প্যাকেজ কবিতা মানে একটা কবিতা বলবো আর কিছু কথা বলবো। কবিতা আর কথা দুইটাই ফ্রি। প্রথমে কবিতা বলি কারন কাজের কথা প্রথমে সেরে নেয়া ভাল।
আমি বাতাসে ভাসিয়ে দিলাম
খবরটা জেনে নিয়ো
মানুষের মাঝে আছে অমূল্য রতন
মানুষটা করে যেন তাহার যতন।
(কবিতাটা লিখেছেন মধ্যযুগের এক বঙ্গ কবি।
নাম পরিচয় অজ্ঞাত। )
এখন আসি কথার প্রসঙ্গে। কথা আসলে কথা না, কথা হইলো স্মৃতি। একান্তই ব্যাক্তিগত স্মৃতি। আমার প্রথম গভীরভাবে প্রেমে পড়ার স্মৃতি।
আজকে নচিকেতাকে টিভিতে দেখে প্রেমের স্মৃতি জ্বলে উঠলো আপন শক্তিতে। কালকেও কোন এক অনুষ্ঠানে লাইভ নচিকেতার গান শুনিয়েছে। কিন্তু উপস্থাপকের কারনে তাকে বেশিক্ষন শুনতে পারি নাই। সে যাকগে,
আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন আমার একটা ভালো মেয়ে বন্ধু ছিল। তাকে আমার ভালো লাগতো।
তার কথা শুনে ভাল লাগতো। সে(স্ত্রী) দেখতে শুনতেও খারাপ না বরংচো মাশৃ আল্লাহ ভালো। তার সাথে তখনও আমার প্রেমের কোন সম্পর্ক ছিল না। একদিন বন্ধুরা মিলে ফাজলামু করতে করতে তার(স্ত্রী) একটা ছবি তার বাসা থেকে মেরে দেই। মেরে দেই মানে, জানে মারি না, পকেট মারি।
এতো নিঁখুত ভাবে মারি যে সে(স্ত্রী) টেরই পায় না। এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক পর.....হু তাই হবে, রাতের বেলা বিছানায় বাত্তি নিবাইয়া শুয়ে আছি। ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শুনতেছি। প্রথম আসামি নচিকেতার গান বাঁজছিল। "তুমি দিয়ো নাকো বাসর ঘরের বাত্তি নিবাইয়া"...........
ও স্যরি, আপনারাতো আমার ফাজলামো নাও বুঝতে পারেন।
স্যরি।
গানটার নাম ছিল...... শুনে থাকলে কাতারের সাথে দাঁড়ায়, হাত তোলেন। আচ্ছা থাক, আমি এক কাজ করি আপনাদের গেয়েই শুনাই, (হু হু হু হু হু হু....হু হু হু হু হু হু ...লা লা লা লা লা.... লা লা লা লা লা.... আনমনে তার ছবি এঁকেছি তার সপ্নের স্রোতে ভেসেছি, সে আমার হ্রদয়ের স্পন্দন তার চোখে আকাশকে দেখেছি.......) বাহ লেখাটা শেষ করেই গানটা আবার শুনতে হবে। সে যাকগে, সে দিন সে অল্প বয়সে গানটা আমার এতো ভাল লাগলো, এতো ভাল লাগলো যে, আমি বাধ্য হয়ে রোবটের মতো চলতে শুরু করলাম, টেবিলের কাছে গেলাম, ড্রয়ারের তালা খোলে বই বের করলাম। বইয়ের ভেতর থেকে বের করলাম তার(স্ত্রী) ছবি।
ছবির দিকে তাকায় ভাবলাম এই মেয়েটার জন্যে তো আমি সব করতে পারি, সে যদি একবার বলে আমি তার(স্ত্রী) সে(স্ত্রী) আমার। তাইলে নগদ মরে গেলেও লোকসান নাই।
তার পর আর কি?" আঙ্গুলও কাটিলাম কলমও বানাইলাম"।
"রংধনুর ঐ সাত রং মনেরই ক্যানভাসে মেশালাম, আঁকলাম একটা ছবি, সে যে তুমি আর তুমি" বাহ গানটাকে পৃথিবীর সবচেয়ে রোমান্টিক গানের স্বীকৃতি দেয়া দরকার। শালা একটা গান একটা প্রেম ঘটায় দিল।
একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষ।
ভাবা যায় কত দিন আগের কথা। কোথায় সে(স্ত্রী) আর কোথায় আমি। ভাবতেই অবাক লাগে সে(স্ত্রী) এখন অন্য লোকের স্ত্রী। " "অনেক আগে তুমি অন্যের হলে ভাবতেই জলে চোখ ভিজে যায় এ্যা এ্যা এ্যা.....,অতো কষ্ট কেন ভালবাসায় ।
"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।