চারপাশে আত্মমুগ্ধ আদিমতাবোধ, আর গ্রন্থিবদ্ধ চিন্তা; সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজি...
ক্যানে তুই অবাক হবার চাইস বাহে!
দুনিয়াত অবাক হবার নাই কিছু,
সউগ কামে মন্তর ফুঁকি দেওয়া আছে-
হালের গরু আর ভূঁই, সাধের খোয়াব
তাবিজ করি দেলো ঐ...।
দেখিস না ক্যানে তুই
তিনশ বেশ্যা মিলি
ছিন্নি দিয়া যায় হামার খোয়াড়ৎ!?
বান্ধা গরু হাম্বা ডাকে
হাড়গোড় তার দেখি গুনিগুনি।
হায়! খুলির ঘাসও বন্দ্বক দেওয়া
ঐ সমিতির খাতায়;
এ্যালাও কেমন তুই ট্যান্ডালি করিস!
এ্যালাও কেমন তুই খোয়াব দেখিস?!
বাহে! ফমে নাই তোর?
তিস্তার সোত্ ভাঙ্গি দিয়া গেল সমস্ত কুল,
বুক চাপড় দিয়া কান্দিল সখিনার মাও
দয়াল ফিরাইলো না চক্ষু পাপিষ্ঠের দিকে-
মোর সখিনার মাও আর সখিনা
পেটে পাত্থর বান্ধি কান্দে
সেই ছবি ছাপে খবরের কাগজে
কি সোন্দর ছবি!
সেই থাকি দেবদূত আসে আর যায়
মাছ দিয়া যায় তারা বরষি না দিয়া,
কেমনে ধরি সে মাছ খালি হাত দিয়া?
ফমে নাই তোর!?
====================
শব্দার্থ: [রংপুরের আঞ্চলিক শব্দ]
খুলি = উঠোন; এ্যালাও = এখনো; সউগ = সব; ট্যান্ডালি = অহংকার; ফমে = মনে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।