অনেক কিছুই বলতে চাই। বলার সুযোগ দেন।
রমযানের রোযা ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। ঈমান, নামায ও যাকাতের পরই রোযার স্থান। রোযার আরবী শব্দ সাওম।
যার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- বিরত থাকা। পরিভাষায় সাওম বলা হয়, প্রত্যেক সজ্ঞান, বালেগ মুসলমান নরনারীর সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যমত রোযার নিয়তে পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও রোযা ভঙ্গকারী সকল কাজ থেকে বিরত থাকা। সুতরাং রমযান মাসে চাঁদ উদিত হলেই প্রত্যেক সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও প্রাপ্তবয়স্কা নারীর উপর পূর্ণ রমযানের রোযা রাখা ফরয।
রমযানের রোযার ফযীলত
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যমত, কিন্তু রোযা আলাদা।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। কেননা, বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করেছে। -সহীহ মুসলিম: ১১৫১(১৬৪)
হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নাবী কারীম সা. এর দরবারে আগমন করে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল বলে দিন যদ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি বললেন, তুমি রোযা রাখ। কেননা, এর সমতূল্য কিছু নেই।
আমি পুনরায় এসে তাঁর নিকট একই কথা বললাম। তিনি বললেন, তুমি রোযা রাখো। -সুনানে আহমদ: ২২১৪৯
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমযান মাসে রোযা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। -সহীহ বুখারী: ৩৮:২০১৪
রোযা না রাখার শাস্তি
হযরত আবু উমামা রা. বলেন, আমি নবী কারীম সা.কে বলতে শুনেছি, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। স্বপ্নে দেখলাম আমার নিকট দুই ব্যক্তি আগমন করল।
তারা আমার বাহুদ্বয় ধরে আমাকে এক দূর্গম পাহাড়ে নিয়ে গেল। তারপর আমাকে বলল, আপনি পাহাড়ের উপরে উঠুন। আমি বললাম, আমি তো উঠতে পারব না। তারা বলল, আমরা আপনাকে সহজ করে দেব। আমি উপরে উঠলাম।
যখন পাহাড়ের সমতলে পৌঁছলাম। হঠাৎ এক ভয়ংকর আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি বললাম, এসব কিসের আওয়াজ? তারা বলল, এটা জাহান্নামীদের আর্তনাদ। তারপর তারা আমাকে নিয়ে এগিয়ে চলল। হঠাৎ কিছু লোক দেখতে পেলাম, যাদেরকে তাদের পায়ের মাংশপেশী দ্বারা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের মুখের দুই প্রামত ছিড়ে ফেলা হয়েছে, আর তা থেকে রক্ত ঝরছে।
আমি বললাম, এরা কারা? তারা বলল, যারা ইফতারের সময় হওয়ার পূর্বেই রোযা ভেঙ্গে ফেলে। -সহীহ ইবনে খুযাইমা: ১৯৮৬
রোযার নিয়ত
সকল মৌলিক ইবাদত শুরু হওয়ার জন্য নিয়ত জরুরী। অনুরূপ রমযানের রোযার নিয়তও আবশ্যক। নিয়ত মৌখিক ভাবে করা জরুরী নয়; বরং মনে মনে সংকল্প করাই যথেষ্ট। রমযানের নিয়ত সকাল দশটা এগারটা পর্যমত করা যায়।
