আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুমিল্লা বিভাগ চাই!! কুমিল্লা বিভাগ চাই!! -- ০৩ (কুমিল্লার ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ এবং পর্যটনের স্থানসমূহ)

কুমিল্লার ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ এবং পর্যটনের স্থানসমূহ: *শালবন বিহার ও প্রত্নতাত্ত্বিক যাদুঘর, কোটবাড়ী, কুমিল্লা (কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার। কুমিল্লা শহর হতে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়) *২য় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিক্ষেত্র ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি (কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৬কিলোমিটার। ইহা ক্যান্টমেন্ট এলাকায় অবস্থিত। কুমিল্লা শহর হতে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়) *বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা (কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার। কুমিল্লা শহর হতে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়) *স্থাপত্যশিল্পের অনন্য নিদর্শন শাহসুজা মসজিদ, মোগলটুলী, কুমিল্লা (কুমিল্লা শহরে অবস্থিত) *জগন্নাথ মন্দির, জগন্নাথপুর, পূর্ব বিবিরবাজার রোড, কুমিল্লা (কুমিল্লা শহরে হতে ৫ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত।

কুমিল্লা শহর হতে রিক্সা অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়) *ধর্ম সাগর, ত্রিপুরার মহারাজার খননকৃত দিঘী, (কুমিল্লা শহরে অবস্থিত) *কুমিল্লা শহরে অবস্থিত বৌদ্ধ বিহারের ধবংসাবশেষ, রূপবানমুড়া ও কুটিলামুড়া, বার্ড সংলগ্ন (কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৮ কিলোমিটার। কুমিল্লা শহর হতে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়) *জোড়কানন দীঘি, সুয়াগাজী, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা (কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৮কিলোমিটার। কুমিল্লা শহর হতে বাস অথবা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়) *জগন্নাথ দিঘী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা, কুমিল্লা (কুমিল্লা শহর হতে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। কুমিল্লা শহর হতে বাস যোগে যাওয়া যায়) *বীরচন্দ্র গণপাঠাগার ও নগর মিলনায়তন,কুমিল্লা (কুমিল্লা শহরে কান্দিপাড় সংলগ্ন) *শ্রী শ্রী রাম ঠাকুরের আশ্রম, রানীর বাজার, কুমিল্লা (কুমিল্লা শহরে রাণীর বাজার সংলগ্ন) *রামমালা পাঠাগার ও নাট মন্দির (লাকসাম রোড কুমিল্লা) *নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ী, নবাব বাড়ী, চৌমুহানী, কুমিল্লা *সংগীতজ্ঞ শচীন দেব বর্মনের বাড়ী, চর্থা নবাববাড়ী, চৌমুহানী, কুমিল্লা * রাজেশপুর বনবিভাগের পিকনিক স্পট, সদর দক্ষিণ উপজেলা, কুমিল্লা *গোমতী নদী, কুমিল্লা শহরের উত্তর পার্শ্বে, সদর উপজেলা, কুমিল্লা *পুরাতন অভয় আশ্রম (কেটিসিসিএ লিঃ), সদর উপজেলা সংলগ্ন *বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড, মুরাদনগর উপজেলা, কুমিল্লা *কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী বেগম নার্গিসের বাড়ী, দৌলতপুর,মুরাদনগর, কুমিল্লা *নবাব ফয়জুন্নেছার পৈত্রিক বাড়ী, পশ্চিম গাঁও, লাকসাম, কুমিল্লা *গলফ ক্লাব (কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট) * ময়নামতি প্রত্নস্থলের কিছু উল্লেখ যোগ্য স্থাপনা হল : ইটাখোলা মুড়াঃ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার ময়নামতী অঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক সৌধস্থল। এটি কুমিল্লা সদর উপজেলার কোটবাড়ি সড়কের ওপারে রূপবান মুড়ার উল্টোদিকে অবস্থিত।

এই প্রত্নস্থান পাহাড়ের গায়ের তিনটি স্তরে বিদ্যমান। প্রাচীনকাল থেকেই এই স্থানটি ইট পোড়ানোর খনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এজন্যই এর এরকম নামকরণ করা হয়েছে। কোটিলা মুড়াঃ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর ভীতর অবস্থিত এটি একটি ১২০০ বছর পুরনো প্রত্নত্ত্বাতিক নিদর্শন। স্থানীয়ভাবে প্রত্নস্থানটি কোটিলা মুড়া নামে পরিচিত।

