আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১২টি সহজ ভেষজ চিকিৎসা



অসুখ বিসুখ তো প্রত্যেকদিন লেগে আছে কারো না কারো। সেই সাথে লেগে আছে কেটে- ছিলে যাওয়া, পুড়ে যাওয়ার মতন নানান রকম দুর্ঘটনা। সব কিছুর ক্ষেত্রে কি আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায়? অনেক অসুখ বিসুখ আছে, যাদের চিকিৎসা শতভাগ ঘরোয়া ভাবেই সম্ভব। একটা জিনিশ ভাবুন তো, পুরানো আমলে তো চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। তখন মানুষ কি দিয়ে চিকিৎসা করতেন নিজেদের? হ্যাঁ, তখন চিকিৎসা হতো ভেষজ বা হারবাল উপায়ে।

এই ভেষজ চিকিৎসা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনই সহজলভ্য আর নিরাময় ক্ষমতা সম্পন্ন। আসুন, জেনে নেই কয়েকটি সহজ ভেষজ চিকিৎসা সম্পর্কে। ১) দাঁত ব্যথা করছে খুব? একটি পেয়ারার পাতা নিয়ে ভালো করে চিবাতে থাকুন। চিবিয়ে রস বের করে নিন। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা উপশম হয়।

২) শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে হবে রোজ কমপক্ষে একবার। নিয়মিত সেবনে কষ্ট নিরাময় হবে। ৩) পেট ফাঁপা কেবল বাচ্চাদের নয়, বড়দেরও অসুখ। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হবে।

৪) অনেকেরই গায়ে প্রচণ্ড ঘামের দুর্গন্ধ হয়। গা না হলেও পায়ে তো হয়য়ই। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন কয়েকদিন। নিরাময় হবে। ৫) ঠোঁটের দু’পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়।

গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়। ৬) পেটে কৃমির সমস্যা খুব যন্ত্রণাদায়ক। বাচ্চাদের জন্য তো অবশ্যই। তেঁতুল পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ নারকেল খেতে পারেন।

এতে পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে। ৭) নাক দিয়ে রক্ত পড়লে ডাবের পানি রোজ খাওয়া উচিত। এর সঙ্গে খালি পেটে নারকেল খেলেও নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। ৮) যেসব মায়েরা সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ খাওয়াতে পারেন না তাদের জন্যে কলমি শাক দারুণ উপকারী। কলমি শাক বেটে ১/২ চামচ রস ঘি দিয়ে সাঁতলে নিয়ে দিনে দুবার সকালে ও বিকালে খেলে মায়ের দুধ বাড়বে।

কলমি শাকের ভাজা খেলে তাতে কিন্তু কাজ হবে না। ৯) অজীর্ণ রোগে বা বদহজমে নিমের ছাল আদর্শ ওষুধ। ৪/৫ গ্রাম নিমের ছাল এককাপ গরম পানিতে একরাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেলে অজীর্ণ সেরে যাবে। ১০) লিভার বা যকৃতের ব্যথা সারাতেও নিম এক নম্বর। ১ গ্রাম নিমের ছাল, ১/২ গ্রাম কাঁচা হলুদ ও ১ গ্রাম খানিক শুকনো আমলকির গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

১১) যে সব শিশু রাতে না ঘুমিয়ে ছটফট বা কান্নাকাটি করে তারা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগে। এদেরও অল্প গরম দুধের সাথে (গরুর দুধ) ২০/২৫ ফোঁটা কলমির রস খাওয়ালে এদের কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে। তবে, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খাওয়ানো ভালো। ১২) মুখে উঠেছে ব্রণ? একটু খানি লবঙ্গ বাটা লাগিয়ে দিন ক্ষত স্থানে। দ্রুত মিলিয়ে যাবে, আবার দাগও থাকবে না।

সুত্র- ইন্টারনেট

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.