আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানব জাতি সম্র্পকে লোমহর্ষক তথ্য-মানব জন্ম লাভে যৌনচার সাধনা একটি অপরিহার্য অঙ্গ!

সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....

সম্প্রতি বাউল সম্প্রদায়ের উপর এক বর্বর আচরনের অভূতপূর্ব নজীর স্থাপন করলেন স্থাণীয় কিছূ আওয়াশীলীগ নেতা এবং মোল্লা গং। যা সারা দেশে এবং সকল সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের কাছে ঘৃনিত বিসয় হিসেবেই চিন্হিত হয়ে আছে। এবং আদালতে মামলাও হয়েছে। আজকে একটা পোষ্ট আসলো..এই নামে.. বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য-বাউল সাধনা মূলত একটি আধ্যাত্বসাধনা, তবে যৌনাচার এই সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। এটা কি আওয়ামীলিগের নেতাকে রক্ষার পোষ্ট বলব? নাকি বাউলদের উপর মিথ্যা দোষারুপের পোষ্ট বলব? নাকি মানবতার বিরুদ্ধাচরনকারী এক বালখিল্যতার পোষ্ট বলব? নাকি বাঙালি সংস্কৃতি আর বাঙালী গুনি মানসদের হেয় করার পোষ্ট বলব? তবে লেখক উপন্থিত থেকেও অনেক মন্তব্যের জবাব দেননি-দু'একটা ছাড়া।

(এই পোষ্ট লেখার সময় পর্যন্ত। ) তার পোষ্ট পড়েই এই শিরোনাম খানা মাথায় কিলবিল করতেছিল। তাই এই লোমহর্ষক! তথ্যখানা শেয়ার করিলাম। ইহাকি সত্য নয়.. মানব জাতি সম্র্পকে লোমহর্ষক তথ্য-মানব জন্ম লাভে যৌন সাধনা একটি অপরিহার্য অঙ্গ! এবং সকল ধর্মও এই বিধানকে অকাট্য মানিয়া নিয়াছে। কেহ কোনরুপ অস্বীকার করিবার সাহস পায় নাই! যদিও সংখ্যা এবং নিয়ম কানুনে কিছু ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়- তথাপি মৌলিক বিষয়ে কেহই মূখ ঘূরায় নাই।

শৃংগারের ব্যাপারে বহুধা বিভক্ত মত থাকিলেও , সাকিংয়ে কারও কারও আপত্তি থাকিলেও (পরবর্তী শব্দের জন্য সকলে ক্ষমা করবেন-) ফাকিংয়ে কাররওই কোন আপত্তি বা বন্ধের নির্দেশনা নাই! সকলেই এই অমৃত সমান বস্তুর নিরন্তর সাধনা করিয়াই মানব সব্যতাকে আজকের পর্যায়ে লইয়া আসিয়াছেন। এই ক্ষনে এই অযুহাতে যদি বাউল সম্প্রদায়কে বিশেষ ভাবে দোষী করার চেষ্টা করা হয় তবেতো বোধকরি মানব সব্যতাতো বটেই এভং অভিযোগকারীগনও এই দোষে দোষী সাব্যস্ত হইবেন!। এই বিষয়ে লালন সাইয়ের কত কত পংক্তি আছে- সবতো মনে নাই-- এক স্থানে বলচেন- গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায় তাতে ধর্মের কি আসে যায়-- জাত গেল জাত গেল বলে একি আজব কারখানা- এই রকমই আমাদের স্ব-বিরোধীতা, আমাদের লুকোচুরি. আমাদের মূখুশ পরা সুশীলপনা, আমাদের ঘৃন্য গ্লানিকর আত্মসমর্পন, আমাদের বহুমূখি চরিত্রের বাইরে তারাতো একমূখি। তারা থোরাই কেয়ার করে এই চলতি বোধ আর বিশ্বাসকে। এই সম্মান আর অসম্মানের উদ্র্ধে এক আপন জগত নির্মান করে তারা তাতেই মগ্ন।

আর সেখানে যেই ঘৃন্য বিষয়গুলৌ এসেছে তা মূলের সাথে কতটা সম্পৃক্ত ভেবে দেখার বিষয়। আমরা যেমন এক ইসলাম আজ শিয়া সুন্নী, ওহাবী, জামাতী, তাবলিগী, এইরকম শতভাগে বিভক্ত.. এবং প্রত্যেকের আচার অনুস। টানও ভিন্ন তেমনি কোন ভুল ব্যখ্যা বা আচার অনুসরন কারীর জন্যতো একটা পুরো ধারাকে দোষী করা কোনভাবেই ঠিক নয়। আর যদি ঠিক হয় তবেতো নাস্তিকদের মোল্লাদেরভূলে ইসলামকে দোষী করাও যুক্তিযুক্ত হয়ে যায়! যায় নাকি? তাই সেই মহান! ব্লগারকে তার মন্তব্যেও বলেছি এই পোষ্টেও বলছি- লালনের মতো একখান লাইনও তো লিখতে পারবেন না। অথচ সেই মহাত্তার নামে কি কালীঝুলি লেপার অপচেষ্টা করলেন? এবং প্রকারান্তরে মৌলিক ইসলামরে না বোঝেই ইসলামরে গালী খাওয়ানোর আয়োজন পূর্ণ করে রাখলেন??? কেন ? কার স্বার্থে? কোন পেইড প্রজেক্ট? কোন অজ্ঞানতা থেকে? সেই মন্তব্য থেকেই বলছি.. নেটে(বলগার ইমন জুবায়ের), নেটের বাইরে লালন সাইয়ের উপর প্রচুর গবেষনা সমৃদ্ধ পোষ্ট আছে।

পারলে ঘুরে আসবেন, পড়বেন। জ্ঞান হবে। ধার্মিকের দোষে ধর্ম নস্ট হয়না, দোষী হলেও বা কিছুটা অবোধদের হাতে হয়.. ধর্ম কি আগে চিনুন। জানুন। এই দেশে ইসলামের নামে আজ যেই ধুয়া তোলেন- সেই দেশ কেন দূর্নীতে চ্যাম্পিয়ান হয়? এত এত মসজিদ তবু কেন প্রতিটার সিড়িতে নগ্ন বৃদ্ধ, নারী, শিশুদের লম্বা লাইন??? শুধূ সূরা মাউনকে অনুবাদ করুন।

বুঝুন। আপনার মুসলমানিত্ব যাচাই করুন। আগে মানুষ হোন। পরে জাতের বিচার করেন???

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।