all in one
আমরা খুবই পরিচিত ফরম্যাট শব্দটার সাথে। এটার মুল ব্যবহার হল ডিজিটাল ষ্টোরেজকে
ব্যবহারযোগ্য ও এড্রেস্ড করা।
ফরম্যাট মুলত ২ রকমের -
১. হাই লেভেল ফরম্যাট
২. লো লেভেল ফরম্যাট
১. হাই লেভেল ফরম্যাট -
আমরা কেন ফরম্যাট কমান্ড ব্যবহার করি?
আমরা এই কমান্ডটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেনে বা না জেনে ব্যবহার করি। আমরা যে অপারেটিং সিস্টেমই ব্যবহার করিনা কেন ফরম্যাট কমান্ডটি ও/এস এর বিল্টইন ফিচার ড্রাইভ/ভলিউম কে ব্যবহার উপযোগী/ডাটা কিভাবে ষ্টোর হবে, এসবের উদ্দেশ্যেই ফরম্যাট ব্যবহার হয়। বিভিন্ন ধরনের ও/এস বিভিন্ন ধরনের ফরম্যাট ইউজ করে. যেমন - উইন্ডোজ এনটি/২০০০/২০০৩/এক্সপি ইত্যাদি ফ্যাট৩২/এনটিএফএস ফাইল সিষ্টেম।
আবার ডস সাপোর্ট করে ফ্যাট/ফ্যাট১২/ফ্যাট১৬/ফ্যাট৩২। লিনাক্স ইক্সটি২/ইএক্সটি৩।
যাই হোক, ও/এস এর উপর ডিপেন্ড করে আমরা ফরম্যাট কমান্ডটি এপ্লাই করি। ফরম্যাট করার মূল উদ্দেশ্য হল ভলিউমকে ব্যবহার উপযোগী বা ডাটা রিড/রাইট করার ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ ফরম্যাট করলে ডাটা মুছে যায় এই ধারনাটা আমাদের ভুল।
প্রশ্ন আসে কিভাবে?
এখন চিন্তা করেন, ফরম্যাট করার পরও কিভাবে ডাটা রিকাভারি করা যায়।
একটা কথা - ডাটা রিকোভারি কিন্তু কোন ব্ল্যাক ম্যাজিক না। এইটা একটা লজিক, আমি এই কথাটা বার বার বলছি, লজিক ছাড়া এটা আর কিছু না।
আমরা যখন মাইক্রোসফট এর উইন্ডোজ ব্যবহার করি ২ রকমের ফরম্যাট কমান্ড পাই। কুইক এবং ফুল।
এদের মধ্যে পার্থক্য কি?
ফুল ফরম্যাট: এই কমান্ডটি প্রয়োগ করলে সকল ডাটার ইনডেক্স ডিলেট হয় এবং প্রত্যকটি সেক্টর চেক হয় যদি কোন ইরর কিংবা ব্যাড সেক্টর থাকে। এই কারণে, ফুল ফরম্যাট করলে অনেক সময় নিয়ে ফরম্যাট হয়।
কুইক ফরম্যাট: কুইক ফরম্যাট করলে ডাটার ইনডেক্স ডিলেট হয় শুধুমাত্র। সেক্টর স্ক্যান/চেক হয়না এই কারণে এটা অল্প সময় নেয়। কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলে ড্রাইভ/ভলিউমটি চেক করতে পারবেন নিম্নোক্ত কমান্ড প্রয়োগ করে -
Start>Run>CMD>OK. এবার লিখুন chkdsk /r D: (যে ড্রাইভটি আপনি স্ক্যান/চেক করতে চান তা এইখানে উল্লেখ করুন) তারপর ENTER চাপুন।
একটা ব্যাপার আমরা ক্লিয়ার হলাম যে, ফরম্যাট করলে ডাটা ইনডেক্স ডিলেট হয় কিন্তু ডাটা ডিলেট হয়না আর এই সুবিধাটা কাজে লাগিয়েই আমরা ডাটা রিকোভারি করতে পারি।
ডাটা রিকোভারির সংজ্ঞাটা আমি আবার ব্যাবহার করছি। এই সংজ্ঞাটা আমার নিজের করা -
Which Datas are Existed into the Digital Storage Media But Invisible & Inaccessible to the users, to make those datas visible & accessible to the users is called DATA RECOVERY.
যার বাংলা দাড়ায় - যেসব ডাটা ডিজিটাল ষ্টোরেজ মিডিয়াটিতে আছে কিন্তু স্বাভাবিকভাবে অদৃশ্য এবং ইনএক্সেস্সিবল, এই সকল ডাটাগুলোকে দৃশ্যমান এবং এক্সসি্সিবল করাটাই হল ডাটা রিকোভারি।
লো লেভেল ফরম্যাট -
আমরা জানি সকল ইলেকট্রিক্যাল সিগনাল বাইনারি অর্থাৎ ০, ১ দিয়েই এক্সিকিউট হয়। ০ মানে অফ আর ১ মানে অন।
ডাটা ইন্টিগ্রিটি ০ আর ১ এ সমন্বয়। ড্রাইভ এ ডাটা রেকর্ডিং এর ক্ষেত্রে হেক্সাকোড ০-৯ এবং এ-এফ ব্যবহৃত হয়।
সহজ কথায়, লো লেভেল ফরম্যাট কমান্ড দিলে সকল সেক্টরে ০ লিখা হয়। অর্থাৎ লো লেভেল ফরম্যাট এর পর ডাটা রিকোভার করা যায়না।
অনেকের মনে হয়তবা প্রশ্ন ছিল লো লেভেল ফরম্যাট ইউটিলিটি কোনটা ভাল?
সবগুলো একই কাজ করছে।
কোন পার্থক্য নেই। শুধুমাত্র নামে পার্থক্য।
লো লেভেল ফরম্যাট করলে হার্ডড্রাইভের সেক্টরএ কোন করাপ্শন থাকলে সেগুলো ০ লিখার মাধ্যমে স্বাভাবিক হয়ে যায়। অর্থাৎ এটা হল লজিক্যাল ব্যাড সেক্টরএর কারণে অব্যবহারযোগ্য হার্ডড্রাইভটি ব্যাবহারযোগ্য করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।