গত কয়েকদিন আগে প্রথম আলোতে একটি লেখা পড়লাম। বিষয়বস্তু “সাম্প্রতিক বিশ্বকাপ থেকে আমাদের পর্যটন শিল্প কি পেল” এই বিষয়ক। লেখাটির মূল উপজীব্য ছিল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আমাদের পর্যটন কর্পোরেশন কী কী করতে পারত। কয়েকজন পাঠকের মন্তব্যও পড়লাম। দুই-একটি মন্তব্য এখানে তুলে দিলাম-
• আপনার কলাম যদি বিশ্বকােপর অগে দিত তাহলে মনে হয় তারা কিসু করতে পারত কারন তাদের ঘুম ভাংগাতে হয়
• Nicely written! Thoughtful writing! We have to think deeply and methodologically before our working.
• Ai lekhati World Cup shurur agei lekha uchit chilo.
• … … আশা করি আপনার এইলেখা থেকে কতৃপক্ষ শিক্ষা নিয়ে সামনের ২০১৪ সালের টি২০ বিশ্বকাপ সফল ভাবে আয়োজন করবে।
এই মন্তব্যের কারণেই আজকে আমার এই লেখার অবতারণা। মন্তব্যগুলো পড়ে মনে পরে গেল সামুতে প্রকাশিত “বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভারতীয়দের অধিপত্য নিয়ে যারা হাউকাউ করেছিল তারা এখন কি বলবেন? ”-শীর্ষক একটি পোস্টের কথা। ওই পোস্টটির মূল অভিযোগ ছিল – উদ্বোধনী অনুষ্ঠষ্ঠানের দুই মাস আগেই কেন ওই অনুষ্ঠানে কী কী থাকবে তা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ওই পোস্টটির মন্তব্য থেকে এখানে কয়েকটি উল্লেখ করছি-
মন্তব্য ২-এর উত্তরঃ “এটা সচেতনতা না, এটাকে বলে অচেতনতা। কান নিয়েছে চিলে অবস্থা আরকি”
যেই মানুষগুলো ওই তথাকথিত “হাউকাউ” করছিলেন, তারা বোধ করি কানে হাত দিয়ে দেখতেই চেয়েছিলেন যে কানটা ঠিক আছে কি না।
কিন্তু কান পর্যন্ত হাত নিতে প্রায় দুইমাস লেগে গিয়েছিল (ওই পোস্টের লেখকের দেয়া তথ্যমতে ৮ই ফেব্রুয়ারীর ২/৩ দিন আগে, যা কিনা বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র ১০/১২ দিন আগে)।
মন্তব্য ৩ “অনুষ্ঠানটা আগে হোক, তারপর দেখব”
“তারপর” মানে কী? এরপরের বার যখন বাংলাদেশ আবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আয়োজন করবে তখন?
মন্তব্য ৫-এর উত্তরঃ “অনুষ্ঠান সূচি বাংলাদেশ একা তৈরি করেনি যে কিছু হাউকাউ এর কারণে সব পরিবর্তন করে ফেলবে। এখানে সব কিছু করা হয়েছে আইসিসির পরিকল্পনা মতো”
ভাই, সব যদি আইসিসির পরিকল্পনা মতোই হয়, তাহলে সেই পরিকল্পনা জানতে চাওয়াটা কি অপরাধ?
মন্তব্য ৩৪ এ একজন ওই “হাউকাউ”এর বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন, আর এর উত্তরে দেখলাম একটা মজার মন্তব্য “আমরা মুরগির মাংসটা মুখে দেয়ার আগে বউকে কান বরাবর একটা মারব লবন কম দেয়ার কারণে, কি বলেন?” (মন্তব্য ৩৪ এ ও একই কথা। )
এখন মনে করেন বউ জীবনে প্রথমবারের মত রান্না করছে। আপনি খেয়াল করে দেখলেন যে, বাসায় লবণ নেই এবং বউয়ের সেদিকে খেয়ালও নেই।
লবণ ছাড়াই রান্না হওয়ার যোগার। তখন আপনি কি করবেন? খেতে বসে বলবেন লবণের কথা? নাকি রান্নার সময় মনে করিয়ে দেয়া ভাল?
মন্তব্য ৪৫ এর উত্তরঃ “মানব বন্ধন করার সময় কি তারা কনর্ফাম হইছিল আসলে কি হবে? নাকি কনফার্ম না হইয়া কাউ কাউ করছে?”
কোনভাবে কনফার্ম হতে না পেরেই কিন্তু মানব-বন্ধন করা হয়েছিলো। আয়োজক কমিটি ছোট একটি বিবৃতি দিলেই এই এত হাউকাউ করত না কেউ। (মন্তব্য ৬১ দ্র)
বাংলায় একটি প্রবাদ আছে-“ভাবিয়া করিও কাজ”। এখন ভেবে দেখুন ভালভাবে ভেবে কোন কাজ করবেন, নাকি কাজ করে মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে ভাববেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।