খননের ফলে এখানে পাশাপাশি নির্মিত প্রধান তিনটি বৌদ্ধ স্তূপের নিদর্শন আবিস্কৃত হয়েছে। এ স্তূপগুলি বৌদ্ধ ধর্মের ত্রি-রত্নের (বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘ) প্রতীক। খননে সাত-আট শতকের দু’টি পাথরের মূর্তি, প্রচুর অদগ্ধ সীলমোহর ও নিবেদন স্তূপ এবং শেষ আব্বাসীয় খলিফা মু’তাসিম বিল্লাহর (১২৮২ – ১২৫৮) একটি স্বর্ণ মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। ফলে স্থাপনাটি সাত শতক থেকে তের শতক পর্যন্ত কার্যকর ছিল বলা যায়। শালবন বৌদ্ধ বিহারঃ শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম।

কুমিল্লা জেলার লালমাই-ময়নামতি প্রত্নস্থলের অসংখ্য প্রাচীন স্থাপনাগুলোর একটি এই বৌদ্ধ বিহার । কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত সব প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে শালবন বিহার অন্যতম প্রধান। কোটবাড়িতে বার্ডেরকাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এর সন্নিহিত গ্রামটির নাম শালবনপুর।

এখনো ছোট একটি বন আছে সেখানে। এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট। রূপবান মুড়াঃ কুমিল্লার প্রাচীন উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থানসমূহের মধ্যে রূপবান মুড়া অন্যতম। রূপবান মুড়া প্রত্নকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত প্রত্নসম্পদগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর মনে করে রূপবান মুড়া ৮ম শতাব্দীরও আগে নির্মিত। খননের পর এখানে একটি বিহার, একটি মন্দির, একটি ক্ষুদ্র স্তূপ ও একটি বেদীর স্থাপত্য নিদর্শন উন্মোচিত হয়েছে।

চারপত্র মুড়াঃ চারপত্র মুড়া ময়নামতীর একটি প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনস্থল। এটি লালমাই শৈলশিরার উত্তরাংশে কুমিল্লা সেনানিবাসের প্রায় মধ্যস্থলে অবস্থিত। এখানে খননের ফলে এক ক্ষুদ্র হিন্দু পীঠস্থান বা মন্দিরের (৪৫.৭ মিক্ম১৬.৮ মি) অস্তিত্ব উদ্ঘাটিত হয়েছে। পরিকল্পনা, আকৃতি, স্থাপত্য ডিজাইন ও অলঙ্করণের দিক থেকে এ মন্দির অসাধারন। যেভাবে যেতে হবে: ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত সড়ক পথের দূরত্ব মাত্র ২:৩০ মিনিটের।

বাস সার্ভিসের দিক থেকে তিশা এবং এশিয়া লাইন এগিয়ে। যেকোন একটিতে চড়েই যেতে পারেন কুমিল্লার পথে। যারা চট্টগ্রাম থেকে আসতে চান তাদের জন্য প্রীন্স সৌদিয়া ই ভালো হবে। তবে মজার ব্যাপার হলো চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা যেতে বাস এর তুলনায় ট্রেনে সময় কমই লাগে, মাত্র ৩:৩০ মিনিট। বাস এ সময় লাগে ৪:৩০ মিনিট এর মত।

কোথায় থাকবেন : রাতযাপন করার মতো হোটেলের অভাব কুমিলায় নেই। উলেখযোগ্য কিছু হোটেল হচ্ছে আবেদীন, নূরজাহান, আশিক, মেরাজ, ময়নামতি ইত্যাদি। এছাড়াও কুমিলায় রয়েছে বেশকিছু ভালোমানের রিসোর্ট। বার্ডে যোগাযোগ করলে সেখানেও থাকতে পারেন। আমাদের সকলের একটি প্রাণের দাবি কুমিল্লা বিভাগ চাই।

আমাদের এই দাবির সাথে আপনারাও একাত্মতা প্রকাশ করুন। যারা আমাদের সাথে যোগ দিতে চান তাদের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.