এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
সোমেশ্বরী ।
এক অসাধারণ সুন্দরী নদী। যার বুকে ওপারের মেঘালয় রাজ্যের পর্বত শ্রেণী বাহিত শীতল পানির স্রোতধারা।
মেঘালয় রাজ্যের বাঘমারা বাজার হয়ে বাংলাদেশের রাণীখং পাহাড়ের কাছ দিয়ে সোমেশ্বরী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটি নেত্রকোনা জেলায় অবস্থিত।
বালিয়াড়িতে হেটে ক্লান্ত ? নদীতে পা ডুবিয়ে দিন ।
আহ্ কি শান্তি, নিমিষেই আপনার সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে নিয়ে যাবে লাল বালির এই সোমেশ্বরী । সাথে কাপড় থাকলে জলে ঝাপ দিন, কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে জল থেকে উঠে সোমেশ্বরীর তীরে বসুন । ঝিরিঝিরি বাতাসে ইচ্ছে করলে কয়েক লাইন কবিতা ও লিখে ফেলতে পারেন । আর শেষ বিকেলের সূর্যটাকে সোমেশ্বরীর পানিতে তলিয়ে যেতে দেখাটা কিন্তু মোটেও মিস করবেন না । তাহলে এটা হবে আপনার জীবনের বড় একটা মিস ।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গারো পাহাড়ের বিঞ্চুরীছড়া, বাঙাছড়া প্রভৃতি ঝর্ণাধারা ও পশ্চিম দিক থেকে রমফা নদীর স্রোতধারা একত্রিত হয়ে সোমেশ্বরী নদীর সৃষ্টি। ৬৮৬ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে সোমেশ্বর পাঠক নামে এক সিদ্ধপুরুষ অত্রাঞ্চল দখল করে নেয়ার পর থেকে নদীটি সোমেশ্বরী নামে পরিচিতি পায়।
আসুন আমার ক্যামেরায় দেখি এই সুন্দরী নদীর রূপ ।
খেয়া পারাপার ।
খেয়া পারাপারের অপেক্ষায় থাকা মানুষ ও রিক্সা ।
সোমেশ্বরীর পাড়ে বিরিশিরী এলাকায় একটা ঈদগাহ্ ।
শুকনো মৌসুমে এভাবেই ক্রমান্বয়ে সোমেশ্বরীর অনেক এলাকাই শুকিয়ে ধূধূ বালুকা বেলায় রুপান্তরিত হয় ।
সোমেশ্বরীর ভিজে বালিতে খেলার মজাই আলাদা
সোমেশ্বরীর একটা অংশ দিয়ে রিক্সা, মোটর সাইকেল পারাপার হচ্ছে এমন ব্রীজ দিয়েই ।
সোমেশ্বরীর তীরে শিবগঞ্জ বাজার ।
সোমেশ্বরীর মৎস বালিকারা ।
বিজয়পুর সীমান্ত ফাঁড়ীর পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে তোলা ছবি, নদীর ঐ পারটা পর্যন্তই বাংলাদেশ, আর তারপর থেকেই শুরু ভারত ।
সোমেশ্বরীর শীতল জলে আমাদের গোসল করার ছবিটা বিজয়পুর সীমান্তে ।
বিজয়পুর সীমান্ত ফাঁড়িতে বসে সোমেশ্বরীর রূপ দেখার জন্য ছাউনি দেওয়া বসার স্থান ।
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে সূর্য্যি মামা সোমেশ্বরীর বুকেই যেন খুঁজে পেল তার শান্তির নীড় ।
এবার একটু জিরিয়ে নেই ।
পেছনে সোমেশ্বরী তার ও পেছনে মেঘালয়ের পর্বত শ্রণী, আর আমিও যথেষ্ট ক্লান্ত। ক্লান্তি শেষ হবে আমি ফিরে আসবো, কিন্তু আমার মন কি এমন সৌন্দর্য্য দেখতে বারে বারেই সোমেশ্বরীতে ফিরে যাবে না ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।