সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি এ বি এম খাইরুল হক বলেছেন সহকারী জজ হতে হলে এখন আইনে ডিগ্রির পাশাপাশি বার কাউন্সিলের সনদও থাকতে হবে। মানে প্রার্থীকে অ্যাডভোকেট হতে হবে। বর্তমানে বিষয়টি রাষ্ট্রপতির অনুমদনের অপেক্ষায় আছে। বিষয়টি নিয়ে আইন শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু দেশের সবধরনের আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তারই তারই ধারাবাহিকতায় আইনের শিক্ষার্থীরা এই অযৌক্তিক এবং অতিরিক্ত শর্তারপের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেছে।
আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
যে কারনে শিক্ষার্থীরা আরোপিত শর্ত গুলো অযৌক্তিক মনে করছেঃ
# সহকারি জজ নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নিয়োগকৃত ‘প্রবেশ পদের’ পরীক্ষা। বাংলাদেশে অন্যান্য সরকারি চাকুরির প্রবেশ পদের পরীক্ষায় পূর্ব অভিজ্ঞতা বা শর্তারোপ করা নেই। যেমন বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগকৃত পরীক্ষা। তাই জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে নতুন এ অতিরিক্ত শর্তারোপের যৌক্তিকতা থাকে না।
# সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় যখন কোটা সংরক্ষনের বিষয়টি উত্থাপিত হয়, তখন যুক্তি দেওয়া হয়েছিল এটি দেশের অন্যান্য সার্ভিসের মতোই একটা সার্ভিস তাই কোটা সংরক্ষন করতে হবে। সেই যুক্তি নিশ্চয়ই বর্তমান ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যেহেতু অন্যান্য সার্ভিসে প্রবেশ পদে কোনো অভিজ্ঞতা বা অতিরিক্ত শর্ত নেই সুতারং এখানেও থাকা উচিত না।
# বিগত তিনটি পরীক্ষায় সদ্য স্নাতক পাস করে যে ক’জন সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের ক্যারিয়ার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তুলনামূলক ভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানিক ফল অনেক ভাল। তাছারা তাদের অদক্ষতা, অনভিজ্ঞতা,বিচারিক প্রজ্ঞা বা সামর্থ্যের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি।
সুতরাং যোগ্যতা নির্ধরনে নতুন শর্তরোপের কোন দরকার নেই।
# বর্তমান আইন শিক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে প্রয়োগিক আইন তথা প্রসিডিরাল ল এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বা চতুর্থ বর্ষে পড়াকালীন ক্লিনিক্যাল লিগ্যাল এডুকেশন, মুর্ট কোর্ট প্রতিযোগিতা ইত্যাদিসহ সিনিয়রদের সাথে আদালতে প্রত্যক্ষ বিচার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করে। বার কাউন্সিলে সনদ না থাকা মানে প্রত্যক্ষ বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানে না, এমন দাবি পুরোপুরি বেমানান।
#বার কাউন্সিলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে।
বার কাউন্সিলকে এ সুযোগ দিলে সেখানে অনিয়ম আরো বেড়ে যাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।