সাধারণেই আমি অসাধারণ
সেদিন হঠাৎ ফেসবুক এর গ্রুপ চ্যাট এ রায়হান প্রস্তাব দিল একটা নিরুদ্দেশ tour করার। সেমিস্টার শেষ আমরা বাসায় বসে বসে bore হচ্ছিলাম। প্রস্তাব শুনে আমি লাফিয়ে উঠলাম। হৃদয় বলল সেও যাবে। এরপর আরও কয়েকজন রাজি হল।
শেষে ঠিক হল ৭তারিখ আমরা tour টা করব। কিন্তু ৬ তারিখ এর মধ্যে যারা যাবে বলেছিল তারা সবাই বেঁকে বসল। অগত্যা কি আর করা। ইলিয়াস বলেছিল ও যাবে। আমি ওকে বলেছিলাম শনিবার ঠিক সকাল ১০ টায় কমলাপুর রেলস্টেশন এ হাজির থাকতে।
ও বলল যে থাকবে।
প্ল্যান ছিল এমন আমরা কমলাপুর রেলস্টেশন এ সকাল ১০টায় যাব। তারপর যে ট্রেন পাব সেটাতেই উঠে পড়ব, এরপর ট্রেন আমাদের যেদিকে নিয়ে যাবে সেদিকে যাব। আবার ওই ট্রেন এই ব্যাক করব।
সকাল ৮টার দিকে আমি আর রায়হান কমলাপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দেই, ইলিয়াস কে ফোন দিলাম, হারামজাদা মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে।
আমরা কমলাপুর পোঁছেই ময়মনসিংহ এর ট্রেন পাই। ওটায় উঠি। ট্রেন ছাড়ল ১১.০০টায়। শুরু হল আমাদের নিরুদ্দেশ যাত্রা। ট্রেন journey টা উপভোগ করতে করতে ময়মনসিংহ পৌঁছলাম।
দুপুর ঠিক ২.১৫ তে। স্থানীয় একটা রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি আর বোরহানি দিয়ে লাঞ্চ সারলাম। ময়মনসিংহ বেড়ানোর মত তেমন যায়গা নেই। আমার ভাইয়া ফোন এ বলেছিল ভ্রম-পুত্র নদী আছে, তার পাড়ে যেতে। লাঞ্চ এর পর ২০টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে নদীর পাড়ে পৌঁছলাম।
মন উদাস হয়ে গেল। রায়হান তো চরম মজা পাচ্ছিল। এই সেই ভ্রম-পুত্র যার কথা ছোটবেলায় সামাজিক বিজ্ঞান বইতে অনেক পড়েছি। নদীর পাড় বাঁধ দেয়া খুব সুন্দর করে। নদীর পানি ছিল শান্ত, সে এক অপরূপ দৃশ্য।
রায়হান তখনি ঠিক করল নদিতে নামবে। আমি একটু আপত্তি জানালাম, তাও আবার আলাদা কোন প্যান্ট আনিনি। ভিজাব কি? রায়হান হাফ প্যান্ট পরে লাফ দিল নদীর পানিতে। ও দারুণ উপভোগ করছিল, ওর মজা দেখে আমিও লোভ সামলাতে পারলাম না। Under Pant পরেই আমিও নামলাম নদী তে।
আহ ভ্রম-পুত্র নদিতে গোসল করছি, এর feelings ই আলাদা।
গোসল করে নদীর পাড়ে কিছু সময় হেঁটে আমরা আগের রিকশাতেই আবার স্টেশন ফিরলাম। টিকেট কিনলাম। ট্রেন এলো ৫.৩০ এর দিকে। আমরা প্লাটফর্ম এ দারিয়ে দেখলাম ট্রেন এর ছাঁদে মানুষ নামছে আর কেউ উঠছে।
রায়হান বলল চল ছাঁদে করে যাই, আমিও রাজি হলাম। স্টেশন এ একটা ওভার ব্রিজ আছে। ওটায় উঠে ওখান থেকে ট্রেন এর ছাঁদে লাফ দিলাম। ট্রেন ছাড়ল। আমার প্রথমে একটু ভয় মতন লেগেছিল, কিন্তু পড়ে সেটা কেটে যায়।
বসে বসে গতিশীল অবস্থায় বিকালের গ্রামীণ বাংলা দেখছি উদাস নয়নে। আর শুনছিলাম গান। এ আরেক অন্যরকম অনুভূতি। বিকেল গড়িয়ে রাত হল। ট্রেন এর ছাঁদে শুয়ে পড়লাম।
আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি বাঁকা চাঁদটাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এভাবে ঢাকা ফিরলাম।
দিনটা এমন পাগলামিতে ভরা ছিল। আমার জীবনে অন্যতম Best একটা দিন। Thnx dosto Rayhan for giving me company on that day.^_^
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।