ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা আমাদের বিবেকের কোঠা শূণ্যতে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। খুব খারাপ লেগেছে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে এরা কি করছেন। রাহণীতিক সংগঠনের নেতাদের শিক্ষক বানিয়ে অন্যদের কু-হাব্বা কুড়াচ্ছেন। আমার খুব ভয় হয় এরা নিজ ঘরের ভিতর কি করতে চায়।
যৌন হয়রানী দায়ে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই প্রক্টরের নাম এবিএম সাইফুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ-যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের আগস্ট মাসে তারই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর প্রতারণা করার অভিযোগ এনেছিলেন। এনিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ওই ছাত্রী একবছর শিক্ষাবিরতি (ইয়ার লস) দিতেও বাধ্য হন।
২০০৯ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদানের দশ মাসের মাথায় সাইফুলের বিরুদ্ধে বিভাগের তৎকালিন তৃতীয় বর্ষের একজন ছাত্রী প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ আনেন।
২০১০ সালের ২ আগস্ট তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তাতে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এবিএম সাইফুল ইসলাম তার সঙ্গে একত্রে বসবাস ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তাকে বিয়ে করেন নি। ওই বছরের মে মাসে সাইফুলের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাইফুল তাকে প্রস্তাব দিলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
জুবেরি ভবনে প্রভাষক সাইফুলের জন্য বরাদ্দ কক্ষে তারা মাঝেমধ্যে একত্রে থাকতেনও। ছাত্রীটি বিবাহিত হওয়ায় শিক্ষক সুমন তার স্বামীকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো ওই বছরের ১৩ জুন ওই ছাত্রী তার স্বামীকে তালাকও দেন।
সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনের শিক্ষক কোয়ার্টারের ৩২৫ নম্বর কক্ষে থাকেন। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা একটানা ১২ দিন ওই ভবনে ছিলেন।
২০১০ সালের জুলাই মাসে ওই ছাত্রী জানতে পারেন সাইফুল কাউকে না জানিয়ে তার নিজ এলাকা লালমনিরহাটে গিয়ে অন্য এক মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছেন। এই খবর জানার পর থেকেই ছাত্রীটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। পরে ২ আগস্ট তিনি প্রতারণার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার কাছে যান। কিন্তু প্রক্টর তা গ্রহণ না করে উল্টো তাকেই ভর্ৎসনা করলে ছাত্রীটি কয়েক দফা আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে তার বাবা-মা তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
ওই ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে সে ২০১০ সালের ১৬ জুলাই থেকে শুরু হওয়া তাদের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাতেও অংশ নিতে পারে নি। ফলে তার একটি বছর শিক্ষা বিরতি ঘটে।
আমাদের বিবেকের কোঠায় আমরা কি দেখছি। এই বিষয়টা নিয়ে আমি ভদ্রলোকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেছিলাম। তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক তা প্রমাণ করেতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, আমি প্রমাণ ছাড়া কোন কথা বলতে রাজি নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নিয়োগ দেয় তাহলে আমার কিছু করার নাই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।