আশাবাদি,সমাজসচেতন এবং দেশপ্রেমিক
রাজার বিরোধিতা করার অপরাধে এক খ্রিস্টান, এক শিখ আর এক নাস্তিক ধরা পড়ল। তাদের সবাইকে গিলোটিনে গর্দান কেটে মৃত্যুদণ্ডের রায়ও দেওয়া হলো।
নির্ধারিত দিনে এক এক করে তাদের গিলোটিনে চড়ানোর জন্য নেওয়া হলো। প্রথমে খ্রিস্টান ব্যক্তির পালা। তাকে জানানো হলো, মরার আগে শেষবারের মতো প্রার্থনা করতে চাইলে সে করতে পারে।
খ্রিস্টান ব্যক্তিটি আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করল, 'হে প্রভু, তোমার এই অধম বান্দাকে গিলোটিনের হাত থেকে রক্ষা কর। ' এরপর সে গিলোটিনের নিচে তার মাথা পেতে দিল। দেখা গেল অবাক ঘটনা। গিলোটিনের ধারালো ব্লেডটি সাঁই সাঁই করে নামতে নামতে হঠাৎই তার মাথার ইঞ্চিখানেক ওপরে এসে থেমে গেল।
উপস্থিত জনতা গুঞ্জন করে উঠল_ কী অলৌকিক! কী অলৌকিক!
এবার শিখ ভদ্রলোকের পালা।
তাকেও শেষবারের মতো প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হলো। সে দু'হাত ওপরে তুলে আর্জি জানাল, 'আমার প্রভু মহা দয়াময়। তিনি আমাকে এই বিপদ থেকে রক্ষা না করে পারেনই না। তার ওপর আমার অনেক ভরসা। ' প্রার্থনা শেষে তিনি তার মাথা গিলোটিনে রাখলেন এবং এবারও অবাক করে ব্লেডটি ঠিক মাথার কাছে এসে আটকে গেল।
জনতার মধ্যে আবার গুঞ্জন উঠল_ কী অলৌকিক! কী অলৌকিক!
সব শেষে নাস্তিক ভদ্রলোকের পালা। তাকে প্রার্থনা করতে বলা হলো। সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে গিলোটিনটির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়েই থাকল। কয়েকবার বলার পরও যখন সে একই রকম চুপ থাকল, তখন তার মাথাটি ধরে গিলোটিনের নিচে রাখা হলো। ব্লেডটি নামানো হবে হবে, এমনই সময় সে বলে উঠল, 'ইউরেকা, বোধহয় আমি ব্লেড থেমে যাওয়ার কারণ পেয়েছি।
আরে বোকার দল, নিচ থেকে এক ফুট ওপরে একটা আংটায় বারবার ব্লেড আটকে যাচ্ছে, আগে ওটা সরাও'।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।