প্রথম মনে হবে কোন গন্ডগোল হয়েছে তাই জটলা
লিফলেট পড়ে বুঝতে পারবেন আসলে কি?
সচ্ছ কাচের ফাকে দেখা যাচ্ছে মুড়ি বানানোর মসলা
মোল্লা মামা মুড়ি বানাচ্ছেন
মোল্লা মামার বানানো শেষ কাগজমুড়ে মুড়ি দিচ্ছেন
অফিস শেষ বাসায় ফিরবো রিকশা পাচ্ছিলাম না, পেটটাও ক্ষুধায় চো চো করছে। হাটতে হাটতে দৈনিক বাংলার মোড় ক্রস করে একটু আগাতেই একটা জটলা চোখে পড়লো। হাতে সময় আছে ভাবলাম রিকশা যেহেতু পাচ্ছি না একটু আগাই আর ঘটনাটাও জেনে আসি। দু'চার জনকে ধাক্কা দিয়ে সরাতেই একজন চিৎকার করে উঠলো আমি সিরিয়ালে আছি, টাকা দিয়া দাড়াইয়া আছি দশ মিনিট! আমি রিতিমত আশ্চর্য কেনো? লোকটার জবাব কানা নাকি দেখেন না যাদের টাকা নিছে হেগো মুড়ি দিতাছে আমি হইলাম সবার শেষে। আমি আবার আশ্চার্যনিত হইলাম! মুড়ি তার জন্য এতো ভীড়।
কখনো যদি বাসায় কেউ বানিয়ে সামনে এনে দেয় দয়া করে খাই, কখনো বাসায় বলি না মুড়ি বানাতে। এছাড়া রাস্তা ঘাটের মুড়ি প্রশ্নই ওঠে না হুমম! আবার রিকশা খোজা। ক্রমেই জায়গাটাতে ভীর বাড়ছে আমি রিকশা পাচ্ছি না, আমার আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে মুড়ির প্রতি। লাইনে দাড়াবো কি দাড়াবো না ভাবতে ভাবতে দাড়িয়ে পড়লাম। পাক্কা পনের মিনিট পড় আমার সিরিয়াল, ১০ টাকা মুড়ি দেয়ার পূর্বেই নিয়েছিলো।
১০ জন করে টাকা নেয়। উচ্চতায় পাঁচ ফিটের মত হবে হালকা শরীর গাল ভর্তি দাড়ি, মাথায় টুপি পড়া ব্যক্তিটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল কি দিয়া খাইবেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কি দিয়া খাইবেন মানে? মুরগির কলিজা, গিলা, মাথা না দুই পিচ আলু দিমু। আমি ভেবে বললাম মুরগির গিলা দিয়া দেন। মুড়ি বানানো শেষে আমার হাতে দিলো ওফফ সেকি ঘ্রান আর স্বাদ পাঠক কি আর বলবো! আমি খাচ্ছি আর ঘোরের মাঝে আছি, একি মুড়ি খাচ্ছি নাকি অন্য কিছু! এখন প্রায়ই খাই আজও খেলাম ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি! ভিড়ের মাঝে ছবি তুললাম, ছবি তুলতে গিয়ে সিরিয়াল দিতে লেট সো আমার নাটকের রিহার্সেলে যেতেও লেট।
মোল্লা মামার মুড়ি খেতে গেলে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে ঃ ১. টাকা হাতে নিয়ে সিরিয়ালে দাড়াতে হবে ২. বিভিন্ন পদের মুড়ি আছে যেমন মুড়গির গিলা দিয়ে, মুরগির কলিজা দিয়ে, মুরগির নরলি দিয়ে, মুরগির রান দিয়ে, আলু দিয়ে, নো বিফ।
৩. কোন ভাবেই পার্শ্বেল নেয়া যাবে না, স্পটেই খেতে হবে। পার্শ্বেল দেন না, আপনি আপনার যে কোন অনুষ্ঠানে যেমন গায়ে হলুদ, মুসলমানি বা ছোটখাটো অনুষ্ঠানে মোল্লা মামার মুড়ি খাইয়ে অবাক করে দিতে পারেন অতিথীদের। পাঠক লিখতে গিয়ে আমার মুখে পানি চলে এসেছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।