তবে রমযানের রোযা কাযা করার সময় রাতেই নিয়ত করা জরুরী। রমযান মাসে লাগাতার রোযা রাখার ক্ষেত্রে প্রথম দিনেই প্রতিদিনের জন্য নিয়ত করে রাখা যায়। – শামী:২/৩৭১,৩৮১, ফাতাওয়ায়ে উসমানী: ২/১৯১
সেহরী
হাদীস শরীফে এসেছে- তোমরা সেহরী খাও, কেননা সেহরীতে বরকত রয়েছে। সেহরী সুবহে সাদিকের পূর্বে রাতের একেবারে শেষভাগে খাওয়া উত্তম। -তিরমিযী: ১/১৫০
আযান পর্যন্ত সেহরী খাওয়া
অনেকে মনে করে আযান পর্যমত সেহরী খাওয়া যায়।
অথচ আযান হয় সুবহে সাদিকের পর। আর সেহরীর শেষ সময় সুবহে সাদিক পর্যমত। তাই আযান পর্যমত সেহরী খেতে থাকলে তার রোযা হবে না। অনেক সময় আযান পর্যমত পান খেতে দেখা যায়। পান মুখে দিয়ে আযান পর্যমত ঘুমিয়ে থাকলে রোযা হবে না।
-শামী:২/৪০৫, উসমানী:২/১৮৬
সেহরী খাওয়া ছাড়া রোযা
সেহরী খাওয়া সুন্নত, তবে তা রোযা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক নয়। তাই কেউ সেহরী খেতে না পারলেও তার সেহরী ছাড়াই রোযা রাখা জরুরী। নতুবা মারাত্মক গোনাহগার হতে হবে এবং রোযাও কাযা করতে হবে।
রোযাবস্থায় বমি
ইচ্ছাপূর্বক মুখ ভরে বমি করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। আর মুখ ভরে না হলে কিংবা ইচ্ছা ছাড়া একা একাই বমি হয়ে গেলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
তবে যদি বমি মুখে এসে যাওয়ার পর ইচ্ছা পূর্বক গিলে ফেলে তাহলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে। শামী: ২/৪১৪
রোযাবস্থায় ইঞ্জেকশন, সেলাইন ও ইন্সুলিন
ইঞ্জেকশন, সেলাইন ও ইন্সুলিন নিলে রোযা ভঙ্গ হয় না, তবে গ্লোকোজ ইঞ্জেকশন (যা খাদ্যের কাজ দেয়) নেয়া মাকরূহ। - উসমানী: ২/১৮১-১৮৬, কিতাবুল ফাতাওয়া: ৩/৩৯১-৩৯২
রোযাবস্থায় রক্ত দান
রোযা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে রোযা ভঙ্গ হয় না। তবে এই পরিমাণ বের করা মাকরূহ যাতে রোযাদার ব্যক্তি দুর্বল হয়ে যায় এবং রোযা রাখা তার জন্য মুশকিল হয়ে পড়ে। -কিতাবুল ফাতাওয়া: ৩/৪০০-৪০১
রোযাবস্থায় ধূমপান
রোযা রেখে ধূমপান করলে রোযা ভেঙ্গে যায়।
-শামী: ২/৩৯৫
টুথপেস্ট ও মাজন ব্যবহার
রোযাবস্থায় এগুলো ব্যবহার করা মাকরূহ, তবে মিসওয়াক ব্যবহার করা সুন্নত। -কিতাবুল ফাতাওয়া:৩/৪০১
ইনহেলার সালবুটামল, নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার
রোযাবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং কোন রোগীর দিনে ইনহেলার ব্যবহার করা ছাড়া কোন উপায় না থাকলে পরবর্তীতে রোযাটি কাযা করে নিবে। আর কাযা করা সম্ভব না হলে ফিদিয়া দিয়ে দিবে।
রোযাবস্থায় এন্ডোসকপি বা এনজিওগ্রাম
রোযা অবস্থায় এন্ডোসকপি বা এনজিও গ্রাম করালে রোযা ভঙ্গ হয় না। তবে যদি পাইপে কোনো ওষুধ লাগানো হয় কিংবা পাইপের মাধ্যমে পানি ছিটানো হয়, তা হলে রোযা ভেঙ্গে যায়।
রোযাবস্থায় ডুশ বা সাপোজিটর দেয়া
পিছনের রাস্থায় ডুশ বা সাপোজিটর দিলে রোযা ভেঙ্গে যায়।
নাক-কান ও চোখে ঔষধ দেয়া
কানে ও চোখে ঔষধ তেল বা অন্য কিছু দিলে রোযা ভঙ্গ হয় না। তবে নাকে ঔষধ দিলে তা গলায় চলে গেলে রোযা ভেঙ্গে যায়। -শামী: ৪০২, আলমগীরী: ১/২০৪
