সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
স্থানীয় কুচক্রীদের ঘৃণা জানিয়ে বিষপানে গতকাল আত্মহত্যা করেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগী এলাকার হতদরিদ্র কৃষক মো. মমিনউল্লাহর ষোড়শীকন্যা ইয়াসমিন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সফিকউল্লাহর ছেলে বখাটে জহিরউদ্দিনকে নূরুল হক ডাক্তারের বাড়ি থেকে গরুচুরির সন্দেহে আটক করে এলাকাবাসী। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী সাফু মাঝি চুরির বিচার করবেন বলে এলাকার মাতবর নূরের জামান, লোকমান, দুলালসহ অনেকের কাছে মুচলেকা দিয়ে জহিরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। আজ সোমবার এ ঘটনার বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু শনিবার অভিযুক্ত জহিরকে চুরির অভিযোগ থেকে বাঁচানোর জন্য সাফু মাঝিসহ প্রভাবশালীরা কৃষক মমিনউল্লাহর (হাফেজিপড়ুয়া) কিশোরী কন্যা ইয়াসমিন আক্তারের নাম জড়িয়ে অপবাদ প্রচার করতে থাকে।
তারা প্রচার করে, জহির ও ইয়াসমিনের গোপন সম্পর্কের কারণে শুক্রবার রাতে জহির দেখা করার জন্য ওই বাড়িতে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে ইয়াসমিনের মা হোসনেয়ারা বিষয়টি মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেন। বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরাও বিষয়টির সত্যতা জানতে চান। ইয়াসমিন জানিয়েছিলো জহিরউদ্দিনের সাথে তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নাই। '
ষড়যন্ত্র করে তাকে জড়িয়ে অপবাদ প্রচার করায় অপমানে লজ্জায় এলাকার নূরুল হক ডাক্তার বাড়িতে সে আত্মহত্যা করে।
একই বাড়ির ইয়াসমিন স্থানীয় নুরানি মাদ্রাসার ছাত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে অপবাদের লজ্জা ঢাকল যা প্রভাবশালী সমাজপতিদের মুখে প্রচন্ড ঘৃনার চপেটাঘাত। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সমাজের এই সকল ঘৃন্য মাতবররূপী পশুদের ধিক্কার জানাই যারা একটি নিরাপরাধ নিস্পাপ কিশোরীর মৃত্যুর কারণ হয়। ইয়াসমিনের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানাই।
সূত্রঃবা-প্রতিদিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।