বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন]
খ্যাতনামা তুর্কি ইসলামী বুদ্ধিজীবি ও চিন্তাবিদ আদনান ওকতার ১৯৫৬ সালের ২রা ফেব্রুয়ারী তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় জন্মগ্রহণ করেন। হারুন ইয়াহইয়া তার সাহিত্যিক ছদ্মনাম । ডারউইনবাদ ও বস্তুবাদের বিরুদ্ধে তার বুদ্ধিবৃদ্ধিক গবেষণার ফলে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
তিনি আঙ্কারায় হাইস্কুল পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। শৈশব থেকেই তিনি ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি সজাগ ছিলেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯৭৯ সালে তিনি ইস্তানবুলে আসেন এবং মিমার সিনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই তিনি মার্ক্সিস্ট ও বিবর্তনবাদীদের সংস্পর্শে আসেন। বলা যায় তখন থেকেই তার সংগ্রাম শুরু।
তিনি তার আশেপাশের লোকদের মাঝে বিবর্তনবাদীদের ভ্রান্ত ধারণা খন্ডন করে দেখান এবং আল্লাহ্র একত্ববাদ প্রচার করেন। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বিশ্ববিদ্যালয় পাশ্ববর্তী মোল্লা মসজিদে প্রকাশ্যে সালাত আদায় করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি খুব ভাল ছবি আকতেন। তার আঁকা অসংখ্য ছবি তিনি তার বন্ধুদের উপহার হিসেবে দেন।
আদনান ওকতার ধর্মহীনতার বিরুদ্ধে যেন সংগ্রামে লিপ্ত।
তিনি তার বইগুলিতে ইসলামের জীবন আদর্শের কথা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি ভোগবাদী ও বস্তুবাদী মানুষের ধর্মহীনতা, বিবর্তনবাদীদের মিথ্যা প্রচার ও ধর্ম বিষয়ে অজ্ঞতার অশুভ পরিণাম নিয়ে মুসলিমদের সতর্ক করেছেন। ওকতার মনে করেন বিভিন্ন জাতিগত বিদ্বেষের মূলে রয়েছে মিথ্যা এক তথাকথিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। বর্তমান যুগের বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ এই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। এসবের মিথ্যা বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হলো ডারউইনের তথাকথিত বিবর্তনবাদ।
২০০৬ সালের অক্টোবরে তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ The Atlas of Creation এর প্রথম খন্ড (৮০০ পৃষ্ঠা ও ওজন ১২ পাউন্ড) প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খন্ড প্রকাশিত হয়। তুর্কী ভাষায় প্রকাশিত এই বই পরবর্তীতে ইংরেজী, জার্মান,চায়নীজ, ফ্রেঞ্চ,ইতালীয়, উর্দু, হিন্দী ও রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা হয়। বর্তমানে তার অনেক কার্যক্রমই বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। বিবর্তনবাদ ও বস্তুবাদের মোকাবিলায় আধুনিক, নির্ভরযোগ্য ও তথ্যবহুল শতাধিক গ্রন্থ, ডকুমেন্টরী, ওয়েবসাইট নিয়ে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন।
বিঃদ্রঃ
(১) অনেকেই মনে করেন বিবর্তনবাদ কেবল জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু এটি শুধুমাত্র জীববিজ্ঞানের মতবাদ নয়, এটি একইসাথে অনেক দর্শনতত্ত্বের ভিত্তি যা পৃথিবীর অসংখ্য মানুষকে ভুল পথে প্রভাবিত করেছে ও করছে।
(২)The Atlas of Creation সম্পর্কে অনলাইনে তথ্য পাওয়া যাবে http://www.atlasofcreation.com লিঙ্কটিতে।
তথ্যসূত্রঃ
http://www.harunyahya.com/
http://www.atlasofcreation.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।