রোযাবস্থায় স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন ইত্যাদি
স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভঙ্গ হয় না। তবে হস্তমৈথুন, স্ত্রীকে চুম্বন ইত্যাদি করার কারণে বীর্যপাত হলে রোযা ভেঙ্গে যায় ।
-শামী: ২/৩৯৬-৩৯৯
মুসাফিরের রোযা
ক. কেউ রোযা রাখার পর দিনের বেলা সফর শুরু করলে তার ঐদিনের রোযা ভঙ্গ বৈধ নয়। খ. ৪৮মাইল বা ততোধিক দূরত্বে সফর করা অবস্থায় রোযা না রাখা বা ভঙ্গ করা জায়েয আছে। তবে পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে। গ. নিজ এলাকা থেকে ৪৮ মাইল দূরে গিয়ে কোন স্থানে ১৫ দিনের বেশি থাকার নিয়ত করলেও তার রোযা না রাখা বা ভঙ্গ করা বৈধ নয়। তবে ১৫ দিনের কম হলে পরে কাযা করার শর্তে রোযা না রাখা বৈধ হবে।
ঘ. রোযা না রাখা অবস্থায় সফর থেকে এলাকায় ফিরে এলে অবশিষ্ট দিন রোযাদারদের মতই না খেয়ে থাকা আবশ্যক এবং পরবর্তীতে তার কাযাও করে নেয়া জরুরী। -শামী: ২/৪২১, আলমগীরী:১/২০৬
নারীদের বিশেষ পিরিয়ডের সময় রোযা
নারীদের হায়েয ও নেফাসের সময় রোযা রাখা বৈধ নয়। এসময়ের রোযাগুলো পরে কাযা করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, হায়েয বা নেফাস থেকে দিনের বেলা পাক হলে দিনের অবশিষ্ট অংশ রোযাদারদের মত থাকা আবশ্যক। তবে সেদিনের রোযাও কাযা করতে হবে।
-তিরমিযী: ১/১৬৩, হেদায়া: ১/২০৪
রোযাবস্থায় ওষুধ সেবন করে মাসিক বন্ধ করা
এভাবে মাসিক বন্ধ করালে তার জন্য রোযা ভাঙ্গা বৈধ নয়। তবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলে তা করা উচিত নয়।
কোন্ ক্ষেত্রে কাযা করার সাথে কাফ্ফারাও দিতে হবে
রমযানের রোযা রাখার পর কোন ধরণের ওযর ছাড়া ইচ্ছাপূর্বক খাদ্য-পানীয় গ্রহণ বা নারীর যোনী পথ অথবা গুহ্যদ্বারে সহবাস করলে রোযা কাযা করার সাথে কাফ্ফারাও দিতে হবে। কিন্তু যদি কোন ওযরের কারণে বা অসর্তকতা বশত কিছু গলায় চলে যায় কিংবা খাদ্য ছাড়া অন্য কিছু খেয়ে ফেলে বা জাগ্রত অবস্থায় সহবাস ছাড়া অন্য কোন পন্থায় বীর্যপাত ঘটে তাহলেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং কাযা করতে হবে। তবে কাফ্ফারা আবশ্যক হবে না।
- হেদায়া: ১/১৯৯
রোযার কাফ্ফারা
রোযার কাফ্ফারা হল, কাযা রোযা ছাড়াও লাগাতার ৬০ দিন রোযা রাখা। যদি মাঝে কখনো বাদ পড়ে যায়, তাহলে আবার নতুন করে ৬০ দিন রোযা রাখতে হবে। কিন্তু যদি রোযা রাখতে সক্ষম না হয়, তাহলে ৬০ জন মিসকিনকে দু’বেলা পেট ভরে খাবার খাওয়াতে হবে। কিংবা একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দু’বেলা পেট ভরে খাবার দিবে। কিংবা প্রতি দিনের জন্য পৌনে দুইসের গম বা তার মূল্য প্রদান করা।
এক ফকিরকে এক দিনে ৬০ দিনেরটা দিয়ে দেয়া যথেষ্ট নয়। -তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ: ৫৫২
রোযার ফিদিয়া কার উপর আবশ্যক
যদি কোন ব্যক্তি একেবারে বার্ধক্যে উপনীত হয় কিংবা এমন রোগে আক্রামত হয়, যা থেকে মৃত্যু পর্যমত মুক্ত হওয়ার আশা করা যায় না, তার জন্য রোযা না রাখা এবং প্রত্যেক রোযার জন্য ফিদিয়া দেয়া জায়েয আছে। -আলমগীরী:১/২০৭
