আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চট্টগ্রামে উদ্ধারকৃত শেল নিয়ে দ্বিধায় পুলিশ

তারা বলছে, এগুলো কাঁদানে গ্যাস নাকি গ্যাস শেল (ফ্লেয়ার) তা তদন্তের পরই বোঝা যাবে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের পশ্চিম ফটকের বাঁ পাশের নর্দমা থেকে ৩৩টি শেল উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে নর্দমা থেকে একটি বাজারের থলি ভর্তি ৩৩টি শেল উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একটি খালি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এগুলো গ্যাস শেলও হতে পারে।

এগুলো কে বা কারা ফেলে গেছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে উদ্ধার হওয়া শেলগুলো একটু ‘ভিন্ন’ ধরনের কাঁদানে গ্যাস শেল বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) মীর্জা সায়েম মাহমুদ।
তিনি বলেন, পুলিশ বা বিজিবি বাংলাদেশে তৈরি কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। উদ্ধার করা শেল এর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন ধরনের। তবে এগুলো কাঁদানে গ্যাসের শেল বলেই মনে হচ্ছে।


উদ্ধার ৩৩টি শেলের মধ্যে দীর্ঘ ও স্বল্প দূরত্বে ব্যবহার উপযোগী দুই ধরনের শেল আছে জানিয়ে মীর্জা সায়েম বলেন, এগুলো ইতালির তৈরি এবং ২০১১ সালেই মেয়াদ উত্তীর্ণ।
উদ্ধার করা শেলগুলোর গায়ে লেখা-  ‘কার্তুজ- ৩৮ এমএম/সিএস। ২০০৬ সালের মে মাসে প্রস্তুত এসব শেলের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১১ সালের মে মাসে। পাশাপাশি শেলগুলোর গায়ে লট নম্বরও লেখা আছে। ’
কে বা কারা এসব শেল ফেলে গিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি জানিয়ে মীর্জা সায়েম বলেন, কি উদ্দেশ্য মেয়াদ উর্ত্তীণ শেল এখানে ফেলা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বনজ কুমার মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এগুলো কাঁদানে গ্যাসের শেল না কি অন্য কিছু তা এখনো নিশ্চিত নই।  
এগুলো পুলিশের কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের অস্ত্রাগারের তথ্য ভাণ্ডার মিলিয়ে দেখা হবে, কোথাও কোনো শেল খোয়া গেছে কি না। প্রয়োজনে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.