যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।
চলে গেল রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্ম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে অনেক কিছুই হল। সর্বশেষ সংযোজন ইভা রহমানের রবীন্দ্রসংগীতের এলবাম।
এই রবীন্দ্রনাথের বাড্ডে উপলক্ষ্যে আমাদের নেতা নেত্রীরা কি বক্তব্য দিলেন তার কিছু কাল্পনিক রুপ দেখা যাক,
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাঃ রবীন্দ্রনাথ আমাদের গর্ব। জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ এক বিস্ময়। তিনি নোবেল পেয়ে আমাদের গর্বিত করেছেন। তবে তিনি জমিদার ছিলেন,তখন প্রজাদের শোষন করতেন কি না জানা যায় নি। আমরা ক্ষমতায় থাকলে এমন আইন করতাম যাতে কেউ ষাট বছরের বেশী বয়সে জমিদারীতে থাকতে পারত না।
এবং কবিতা লেখা থেকেও আমরা ষাট বছরের পর পদত্যাগ করতে বাধ্য করতাম। বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ যৌবনে বিশ্বাস করে। এর প্রমান বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। কবি বলেছেন, “ওরে নবীন ওরে আমার কাচা, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাচা”। ছাত্রলীগ এই মন্ত্রে বলিয়ান।
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ বার্ধক্যমুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখে। জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্তঃ আসলে রবীন্দ্রনাথ আমাদের চেতনার উৎস। সাংবিধানিক ব্যবস্থায় চেতনা জিনিসটা খুব দরকারী। সাংবিধানিক বাস্তবতায় সংবিধানের সংশোধন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি সংঘবদ্ধভাবে চেতনার ব্যাপারটা বিষয়টা নিয়ে ভাবছে।
সংশোধিত সংবিধানে কি থাকবে কি থাকবে না সময়ই বলে দেবে, এ ব্যাপারে বিরোধী দল যা বলছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এখানে রবীন্দ্রনাথকে হেয় করা হচ্ছে।
সাহারা খাতুনঃ র্যাব প্রতিরক্ষার জন্য পালটা গুলি ছোড়ে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোন সময়ের চেয়ে ভাল আছে।
প্রশ্নকর্তা(যিনি রবী ঠাকুরকে নিয়ে বানী সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন)ঃ ম্যাডাম আসলে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমরা বলতে বলেছিলাম.........
সাহারা খাতুনঃ ও হ্যা রবীন্দ্রনাথ! উনাকে র্যাব ইচ্ছা করে গুলি করে নি।
তার স্কুল ব্যাগে কিছু অস্ত্র পাওয়া গেছে। সে অস্ত্র মামলার আসামী। এ ব্যাপারে পত্রিকাগুলো একটু বাড়িয়ে লিখছে। আমি জনগনকে বলতে চাই যে সে পায়ে গুলি খেয়েছে পালাতে গিয়ে। এখন সরকারী তত্তাবধানে পা কেটে ফেলা হয়েছে।
আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি বিদেশ থেকে উন্নতমানের প্লাস্টিকের পা আনিয়ে দেব। এখানে র্যাবের কোন দোষ নেই। র্যাব নির্দোষ, র্যাব আত্নরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে...। ।
বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াঃ এই সরকার বাকশালী সরকার, এই সরকার সন্ত্রাসী সরকার।
আপনারা জানেন রবীন্দ্রনাথ তার নিজ বাড়িতে থাকতেন। কেঊ তাকে অপসারন করে নি। এই বাকশালী সরকার ক্ষমতায় থাকলে তাকে অপসারন করা হত। রবীন্দ্রনাথ কে এরা বাড়িতে থাকতে দিত নাীরা বলেছিল দশটাকার চলের কথা। কিন্তু কোথায় আজ দশটাকার চাল?রবীন্দ্রনাথকে এরা দশটাকার চাল খেতে দিত না, দিত চল্লিশ টাকার চাল।
তাই আমি মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি, আর বাকশালী সরকারকে বলছি আপ্নারা আমাকে ক্ষমতা দিয়ে দিন।
ব্যারস্টার মওদুদ আহমদঃ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা যারা চালু করতে চায়,যারা সংবিইধানকে অকার্যকর করতে চায়, তাদের জন্যই দেশের এই অবস্থা। রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে সুপ্রীম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন তা সাংঘর্ষিক এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি একটি বিতর্কিত রায়। দেশকে যারা একদলীয় করতে চায় তাদের জন্যই এই রায়।
এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমঃ আসলে রবীন্দ্রনাথের নুবেল পুরষ্কার পাওয়া ঠিক হয় নি। কবিতার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদে নুবেল পুরষ্কার পাওয়া উচিত ছিল।
সর্বশেষে একটি পরমানু গল্প দিয়ে সার্ধশত তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পোস্ট টি সমাপ্ত করি,
বিধাতা কহিলেন রবীন্দ্রনাথ তোমার সার্ধশত জন্ম জয়ন্তী পালিত হইতেছে,একটু বাংলায় গিয়ে দেখে আস,তোমাকে একদিনের ছুটি দিলাম।
রবীন্দ্রনাথ খুশিতে লাফিয়ে উঠে তৎক্ষণাত কবিতা লিখে বসলেন আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি। তবে পৃথিবীতে যাবার আগে স্বর্গের ডিকশনারী থেকে খোজে সার্ধশত শব্দের মানেটা দেখে নিলেন।
রবীন্দ্রনাথ দেশে এসে দেখেন এক দেবদূত তাকে পাহাড়া দেবার জন্য আগেই পৌছে গেছেন। তার সাথে রবীন্দ্রনাথের কিছুটা ভাব ছিল। রবীঠাকুর প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা বলেন তো দেবদূত মশাই, বাঙালীরা আমার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সবচেয়ে মহান কোন উপহার প্রসব করিল?
দেবদূত মাথা চুলকে বললেন, আমার মাথার সার্চ ইঞ্জিন থেকে জানতে পারলাম এই দেশের ঈভা রহমান নামে এক সঙ্গীত শিল্পী আপনার কয়েকটা গান নিয়ে সঙ্গীত করেছেন। এলবামের নাম মনে রবে কিনা রবে আমারে। এটাই আমার জানামতে এই জন্মদিনে আপনার সেরা গিফট।
এই কথা শোনে রবীন্দ্রনাথ ভুরু কুচঁকে তাকালেন। তারপর কোনদিকে না তাকিয়ে স্বর্গের দিকে হাটা দিলেন। আর ফিরেন নি।
দেবদূত আশ্চর্য হয়ে আরো পাওয়ারফুল দেবদূত একজনকে ফোন করে জানতে চাইলেন কি ঘটনা। রবীবাবু হঠাৎ এত রাগ করলেন কেন?
পাওয়ারফুল দেবদুত সব শুনে জবাব দিলেন, উনাকে নরকে কিছুদিন রেখে ইভা রহমানের হিন্দি বাংলা গান শোনানো হয়েছিল।
তাই মনে হয়।
(পোস্টটি অতিশয় হালকা। এখানে নিরীহ ফান করা হয়েছে। মজা ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্য নাই। আশা করছি সবাই ফান হিসেবেই নিবেন।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।