ফিদিয়ার সময়
রমযান শুরু হওয়ার পূর্বেই ফিদিয়া দিয়ে দিলে তা আদায় হয় না। তাই রমযান শুরু হওয়ার পরে বা শেষে ফিদিয়া দিতে হবে। -শামী: ২/৪২৭
ফিদিয়ার পরিমাণ
প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে এক মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ তথা সর্বনিম্ন পৌনে দুইসের গম কিংবা তার মূল্য প্রদান করা।
এক মিসকিনকে একই দিনে একাধিক রোযার ফিদিয়া দেওয়াও জায়েয আছে। -আলমগীরী: ১/২০৭
যে সকল ওযরে রোযা ভাঙ্গা জায়েয
ক. রোগাক্রামত হয়ে যাওয়ার কারণে রোযা রাখলে প্রাণের উপর আশংকা হলে বা রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় হলে। খ. গর্ভবর্তী নারী রোযা রাখলে নিজের বা বাচ্চার প্রাণের উপরে আশংকা হলে। - আলমগীরী: ১/২০৭
ইফতার
ইফতার করা সুন্নত। ইফতারের সময় হয়ে গেলে বিলম্ব করা নিষেধ।
ইফতার করানোর অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন, গোনাহ মাফ হওয়া, জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং ঐ রোযাদারের পরিমাণ সাওয়াব লাভ করা, হাউযে কাউসারের পানি পাওয়া। -তিরমিযী:১/১৫০
তারাবীহ
রমযানে তারাবীহর নামায আদায় করলে পিছনের সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায়। তারাবীহর নামায ২০ রাকাত। এর কম নয়।
এর উপরই সাহাবায়ে কেরাম ও খোলাফায়ে রাশেদীনের আমল রয়েছে। মক্কা ও মদীনা শরীফের মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববীতে সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকেই ২০ রাকাত তারাবীহের আমল চলে আসছে। আর নবী করীম সা. খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নতকে আকড়ে ধরতে বলেছেন। মুস্তাদরাক-৩২৯। আর মহান আল্লাহ তাআলা সাহাবায়ে কেরামের মতো ইমান আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূরা বাকারা -১৩। অতএব তারাবীহ ২০ রাকাতের চেয়ে কম পড়া ঠিক নয়। আর যেসকল হাদীসে ৮ রাকাতের কথা আছে, তা মূলত তাহাজ্জুদ সম্পর্কে বলা হয়েছে। কেননা, ঐ হাদীসে চার চার রাকাত একসাথে পড়ার কথা রয়েছে। অথচ তারাবীহ আদায় করতে হয় দুই দুই রাকাত করে।
তাছাড়া ঐ হাদীসে ৮ রাকাত পড়াটা নবীজীর রমযান ও অন্যান্য মাসের আমল বলা হয়েছে। অথচ, অন্যান্য মাসে তারাবীহর নামায নেই।
এছাড়া বায়হাকী, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ইত্যাদি গ্রন্থে হযরত ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত আছে, নবী করীম সা. রমযানে ২০ রাকাত ও বিতর নামায পড়তেন। হাদীস নং ৭৭৭৪। এই হাদীসটিকে কেউ কেউ দুর্বল বলে থাকেন।
অথচ যে হাদীস মোতাবেক সাহাবায়ে কেরাম, খোলাফায়ে রাশেদীন ও উম্মতের আমল থাকে, তা হাদীসের দুর্বলতা কাটিয়ে তাকে শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য করে দেয়
সূত্রঃ http://rahmaniadhaka.com/?cat=31
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।