আমি বরাবরই মাথা ঠান্ডা রেখে কথা বলি। কিন্তু মাঝে মাঝে আমি তা বজায় রাখতে পারি না। ঐ একটাই কারন.....। কেন যে আমাদের পেছনে সবাই লেগে থাকে? বুঝি না!তো যাক সে কথা....আপনাদের কাছে এখন একটা গল্প বলি। আমি একদিন ভার্সিটিতে আমার বন্ধুদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
হঠাৎ এক বন্ধু বলে উঠল, "তুই তো শালা এমন জেলার লোক যার নামের আগে 'কু' আছে। "আমি চুপ করে থাকলাম। কিন্তু সে আমাকে নিয়ে এমনভাবে মজা নিতে আরাম্ভ করল যে আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। তো আমাদের কথাগুলো এরকম ছিল.....
কুমিল্লার পোলা : আচছা! তোর বাবা কোন জেলার লোক?
আমার বন্ধু : "অ" জেলার।
কুমিল্লার পোলা : আচছা! তোর মা কোন জেলার লোক?
আমার বন্ধু : "আ" জেলার।
কুমিল্লার পোলা : তাহলে তো তুই হাইব্রিড্। (চারদিকে হাসির রোল)
কুমিল্লার পোলা : এই তোরা চুপ থাক। (সবাই চুপ)
কুমিল্লার পোলা : তোরা মনে হ্য় কুমিল্লা নামের জটিলতা নিয়ে কিছু জানস না। এই
নামকরনের পিছনে একটা ইতিহাস আছে। কুমিল্লার লোক-
জন মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করার একটা সুনাম আছে।
এজন্য
ব্রিটিশ আমলে লর্ডক্লাইভ তার দরবারে একজন কুমিল্লার লোক
নিয়োগ দেন। লর্ডক্লাইভ তাকে ইংরেজী শব্দ 'কুল' বলে ডাকতেন।
কালক্রমে 'কুল' এবং 'মিল্লা' শব্দটি মিলে এ এলাকার নাম হয়ে
যায় কুমিল্লা। 'মিল্লা' হচ্ছে কুমিল্লার লোকাল শব্দ। এর মানে এক-
সাথে।
তো স্বাভাবিক অর্থে কুমিল্লা মানে যেখানে ঠান্ডা মাথার
মানুষ একসাথে থাকে।
তো আশা করি এই কেউ আর জটিলতা করবেন না। কারন কমিল্লার পোলা ১৮০ টাকা তোলা।
বি:দ্র: এটা আমার বানানো কাহিনী। কেউ যেন আবার ইতিহাস না ভাবে।
হি!হি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।