স্বপ্ন দেখুন, একদিন সত্যি হবেই...
নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও পুঁজিবাজারে দুই কোম্পানির তালিকাভুক্তির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ফলে পুঁজিবাজারে এমআই সিমেন্ট ও এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড তালিকাভুক্তির বিষয় আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করা এ দুই কোম্পানির লাখ লাখ বিনিয়োগকারী এখন বিপাকে পড়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয় তৃতীয়বারের মতো বৈঠক করলে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। তবে এসইসির সঙ্গে আবারও আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসই।
গত ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এসআই সিমেন্ট লেনদেন শুরু করে।
ডিএসই সূত্রে জানা য়ায়, পরিচালনা পর্ষদের কয়েকজন পরিচালকের বিরোধীতার কারণে তালিকাভুক্তির কাজ দেরি হচ্ছে।
এর আগে ৩ মে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদে এসইসির আগের নির্দেশনা নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকেও ডিএসইর কয়েকজন পরিচালক এসইসির নির্দেশের সমালোচনা করে বলেন, প্রয়োজনে বিষয়টি আইনিভাবে সমাধান করা হবে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯-এর ২০(এ) ধারা অনুযায়ী, বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে তারা লিখিত নির্দেশনা দিতে পারে।
এসইসির এ নির্দেশনা পরিপালন করা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক। এমনকি এ নির্দেশনা পরিপালনের জন্য ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকও জরুরি নয়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সক্ষম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা করতে দেওয়া হয়নি।
এদিকে এমজেএল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তালিকাভুক্তির বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ অবস্থায় কোম্পানি দুটির প্রাথমিক শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়েছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।