আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের মা একটাই হয়।

মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ

যে কোন মানুষের মাত্র একটাই মা হয়। আর একজন মায়ের সন্তান দশজনও হতে পারে। একজন মা যদি দশজন সন্তানকে অফুরন্ত ভালোবাসা দিতে পারে, তবে দশজন সন্তান কেন একজন মাকে ভালোবাসতে পারে না। আজকাল সমাজে এমন চিত্রের অভাব নাই যে, ছেলেরা বিয়ে করার পর স্ত্রীকে নিয়ে একেবারে আলাদা সংসারে জীবন যাপন করে। মা বৃদ্ধ হয়েছে- তাঁকে দেখভাল করার মতো একজন মানুষও দুনিয়াতে খুঁজে পাওয়া যায় না।

মা অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে যে সন্তানদের বড় করেছেন সে সন্তানেরাই মাকে একদম ভুলে থাকে। অভিজাত পরিবারের সন্তানেরা পাড়ি জমায় বিদেশে। মায়ে অসুখ হলে দেখার একজন মানুষও এ দেশে দেখা যায় না। এমন অনেক চিত্র চোখে পড়ে যে, মায়ের মৃত্যু হলে কবরে একমুঠো মাটি দেয়ার সুযোগ পর্যন্ত তাদের মেলে না। ইদানিং মাকে দেখভালের জন্য সরকার আইন করেছে।

এটা আমাদের সমাজ ও গোটা দেশের সন্তানদের জন্য বড় লজ্জা ও দুঃখের বিষয়। সন্তানের কাছ থেকে মাকে একচিমটি ভালোবাসা দেয়ার জন্য সরকার যন্ত্রকে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে, আমাদের সমাজের হাজারো মা নিদারুণ কষ্টে জীবন কাটাচ্ছেন। আর ঐ মায়েরই সন্তান সুখ-স্বাচ্ছন্দে বিলাস জীবন যাপন করছেন। মায়ের দশ সন্তানের একজন মারা গেলে আরো নয় জন কাছেই থাকে, কিন্তু তবু কোন মা সেই মৃত সন্তানকে মুহূর্তের জন্যও জীবনে ভুলতে পারেন না।

আরো সন্তান কাছে থাকা সত্ত্বেও একজন মাকে বছরের পর বছর এই মৃত সন্তানের জন্য চিৎকার করে কাঁদতে দেখেছি। আর পৃথিবীতে এমন মানুষ নেই যার মা দুই জন হয়। দুই মায়ের গর্ভে জন্ম গ্রহনের সুযোগ কাউকে আল্লাহ দেন নাই। এই একজন মা মারা গেলে কারো জীবনে কি আর কোন মা অবশিষ্ট থাকে ? সেই অদ্বিতীয় সম্পদের কদর করতে কিভাবে আমরা ভুলে যাই ? ঘর সংসারে যদি এমন কোন সাধারণ বস্তু বা শো-পিচ থাকতো যা আর দ্বিতীয় বার কিনতে পাওয়া যায় না। সেই জিনিসটির কিভাবে যতœ করতাম একটু ভেবে দেখুন।

আমরা সেই তুচ্ছ জিনিসটিরও কি ওই মায়ের মতো অবহেলা করতাম ? তাহলে এটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, সংসারের একটা সাধারণ বস্তুর মতোও মাকে ভালোবাসতে আমরা শিখিনাই। হায় ! পোড়া কপালী মা। এক মা যদি এতো সন্তানকে ভালোবাসতে পারেন তবে এতোগুলো সন্তান মিলে কি এক মাকে এ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.