আমি ব্লগ লেখার চাইতে ব্লগ পড়তে ভাল বাসি।
এটা সত্য যে লাদেন জীবত হোক আর মৃত হোক সে মার্কিনি দের হাতে ধরা খেয়েছে। কিন্তু তার লাস কেন সাগরে ফেলে দেওয়া হল?!! এটা তো মার্কিনিদের জানা কথা যে সাগরে ফেলে দিলে লাদেন কে আসলেই ধরেছে কিনা সে ব্যাপারে বিশ্ববাসীর মনে সন্ধেহ দানা বাধবে। তারপর ও কেন এই পদক্ষেপ। তারা বলছে লাস কবর দিলে নাকি সেখানে এটি মাজারে পরিনত হতে পারে সন্ত্রাসীদের জন্য।
তাহলে তো অন্তত প্রুফ করার জন্য হলেও তারা লাসের ছবি দেখাত। আর যেহুতু লাদেন নিরস্ত্র ছিল এবং তাকে বোমা মেরে নয় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেহুতু তার লাশ ও খুব একটা বিকৃত হবার কথা নয় যে তা প্রকাশ করা যাবেনা। আমরা এর চেয়ে অনেক ভয়াবহ লাশ দেখেছি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। আবার তারা যদি লাশ এর ছবি প্রকাশ করতে নাই চায় অন্তত তাদের মিশনের কিছু ভিডিও প্রকাশ করার কথা ছিল। তাই লাদেন আসলেই মারা গিয়েছে কিনা তা নিয়ে একটি প্রশ্ন থেকেই যায়।
আমার ব্যাক্তিগত মতামতঃ
লাদেন যেহেতু নিরস্ত্র ছিল। তাই তাকে জীবত ধরা কোন ব্যাপার ছিলনা মার্কিন সীল দের। এবং লাদেন কে মেরে ফেললেও আলকায়দার হয়ত তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। কারন লাদেন এর মত চতুর লোকের বোঝার কথা তার আয়ুর কোন গ্যারান্টি নেই। তাই সে তার অল্টারনেটিভ আগেই বাছাই করে গিয়েছিল।
এমনকি মার্কিন প্রশাসন ও বিশ্বাস করে যে লাদেন কে মারা মানে আলকায়দাকে দমন করা নয়। তাই লাদেন কে যদি তারা জীবত ধরতে পারে তাহলে তাহলে আল- কায়াদার যাবতীয় তথ্যাদি গোপন আস্তানা এবং এদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পর্কে তারা অবহিত হবে। এবং এটি হবে গোপনে। কিন্তু তারা যদি এটি প্রকাশ করে যে লাদেন কে তারা জীবিত উদ্ধার করেছে তাহলে প্রথমেই আল-কায়দা তাদের গোপন আস্তানা গুলো সরিয়ে নিবে এবং তাদের নেতাকে উদ্ধার করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। তাই লাদেন মৃত এবং তার লাস সাগরে সমাহিত করা হয়েছে এই তথ্যটি প্রকাশ করাই ইউ এস এর জন্য সবচেয়ে নিরাপদ।
তাই এমনটি হতেও পারে। তবে লাদেন বেচে থাকুক আর মরে থাকুক লাদেনে পতনের মাধ্যমে যে সমগ্র বিশ্ববাসীর মধ্যে একটি সস্থির নিঃশ্বাস পরেছে তার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।