আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাকা আম থেকে সাবধান!!!



বাজারে পাকা আমের ছড়াছড়ি। এখানে অধিক রোজগেরে মানুষদের হুড়োহুড়ি। দাম অত্যাধিক হলেও সমস্যা নেই তাদের। কিন্তু শারীরিক সমস্যা সবার জন্যই কষ্টদায়ক। আমাদের দেশের পাকা আম তো দূরের কথা।

আম-এ খুব একটা ভালভাবে এখনও বীচি (আঁটি) হয়নি। তারপরেও যেদিকে যেখানে ফলের বাজার দেখি সেখানেই পাকা আমে বাজার সয়লাব। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এ আমগুলো কোথা থেকে কিভাবে এসেছে। বেশির ভাগ আমই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের দেশে চলে আসে বেশি দামের আশায়। যা পাকানো হয় কার্বাইড দিয়ে।

আর আমাদের দেশের যে সব আম-এ বীচি কিছু টা শক্ত হয়েছে সেসব আমকেও কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছে। আমরা মৌসুমের প্রথমে বা মৌসুম শুরুর পূর্বেই এসকল রঙিন আম দেখে মুগ্ধ হয়ে দগ্ধ দামে কিনি পরিবারের স্বজনদের জন্য। কিন্তু এর ফলে কতটা যে নিজেদের ক্ষতি করছি তা আপাতত দৃষ্টিতে বোঝা যায় না। অনেকটা যেনে শুনে বিষ খাওয়ানোর মত। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যে আপনারা আপনার পরিবার থেকে শুরু করে আশে পাশের আত্মীয় স্বজনদের দেখেন ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের অভাব নেই।

আমাদের দেশে খাদ্যে ভেজাল দিবে এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। এভাবে চলেতে থাকলে আমাদের জাতি পঙ্গু হয়ে যাবে এবং যাচ্ছে বলা যায়। আমরাও অতিরিক্ত দাম দিয়ে কিনতে পারলে অনেকটা ক্রেডিট মনে করি। আসুন না আমরা অতি রঙিন এবং অসময়ের টমেটো, আম, কাঠাল গুলো বাদ দিয়ে সময়ে (পূর্ণ মৌসুমে) কিনি। কারণ হিসেবে বলা যায় সময়ে এত বিশাল পরিমানের ফল-এ কতগুলোতে কার্বাইড বা অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান দিবে।

আর যখন অপেক্ষাকৃত কম মূল্য এবং এ্যভেলেবল থাকে তখন কম লাভ বলে ক্ষতিকর উপাদানও অনেকে দেয়না। আমরা একটু সচেতন ভাবে কিনতে পারলে মৌসুমে ভাল এবং ফ্রেশ ফল পাওয়া যায়।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।