আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সকলের সচেতনতা প্রয়োজন - উইকিপিডিয়ায় যুদ্ধাপরাধীদের কালো থাবা -- প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই!

রাষ্ট্র যেথায় দ্বিধায় ভোগে, আমরা সেথায় দ্বিধাহীন......... ধরুন আপনি কোন বিদেশি রাজনৈতিক ব্যাক্তি কিংবা নেতার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে কি করবেন? নিশ্চয়ই প্রথমে পত্রিকা অথবা ইন্টারনেট ঘাঁটবেন। ইন্টারনেট ঘাটা মানেই গুগল। গুগল প্রথমেই ঐ সকল ওয়েবসাইটের রেফার দিবে যেগুলি বিখ্যাত ও নির্ভরযোগ্য এবং পাশাপাশি ভাল রেঙ্কের অধিকারী। এক্ষেত্রে অবধারিত ভাবে একটি সাইট শুরুতে চলে আসে যা হল উইকিপিডিয়া। উইকিপিডিয়া বিশ্বের বৃহত্তম বিশ্বকোষ।

দুঃখ জনক ব্যাপার হচ্ছে উইকিপিডিয়া বাংলাদেশের যুদ্ধপরাধিদের সম্পর্কে যে আর্টিকেল বা রচনা আছে তা পড়ে যে কারো মনে হতে বাধ্য তারা সাধারণ মানের নেতা। ৭১ এ তারা কিছুই করে নাই। আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে সবসময় রাজনৈতিক কারণে অপবাদ দিয়েছে এবং বিরোধিতা করেছে। গোলাম আযাম আলেম মানুষ। তার উপর অনেক অত্যাচার করা হচ্ছে।

ভেবে দেখুন একজন বিদেশী নাগরিক যখন এ সকল রচনাগুলো পড়বে তারা কি ধারণা পাবে। এরকম কেন? কারণ আমরা নিজেরাই। আমরা অন্যের করার আশায় বসে থাকি। যার সুযোগ নেয় কিছু কুলাঙ্গার। উইকিপিডিয়া তে সেই সকল তথ্যই রাখা হয় যেগুলোর পর্যাপ্ত সূত্র আছে।

আমরা বাংলায় বাংলা ব্লগে ঝড় তুলতে পারি কিন্তু বিশ্ববাসীকে জানানোর প্রয়োজন মনে করি না। যে কারণে গোলাম আজম, নিজামীর মত যুদ্ধপরাধীদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় সহানুভূতির ছড়াছড়ি। আমরা কি করতে পারি? উইকিপিডিয়ায় প্রতিটা লেখা বা প্রবন্ধই সম্পাদনা করা যায়। এ জন্য প্রয়োজন নিবন্ধিত হওয়া। ব্লগে বা অন্যান্য সাইটে এসকল অনেক সূত্র আছে সেগুলোকে উইকিপিডিয়ার নীতিমালা অনুসারে ব্যাবহার করুন।

আরও জানতে এই বল্গটি অবশ্যই পড়বেন। সকলের সহযোগিতা ছাড়া একাজ অসম্ভব। আপনি যদি অন্যের আশায় নিজের কাজ ফেলে রাখেন তাহলে সেই কাজ সম্পাদন করা অসম্ভব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.