বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ জননেতা তারেক রহমানের সপ্তম কারাবন্দী দিবস আজ। বিএনপি দিনটিকে তারেক রহমানের কারাবরণ দিবস হিসেবে পালন করবে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো এ উপলক্ষে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মাইকিংয়ের মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার, লিফলেট বিতরণ ও জাতীয় দৈনিকসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ। এ ছাড়া শুক্রবার রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম এবং শনিবার ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দিনটি পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের গণজমায়েত করার কথা থাকলেও হরতালের কারণে তা স্থগিত করা হয়।
২০০৭ সালের আজকের এই দিন ভোরে কোনো ওয়ারেন্ট, মামলা, জিডি এমনকি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিতর্কিত সেনা সমর্থিত সরকারের নির্দেশে জরুরি বিধি মামলায় ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরদিন দায়ের করা হয় কাফরুল থানা পুলিশ একটি জিডি ও গুলশান থানায় চাঁদা দাবির মামলা। পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করে ১৭টি সৃজনকৃত মামলা।
গ্রেফতারের আগে ও পরে গোয়েবলসীয় কায়দায় এক শ্রেণীর মিডিয়া তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ নানা মিথ্যাচারের কল্পকাহিনী ছড়িয়ে তার চরিত্র হনন ও ইমেজে কালিমা লেপনে লিপ্ত হয়।
কিন্তু অদ্যবিধি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি সরকার।
১/১১-এর ষড়যন্ত্রকারীদের মূল টার্গেট হন তারেক রহমান। সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের দুই বছর ও বর্তমান সরকারের ৪ বছরে রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে ট্রাস্কফোর্স, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সকল সংস্থাই দেশে-বিদেশে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদা দাবি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। ইতোমধ্যে তাকে দুটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
কারান্তরীণ অবস্থায় তারেক রহমানের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়।
দীর্ঘ এক বছর চার মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। ১১ সেপ্টেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার্থে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।