আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুরআন ও হাদীসে নামায প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ

_________অসৎ লোকের কর্মকান্ডে সমাজ ধ্বংস হয় না, ___________সমাজ ধ্বংস হয় ভালো মানুষের নিস্ক্রিয়তা। কুরআন ও হাদীসে নামায প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ * ব্যক্তির প্রতি মহান আল্লাহ তায়া’লার নির্দেশ ঃ واقم الصلواة طرفي النهار وزلف امن الليل-ان الحسنت يذهبن السيات-ذلك ذكرى للذاكرين- “নামায কায়েম কর দিনের দু’প্রান্ত সময় এবং কিছুটা রাত হবার পর। নিশ্চয় ভাল কাজগুলো সকল অন্যায় ও মন্দ কাজকে দূর করে দেয়। বস্তুতঃ এটা এক মহাস্মারক সেই লোকদের জন্য, যারা আল্লাহ্কে স্মরণ করতে অভ্যস্ত”। { সূরা হুদ-১১৪} * পরিবার পরিজন ও মহিলাদের প্রতি নামাযের নির্দেশ ঃ وامراهلك بالصلواة واصطبر عليها- “তোমার পরিবার পরিজনকে নামায শিক্ষার নির্দেশ দাও এবং তুমি নিজেও দৃঢ়তার সাথে পালন করতে থাক।

{ সূরা ত্বাহা-১৩২} কুরআনুল করীমে ইরশাদ হচ্ছে, يبنى اقم الصلواة وامر با لمعروف وانه عن المنكر واصبر على مااصابك ان ذلك من عزم الامور- “(লোকমান আ. বলেছিলেন) হে প্রিয় পুত্র! নামায কায়েম কর। সৎকাজের আদেশ কর, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ কর। আর যে বিপদই আসুক না কেন, সে জন্য ধৈর্য্য ধারণ কর। এই কথাগুলো এমন, যে বিষয়ে তাগীদ করা হয়েছে। { সূরা লোকমান-১৭} আল কুরআনে আরো বলা হয়েছে, واقمن الصلواة واتين الزكواة واطعن الله ورسوله- “(হে মহিলাগণ) তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর।

{ সূরা আল আহ্যাব-৩৩} রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন, قال رسول الله صلم مروا اولادكم بالصلوة وهم ابناء سبع سنين واضربوهم عليها وهم ابناء عشر سنين وفرقوا بينهم فى المضاجع- “তোমরা তোমাদের সন্তান সন্ততিদের নামায পড়তে আদেশ করো যখন তারা সাত বছর বয়স পর্যন্ত পৌঁছবে এবং নামাযের জন্যেই তাদের মারধর কর, শাসন করো যখন তারা দশ বছর বয়সে উপণীত হয়। আর তখন তাদের জন্যে আলাদা আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করাও কর্তব্য। { আবু দাউদ} * রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নামায প্রতিষ্ঠার নির্দেশঃ নামায কায়েম করাই ইসলামী নেতৃত্বের আসল উদ্দেশ্য আল্লাহ তায়া’লা বলেন, الذين ان مكنهم في الارض اقاموا الصلواة و اتو الزكواة- “আমি যাদেরকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব বা রাষ্ট্র ক্ষমতা দান করব, তারা অবশ্যই নামায কায়েম করবে, যাকাত দেবে। { সূরা হজ্ব-৪১} একজন মুসলিম ব্যক্তির যেমন প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে নামায প্রতিষ্ঠা করা, তদ্রƒপ গোটা মুসলিম সমাজের তথা ইস্লামী রাষ্ট্রেরও সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য সমগ্র রাষ্ট্রে নামায প্রতিষ্ঠা করা এবং আদায়ের সুষ্ঠ ব্যবস্থা কার্যকর করা। এ প্রসংগে আমিরুল মু’মিনীন হযরত ওমর রা. এর উদাহরণ প্রণিধানযোগ্য- ان عمر بن الخطاب كتب الى عماله ان اهم امركم عندى الصلواة فمن حفظها و حفظ عليها حفظ دينه ومن ضيعها فهو لما سواها اضيع- “হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রা. তাঁর প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি এই মর্মে লিখে পাঠিয়েছিলেন যে, তোমাদের যাবতীয় ব্যাপারের মধ্যে আমার নিকট সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নামায কায়েম করা।

যে লোক নামাযকে রক্ষা করে এবং এর সংরক্ষণের দায়িত্ব পুরাপুরি পালন করে সে তার দ্বীনকে রক্ষা করে। আর যে লোক তা বিনষ্ট করে সে এ নামায ছাড়াও অন্যান্য সবকিছু অধিকার নষ্টকারী। {মুয়াত্তা ইমাম মালিক রহ. কর্তৃক বর্ণিত} নামাযের স্বাভাবিক উপকারিতার বিভিন্ন দিক>>>নামাযের স্বাভাবিক উপকারিতার বিভিন্ন দিক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।