ডাকঘরের দিনতো জাদুঘরের পথে। মাঝে গোটা প্রায় দেড় যুগ এদেশে অর্থলেনদেন করে পেট ফুলে একাকার এসএ পরিবহণ, সুন্দরবনসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক কুরিয়ার সার্ভিস। অতিরিক্ত চার্জ, ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানো ইত্যাদি নানা বিড়ম্বণা থেকে হঠাৎ মুক্তির বারতা নিয়ে এলো বিকাশ; দ্রুত জনপ্রিয়তাও পেল, পেটমোটা কুরিয়র সার্ভিস হঠাৎ চুপসানো বেলুন। কিন্তু বাঙ্গালীর কপালে সুখ নেই। মোবাইলে দোকানে ছেয়ে গেছে বিকাশ এজেন্ট কিন্তু নানা কৌশলে তারা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ।
বেশিরভাগ এজেন্ট ক্যাশ আউট টাকা উত্তোলনের পরিবর্তে সেন্ড মানি করতে বলেন। জানতে চাইলে বলেন একই কথা, আপনার টাকার সাখে শতকরা দুইটাকা বেশি সেন্ড করলেই হয়। আসুন দেখা যাক তুলনামুলক চিত্র, কোন গ্রাহক যদি ক্যাশ আউট এর মাধ্যমে ১০০ টাকা উত্তোললন করেন তবে তার এ্যাকাউন্ট থেকে কাটা যাবে ১.৮৫ টাকা আর দোকানদারের কথামতো সেন্ডমানি করলে প্রতি ১০০ টাকার জন্য অতিরিক্ত ২ টাকা যোগ সেন্ডমানিচার্জ ২টাকা মোট ৪ টাকা; শুধু তাই নয় টাকা রাখা (ক্যাশ ইন ) করতেও অতিরিক্ত দশটাকা দাবি করে থাকে। অবাক করার বিষয় হলো ঢাকার বাইরের ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা জমাদিতেও ২৩ টাকা করে নেয়া হয়। ঈদে নানা জায়গায় টাকা লেনদেন যখন অনিবার্য তখন ওরা আরো বেপরোয়া, আর অভিযোগ করবেন কাকে, লাখ লাখ গ্রাহকের জন্য বিকাশের মাত্র একটি লাইনে সংযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপর...
বিষটি আসুন হালকা করে দেখি।
দুই-পাঁচ টাকার জন্য ছোটলোকি! নিশ্চয় আমরা করতে পারি না, এরকম কত ছোট! ছোট! বিষয়তো রোজ চোখের সামনে ঘটে, সব কি ধরতে হয়?!!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।