সংবিধান-ই নাগরিকের শক্তি বরিশালে পরিচিত বিশিষ্টজন হিসাবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহমান্য রাষ্ট্রপতিও ছিলেন একজন। শুধু বরিশাল নয়, পুরো দেশব্যাপী রয়েছে এদের প্রভাব প্রতিপত্তি। তারা এতই বিত্তবান এবং ক্ষমতাবান যে, বীর উত্তম ও বীর প্রতিক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারাও প্রকাশ্যে তাদের নামে কোন মন্তব্য করছেননা। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাদের যুদ্ধকালীন কর্মকান্ড রয়েছে অজানা।
তারা যুদ্ধাপরাধী কিনা তাও স্পস্ট নয়। তাহলে বরিশালে কি কোন যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়নি? আর সংঘটিত হলে তা কাদের দ্বারা? কারা বরিশালের যুদ্ধাপরাধী? এ প্রশ্ন দেশবাসীর। রাস্ট্রীয় সম্মানী ভাতা প্রাপ্ত যুদ্ধাহত বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হোসেন ফোরকান বলেন, ঘাতক দালালদের শান্তি কমিটিতে ৩২ জন সদস্য ছিল। এ কমিটিতে একজন হিন্দু দালালও ছিল। কমিটির প্রথম সভাপতি হিসাবে ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ পর্যন্তছিলেন এডভোকেট আব্দুর রব।
এর দুই দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ থেকে দায়িত্ব পালন করেন এডভোকেট আব্দুর রহমান বিশ্বাস, সভাপতি, জেলা মুসলেম লীগ কাউন্সিল। সহ-সভাপতি ছিলেন চারজন। ১ম সহ-সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, পিতা-মৃত ইসমাইল চৌধুরী, সদর রোড, যিনি স্বাধীনতার পর পাকিস্তানীদের সাথে পলায়ন কালে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মারা যান। ২য় সহ-সভাপতি এডভোকেট সমশের আলী, প্যারারা রোড। ৩য় সহ-সভাপতি এডভোকেট প্রমথ কুমার সেন, হাসপাতাল রোড, স্বাধীনতার পর ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে মারা যান।
৪র্থ সহ-সভাপতি সৈয়দ হাতেম আলী, সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, স্ব-রোড। সেক্রেটারী ছিলেন এডভোকেট আবুল হোসেন শিকদার, সি এন্ড বি রোড (চৌমাথা)। জয়েন্ট সেক্রেটারী ছিলেন নূরিয়া হাই স্কুলের হেড মাষ্টার ও জামাতে ইসলাম নেতা খলিলুর রহমান। ট্রেজারার ছিলেন সাবেক বরিশাল পৌরসভা চেয়ারম্যান, জেলা ফুলকুড়ি আসরের উপদেষ্টা , ক্রিসেন্ট শিপিং লাইন্স, সুরভী লঞ্চ, চাঁদতারা ময়দা ও সুরভী ফিলিং স্টেশনের মালিক বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব গোলাম মাওলা, আমানতগঞ্জ। দপ্তর সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ শের আলী মোক্তার, আমানতগঞ্জ।
সদস্য ছিলেন মোট ২২ জন। এরা হলেন: মাওলানা বশিরউল্লা আতাহারী, গীর্জা মহল্লা, বাক সম্রাট এড. বি. ডি. হাবিবুল্লাহ, কলেজ রোড, আদম আলী হাজী আলেকান্দা রোড, বটতলা, আলহাজ্ব কাজী মোতাহার হোসেন প্রিন্সিপাল, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, ডাঃ নজিব উদ্দিন আহমেদ, সদর রোড, শামসুদ্দিন তালুকদার হাটখোলা, ডাঃ ঈমান আলী, সদর রোড, নোয়াব আলী, পিতা- এলেম উদ্দিন, কাউনিয়া, আমজেদ মৃধা, হাটখোলা, বরিশাল, মিনহাজ উদ্দির আহমেদ খান এড. পিতা- মৃত মীর ইসলাম খান, নবগ্রাম রোড, মীর আনোয়ার হোসেন আলেকান্দা, ঐ সৈয়দ ফজলে আলী পিতা- সৈয়দ রজ্জব আলী, বগুড়া রোড, সৈয়দ মুনসুর আলী (মুনসুর মীরা), পিতা- সৈয়দ আফসার আলী, বগুড়া রোড, আতাউর রহমান মুন্সি, পিতা- তোজাম্বর আলী মুন্সি, ভাটিখানা, নজির আহমেদ হাটখোলা, মতিয়ার রহমান তালুকদার নতুন বাজার, কাঞ্চন গাজী, পিতা- মৃত চাঁদ গাজী, কলেজ রোড, বৈদ্যপাড়া, রাজ্জাক চৌধুরী নবগ্রাম রোড, শ্বরুব আলী মিয়া বাজার রোড, জবান আলী খান, সুলতানি বিড়ি ও হোটেল প্যারাডাইসের মালিক, হাসপাতাল রোড, আফসার উদ্দিন সরকার, ব্রাউন কম্পাউন্ড, এড. মজিদ মুন্সি, বি.এম স্কুল রোড। ৩০ জন মারা গেছেন। জীবিত আছেন সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুর রহমান বিশ্বাস ও বিশিস্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব গোলাম মাওলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।