিষ্কার কাঁঠালের বিচি পড়ে রয়েছে। কাঁঠালের বিচি দেখে সে ভাবল কোন চোর হইত কাঁঠাল চুরি করে এসে এখানে খেয়ে বিচি ফেলে গেছে। সে কাঁঠালের বিচি কুড়িয়ে নিয়ে গেলো।
কয়েকদিন পর হাঁদা দুপুরে ভাত খেতে বসেছে। কাঁঠালের বিচি দিয়ে টাকি মাছের ঝোল। খাওয়া শেষে সে তার বউ এর রান্নার অনেক প্রশংসা করল। তারপর এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করল- ‘কাঁঠালের বিচি কই পাইলা? কাঠালতো আনি নাই?’ তখন তার বউ সেই দিনের আজিব ঘটনা খুলে বলল। ঘটনা শুনে হাঁদার বমি আসার যোগার।
তখন সে তার বউকে একটি কথাই বলল- ‘বউ, আমারে এক খাবার দুইবার খাওয়াইলা?’
http://www.facebook.com/lorokbd
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।