/
তিন টুকরা কাপড় নিয়ে কি ঝামেলাই না আছি । এ বঙ্গে নারী অঙ্গে শার্ট শোভা পায় না তেমন কিন্তু ফ্যাকড়া মার্কা অফিস শার্ট ব্যতিত যাবতীয় পোশাক কে নন প্রফেশনাল বলে ঘোষণা দিয়েছে । সালোয়ার কামিজ এ মিস লাদেন, লাদেনের বউ খেতাব জুটেছে । লাদেনের বউয়ের হিজাব ভেজা থাকায় শুধু ঐটা পড়া হয় নাই - এই আর কি। নিম তিতা, নিষিন্দা তিতা, করোলা তিতা মন নিয়া শাড়ি পড়ে গেলাম ।
যদি তাতে পোড়ার মুখ থামে । কোথাকার কি ? ছায়ানটের শিল্পি বনে গেলাম যদিও ভুলে বাথরুমেও গান গাই না । ভাবলাম, এত কাল পড়ে শাড়ী পড়লাম । যদি কেউ সুন্দর বলে ? সুন্দর বললো বটে কিন্তু সুবিচার হল না । রাবীন্দ্রিক পোশাক আমার কাজের সাথে যায় না।
সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত করে অতঃপর বেরুলাম শার্ট প্যান্টের খোঁজে ।
সে ঘটনা বলবার মত বটে । ঘটনাই বলি কারণ এক মাস ধরে চলছে শ্রীমতি শার্ট খোঁজাখুঁজি । যা কিছু আবিষ্কৃত হল তা পড়া যায় তবে যেখানের জন্য এতসব সেখানের জন্য মোটে নয় । অতঃপর বানাবার সিদ্ধান্ত ।
বানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে দর্জি যা বানালেন তাতে মনে হল তিনি ঘটনার সময় সবিশেষ উত্তেজিত ছিলেন। চেপে ধরা শার্ট আর ঢাউস আকারের প্যান্ট নির্মিত হল । না জানি তার কল্পনায় কে ছিল ? কি ছিল ? আমার তিন টুকরো কাপড় গোল্লায় গেল ।
যদি নিজে কাটাকুটি জানতাম ! যদি জানতাম নিজে নিজে বুনে নিতে তাহলে আমি যেতে পারতাম ফিটফাট হয়ে অফিসে ঠিক সময়ে । আমি তো এই সময়ের সাথে থাকি ।
বাস করি বহুদিন থেকে । তবে আমি কেন পড়ে থাকলাম সময়ের পুরানো পোশাক ? আমি এতদিন ধরে আমার সময়কে অন্যের হাতে কাটাকুটি করতে দিয়ে কখনও দেখিনি যে আমি পড়ে আছি এক বেঢপ পোশাক । অন্যের গড়া পোশাক । সবাই শাড়ি পড়ে বলে আমিও সময় ব্র্যান্ডের বারো হাত শাড়িতে ছয় প্যাঁচ দিয়ে দেখি বসে আছি ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।