Click This Link
মোবাইল ফেসবুকে ছবিগুলো দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছিল। ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুটো বাচ্ছা মেয়েকে টেনে হিচড়ে থাপ্পড় মেরে শারিড়ীক ভাবে নির্যাতন করছে একদল উটতি বয়সের ছেলে। শিশুগুলো থাপ্পর থেকে বাচতে মাথার চারদিকে হাত দিয়ে চিৎকার করে কাদছে। আর পাশে দারানো আছে আরো অনেকে।
কেউ দাত কেলিয়ে হাসছে। কেউবা ছুটে আসছে আরো দুটো মারতে। কেউবা আবার বাচ্ছা দুটোর চুল ধরে টানছে। বাচ্ছাগুলোর বয়স আনুমানিক ৮-৯।
১।
ঘটনাটি পড়লাম নিম্নত্তো লিংক থেকে:
Click This Link
২। ফেসবুকের লিংকে পেলাম একটি পিটিসন
Click This Link
এই বাচ্ছাগুলোই আমাদের ছোট বোন বা কাজিনদের সাথে তুলনিয়। ঘটনাটি পড়ে ছোট বেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল। কারণ আমি নিযেও কতবার আইসক্রিম খাওয়ার লোভে বাবার শার্টের পকেট থেকে টাকা চুরি করেছি। মা অফিসে যাওয়ার সময় দরজার সামনে হাত পেতে দাড়িয়ে থাকতাম।
দু-এক টাকা পাব এ আসাই। আর সুযোগ পেলে তো কণফার্ম পাচ দশ টাকা মারতামই। আবার দূরের হাটে বাজার করতে যেতাম প্রায়ই। তো বুঝুন অবস্হা। প্রতি কেজিতে দু টাকা করেও যদি ধরি তাহলে বুঝুন কত আয় হতো মাত্র কয়েক ঘন্টাই!!!!!!!!
হাঁ ধরাও খেতাম।
মারও খেতাম। তবে বেশির ভাগ সময় তা টম এন্ড জেরির ইদুর বিড়াল খেলাই পরিণত হত যেখানে আমার বাবা আমাকে ব্যপক দৌরানি দিতেন। এবং মাক্সিমাম টাইম বাবা আমার সাথে পেড়ে উঠতেন না এটাইতো স্বাভাবিক!!!!!!!
তবে এই বাচ্ছাগুলোর মা বাবা আছে কিনা বা থাকলেও তারা সন্তানদের টেক কেয়ার করেন কিনা তা নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে। যখন এদের স্কুলের অন্য বাচ্ছাদের সাথে মারা মারি বা লাফা লাফি করার কথা। যখন এদের থাকার কথা ক্লাসরুমে তখন এরা যাই রুটি চুরি করতে।
ব্যাপাড়টা আর যাই হোক ফান বা ফ্যেনটাসীয় নয় এটা আমি নির্দ্ধিদায় বলতে পাড়ি। পেটের দায় না থাকলে কেউ এ কাজ করতো না।
৮-৯ বছরের এই বাচ্ছাদের কি এমন করার আছে যা দিয়ে ওরা নিজেদের ব্যবস্হা নিজেরাই করতে পারে?? সমাজ এদের কি দিয়েছে?? আমি আপনি এদের কি দিতে পেরেছি???
কিন্তু ধরুন এই বাচ্ছাগুলাই এক দিন বড় হল। কি দিবে এরা আমাদের সমাজকে?? ঢাকা শহরে চার পাচশঁ টাকা দিলে মানুষ মানুষকে নাকি খুন ও করে। তো যে সব বাচ্ছারা কখনো বাবা মায়ের সান্নিদ্ধ পায় না, পাই না ভালো কোন বন্ধু তাদের থেকে এর বেশি কি ই বা আশা করা যায়??
এ তো গেল সমাজের একটা অন্ধকার দিক যা আমি বলব পরোপুরি আমাদের নিজেদের সৃষ্টি।
এবার আশা যাক শাস্তি প্রসঙ্গে। হাঁ শাস্তিই বটে। সৌদিআরব হলে তো এদের পাথর ছুড়ে মারা হত বা নিদেন পক্ষে হাত কেটে দিত। তো আমরা না হয় দু-একটা থাপ্পড় মারছি এ আর এমন কি??
হইতো কিছুই না আবার অনেক কিছুই।
আমি এক ধরণের নিউজ অনেক বার শুনেছি।
যখন নেহাত পেটের দায়ে
মাও সন্তানকে বেচে দিয়েছে বা সন্তানকে মেরে নিজেও আত্নহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
ধরুন আপনাকে আমি দু দিন খাবার-পানি না দিয়ে অভুক্ত অবস্তাই রাখলাম। আপনি কি করতেন?? আপনি কি অন্যের পেটে চুরি ঠেকাটে দিদ্ধাবোধ করতেন??
ছবিতে যাদের দেখছেন দাত কেলিয়ে হাসতে তাদের জন্য আপনার আমার হৃদয়ে সুধু ঘৃন্যাই উচ্ছিস্ঠ আছে। এক বার নিজেকেও ভাবুন না তাদের যাই গাই। উত্তর না হয় আমাকে নাই বল্লেন কিন্তু নিজের বিবেককে কি না বলে পাড় পাবেন?? আপনি ভাবছেন আমি নিজে এমন করি তাই আপনাকেও দোস দিচ্ছি।
বেশ। বলুন তো গুলশান সিগন্যালে যে পথশিশুরা আপনার দিকে শূন্য হাত বাড়িয়ে দিয়ছিল তার কয়টা শূন্য হাত আপনি পূর্নকরে দিয়েছেন??
প্রশ্ন আসতে পারে এভাবে কি এদের ভাগ্য উন্নয়ন সম্ভব?? সুধু পথশিশুদের কটা টাকা দিলেই কি সব স্যমসা সমাধান হয়ে যাই?? পাশাপাশি এ ও তো সত্য যে এই বাচ্ছাগুলোকে দিয়ে কিছু লোক রীতিমত ব্যবসা করছে।
অসমাপ্ত....
পরের পর্ব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।