১. সঙ্গীকে সম্মান করুন। যখন দুজন মুখোমুখি বসে আলাপ-আলোচনা করছেন তখন সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়েই তা করুন। অহেতুক আলোচনার সময় বার্তা পাঠানো বা মুঠোফোনের কল গ্রহণ করবেন না। যদি খুব জরুরি কল হয়, তবে কল গ্রহণের আগে অনুমতি নিন।
২. মুঠোফোনে কখনও চিত্কার করে কথা বলবেন না।
মানুষ স্বাভাবিক আলোচনার সময় যেভাবে কথা বলে মুঠোফোনে কথা বলার সময় গড়ে তার চেয়ে তিনগুণ জোরে কথা বলে। তাই মুঠোফোনে কথা বলার সময় অবশ্যই গলার আওয়াজের দিকে খেয়াল রাখবেন।
৩. খাবার টেবিলে আপনার সঙ্গীকে সময় দিন। অহেতুক মুঠোফোন বের করবেন না। খাবার টেবিলে বসে আপনার সঙ্গী বসে থাকবে আর আপনি অন্য কারও সঙ্গে মুঠোফোনে বার্তা আদান-প্রদান বা কল করে সময় কাটাবেন এটা কেউই চাইবে না।
খাবার টেবিলে দুজন সময় কাটাতে চাইলে অবশ্যই মুঠোফোন সাইলেন্স মোডে রেখে তবে সিটে বসবেন। টেবিলের ওপর মুঠোফোন রাখবেন না।
৪. যেসব জায়গায় মুঠোফোন হঠাত্ বেজে উঠলে সবাই বিরক্ত হতে পারে বা যে জায়গাগুলোতে নীরবতা পালন করা উচিত সেসব স্থানে অবশ্যই মুঠোফোন বন্ধ করে রাখবেন। মসজিদ, উপাসনালয়, পাঠাগার, হাসপাতাল, দাফন-কাফনের স্থান, শবযাত্রা প্রভৃতি জায়গায় এবং যেসব স্থানে মুঠোফোন ব্যবহার নিষেধ সেখানে অবশ্যই মুঠোফোন বন্ধ রাখবেন।
৫. মোবাইলে ভয়েস মেইল চালু রাখতে পারেন।
আপনি যখন অন্য কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন তখন ভয়েস মেইল আপনার কলগুলোর জবাব দেবে।
৬. লাইনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনের ব্যবহার অন্যের জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে। লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ফোন কল গ্রহণ করার সময় যাতে আর কারও কাজে ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ ফোন কল গ্রহণ করতে হলে লাইন ছেড়ে দেওয়া ভালো।
৭. গাড়ি চালানোর সময় কখনও মুঠোফোন ব্যবহার করবেন না।
গাড়ি চালানোর সময় মুঠোফোনে কথা বলা বা বার্তা পাঠানো ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। এই পয়েন্টটিকে মোবাইল শিষ্টাচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন গবেষকেরা।
৮. মুঠোফোনে গাল-মন্দ, ঝগড়া-বিবাদ, যুক্তি-তর্ক এড়িয়ে যান। আপনি যখন মুঠোফোনে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান তখন আপনার আশেপাশের ব্যক্তিরা আপনাকে খেয়াল করে দেখে। তাঁরা মুঠোফোনের অপর প্রান্তের লোকের কথা শুনতে পান না কিন্তু আপনার কথা শুনতে পান।
আপনি কী বলছেন সেটিই সবার কানে লাগে এবং সবাই আপনার কথা-বার্তা শুনে আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা নিতে পারে।
৯. মুঠোফোনে কথা বলার সময় অবশ্যই ভাষার ব্যবহারে সংযত থাকবেন। জনসম্মুখে মুঠোফোনে কথা বলার সময় মোটেও মন্দ কথা বলা উচিত নয়।
১০. প্রত্যেকের ব্যক্তিগত স্থানের দিকে খেয়াল করেই তবে মুঠোফোনে কথা বলবেন। যখন জনসম্মুখে কথা বলবেন তখন খেয়াল রাখবেন আপনার নিকটস্থ ব্যক্তির চেয়ে কমপক্ষে দশ ফুট দূরে আছেন আপনি।
কারণ এ দূরত্বটা ব্যক্তিগত স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
১১. শ্রেণীকক্ষে, পরীক্ষা কেন্দ্রে মুঠোফোন ব্যবহার বন্ধ রাখুন। মুঠোফোনে বিনা অনুমতিতে ছবি তোলা, ভিডিও করবেন না। জনসম্মুখে উচ্চস্বরে মুঠোফোনে গান শুনবেন না।
গবেষকেরা বলেন, মুঠোফোনের শিষ্টাচার মানুষের ভদ্র ব্যবহারের পরিচয় দেয়।
মানুষের চোখের সামনে কী ঘটছে মুঠোফোনে কথা বলা ও বার্তা পাঠানোর ফলে সেদিক থেকে মনোযোগ সরে যায়। মুঠোফোনের ব্যবহার হতে হবে যুক্তিপূর্ণ, ভদ্রভাবে । আশেপাশের মানুষকে যথাযথ সম্মান দিয়ে তবেই মুঠোফোনের ব্যবহার করুন। ...........Collected
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।