"The five worst maladies that afflict the female mind are:indocility,discontent,slander,jealousy and silliness...such is the stupidity of her character,that it is incumbent on her,in every particular,to distrust herself and to obey her husband."(Japan,the Land of the Rising Sun.)
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য গাড়ির সামনে-পেছনে পেঁ পুঁ বাজিয়ে গাড়ি যায়। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কি জানেন,এই শহরের ফুটপাতে কত অসংখ্য নারী চল্লিশ-পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি কি খোঁজ খবর নিয়েছেন কখনও?দেশ থেকে পতিতালয় উঠিয়ে মেয়েদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা যদি নারী হয়ে না নেন,তবে নেবে কে?আহ্ একদিন যদি প্রধানমন্ত্রীকে হাতের কাছে পাই!মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে ইটা মেরে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীর কাচ ভেঙ্গে ফেলি। তারপর যা হবার হবে।
আমাদের সংবিধানে নাকি নারী-পুরুষের সমান অধিকারের কথা লেখা আছে?হাঃ হাঃ হাঃ।
'মুকছুদোল মো'মেনিন'- নামে একটি বই আছে,বইটি আমাদের অশিক্ষিত,মুর্খ ও বর্বর মুসলমানদের অতি প্রিয় একটি বই। এই বইয়ে যে অদ্ভুত চিকিৎসাপ্রণালী বর্ননা করা হয়েছে,তাতে একটি বিজ্ঞাননির্ভর উন্নয়শীল সভ্য দেশের লজ্জিত হওয়া উচিত। ঘরে আগুন লাগলে উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার বললে আল্লাহ'র কৃপায় আগুন নিভে যায়। আরো আছে,বন্ধ্যা স্ত্রীলোকের সন্তান হওয়ার জন্য একটি 'তদবির' লিখে গলায় ঝুলিয়ে দিলে এবং ৪০টি লবঙ্গের মধ্যে ৭ বার কোঁড়ে একটি দোয়া পড়ে প্রতিরাতে খেলে- নাকি গর্ভে সন্তান হয়। (হাঃ হাঃ হাঃ,পায় যে হাসি,ভগবান পড়বে ফাঁসি।
)
হুমায়ূন আজাদ তার প্রবন্ধে লিখেছেন-রবীন্দ্রনাথের সারকথা হচ্ছে -নারীর রুপের মূল্য নেই,জ্ঞানের মূল্য নেই আরও,নারীর মহিমা তার গৃহকাজে বা দাসীত্বে এবং তাকে বন্দি করে রাখতে হবে গৃহে। আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথের প্রেম পর্বের গান গুলো শুনলে মনের ভেতর আশ্চর্য এক শক্তি জেগে উঠে। স্বার্থই যেন মানুষের কাম্য না হয়। "For men must work/And women must weep." অর্থাৎ- কোনও তর্ক নেই,যুক্তি নেই,ন্যায়-অন্যায় নেই,মেয়েদের কর্ম হচ্ছে- পুরুষের আকাট মুর্খতার জন্য চোখের জল ফেলে খেসারতি দেওয়া। কিন্তু আশ্চর্য,এ বেদনাটা প্রকাশও করে আসছে পুরুষই কবি রুপে।
পশ্চিম বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে তসলিমা নাসরিন দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় 'ভাবনায় ভোট' নামে এক কলামে লিখেছেন- বাংলাদেশের নেত্রীদের মতো মমতা ব্যানার্জি বাবা বা স্বামীর মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেননি। আজ ১৭ বছর আমি আমার দেশ থেকে নির্বাসিত। দেশ ক্রমশ দূরে সরেছে। অস্পষ্ট হয়েছে স্মৃতি।
হারিয়ে গিয়েছে যা ফেলে এসেছি সব। বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তন এসেছে। পুরনো শাসকের অরাজকতার দিন আর নেই। কিন্তু আমাকে সে দেশে বাস করার অনুমতি দিতে মনোভাবের যে পরিবর্তন প্রয়োজন,সেই পরিবর্তনের কোনো আভাস এখনো নেই।
নারী শয়তানের আকৃতি ধরে নিকটে আসে এবং শয়তানের আকৃতিতে ফিরে যায়।
যখন তোমরা কেউ নারী দেখে সুখানুভব করো এবং তোমাদের অন্তরে সে পতিত হয়,তখন সে যেন তার স্ত্রীর দিকে মন আকৃষ্ট কোঁড়ে নেয় এবং তার সাথে সংগম করে। কেন-না,তার অন্তরে যা আছে,তা সংগম দ্বারা বিদূরিত হয়ে যাবে। (বোখারি হাদিস)আর একটি হাদিস বলার লোভ সামলাতে পারছি না- স্বামী তার স্ত্রীকে চারটি কারনে প্রহার করতে পারেন। এর মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে,সংগমের উদ্দেশ্যে স্বামী যদি স্ত্রীকে আহ্বান করেন এবং স্ত্রী সেই আহ্বানে সাড়া না দেয়। (তিরমিজি হাদিস)মহানবী (সাঃ) বলেছেন- সোমবারের সহবাসের সন্তান খোদাভক্ত ও কোরানে হাফেজ হয়।
(হাঃ হাঃ হাঃ,পায় যে হাসি)মহাভারত,রামায়ন,গীতা,বাইবেল,কোরান,হাদিস সকল ধর্ম এবং ধর্ম সংক্রান্ত গ্রন্থ'ই আমরা মাথায় তুলে রাখি। আসলে ১৪শো বছর আগের নানাবিধ তুচ্ছতা,ক্ষুদ্রতা ও তাবৎ আরবীয় ঘটনা-দুর্ঘটনার উর্ধ্বে উঠে এমন এক স্তরে পৌছেছে যে,সততা ও মহত্বের কথা ছাড়া বাকি অসততা ও অধর্মকে বর্জন করবার ক্ষমতা অর্জন করেছে মানূষ!
পৃথিবী জুড়ে বিশ্বাসের ভাঙ্গচুর হচ্ছে বলে আজকাল দেশে দেশে এত অশান্তি এবং বিশৃংখলা। এক দেশের সাথে আরেক দেশের এত রেষারেষি। আন্তজার্তিক দস্যুতা,শক্তির দম্ভ এবং এক দেশের স্বাধীনতার ওপর অন্য দেশের হামলা। আমরা বিশ্বাসকে হারিয়েছি বলে- জীবনের সবচেয়ে বড় মূল্যবোধকেও হারিয়ে ফেলেছি।
জীবনের প্রতি সত্য নিষ্ঠা নেই বলে আমরা প্রতি কাজে এমনকি বন্ধুত্ব,ভালোবাসা এবং প্রেমেও ছল-চাতুরি এবং স্বার্থবুদ্ধির আশ্রয় নিই।
পৃথিবীটা কত সুন্দর,মোহনীয় এবং আনন্দোজ্জল। এখানে যারা ঝগড়া-বিবাদ বাঁধায় তারা নির্বোধ। তারা শুধু নিজেরদের আনন্দ ধ্বংস করে না,অন্যের আনন্দকেও ধ্বংস করে। একটি দেশের সাধারন মানূষেরা রাজনীতি বুঝে না,কুটনীতি বুঝে না,সচিবালয়,মন্ত্রনালয়,গনতন্ত্র এবং সংবিধান বুঝে না।
তারা শুধু শান্তিতে থাকতে চায়।
(চলবে....)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।