ভাঙ্গা-চোরা এই জীবনটা সাজাতে পারছিনা কিছুতেই
আকারে অতি মাত্রায় ক্ষুদ্র হওয়াতে বর্তমানে ন্যানোপ্রযুক্তি (Nanotechnology) ব্যাপক হারে ব্যাবহার শুরু হয়েছে ইলেক্ট্রনবিদ্যা (electronics), আলোকবিজ্ঞান (optics), জৈবচিকিৎসা বিজ্ঞান (bio-medicine)। সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রকৌশলে নির্মিত এইসব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র যন্ত্রাদি কেবল আণবিক পরিমাপকেই ধরা-বোঝা যেতে পারে। এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই, আকারে অনেক ছোট হওয়াতেই বরং সকলের লাভই হলো, কারণ আজকের দুনিয়ায় সবচেয়ে ছোট. গুরুত্বপুর্ণ আর নিরাপদ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র যন্ত্রগুলো অনায়াসেই মানব শরিরে ক্যান্সার একেবারে শুরুতেই নিরুপন করতে সক্ষম হচ্ছে। আরো মজার ব্যাপার হলো, এই ন্যানোযন্ত্রগুলো মানব শরিরের কোষগুলোর চেয়ে ১০০ থেকে ১০,০০০ ভাগ পর্যন্ত ছোট হয়ে থাকে। উদাহরণ দিতে গেলে এদের তুলনা করা চলে এনজাইমের সাথে।
ফলে এসব যন্ত্র খুব সহজেই কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে আর সারা শরিরে প্রবাহিত হয়। বিভিন্ন রকম জটিল রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে এসব যন্ত্র বেশ কার্যকরি ভূমিকা রাখছে বর্তমানে।
এমনি এক তাক লাগানো যন্ত্র মাইক্রসকপিক মটর বা Micro-motor। এটি চুলের চেয়ে কম পরিধির আর কাগজের থেকেও প্রায় ১০০ ভাগ পাতলা। কারণ, মানব শরিরের অভ্যন্তরে যেসব যন্ত্র ঘুরে বেরাতে পারে আর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও টিউমার অংকুরেই বিনাশ ঘটায়, তেমন যন্ত্রসব চালিয়ে নিয়ে বেড়ানো কেবল এরকম মটরের দ্বারাই সম্ভব।
এসব দেখে-শুনে মনে হচ্ছে, আমাদের দৃষ্টি শক্তি কতটাইনা ক্ষীণ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।