আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকদের বোধচক্র লাটিমের ঘুর্ণিপাক: অবোধ মিথ্যাচার নাকি জ্ঞানপাপীর পাপ মার্গারোহন !!!!

সেই চিরবিদ্রো.... যে লড়াই , কখনো শেষ হয়না....

মানুষ সীমাবদ্ধ জীব। তাই অসীমে কৌতুহল তার আজন্ম। সেই অসীম সন্ধানে, তার সীমার বাইরে অসীম সত্যকে লাভে সে আকাশ পাতাল মন্থন করে ঘুরছে আদি থেকে অনন্তে। এও তার স্বভাব ধর্ম। কৌতুহল, জিগীষা নিয়েই মানুষ আজকের পর্যন্ত এসেছে।

অনেক অনেক জাতি এরচেও এগিয়ে আবার বিলিন হয়ে গেছে। আমরাও বিলিন হয়ে যাব একসময় আসবে অনাগত সম্প্রদায়... এই স্বভাব ধর্মই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে মানুষকে তার জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করেছে। কেউ কেউ সেই জ্ঞান মার্গে আরোহন করে অন্যদের জন্য সত্য রেখে গেছেন। পরবর্তীতে আবার লোভ স্বার্থ অজ্ঞানতা, না বোঝার পাল্লায় পড়ে মূল সত্য ঢঅকা পড়ে গেছে অবোধ ক্রিয়াকর্মে। মানুষ আবার সত্যান্বেষনে উদগ্রীব হয়েছে।

কালে কালে এভাবেই ধর্মের আগমন, বিবর্তন, বিলোপ, স্থিতি চলছে। এই ক্ষনে যারা নাস্তিক্য নামে ভাবের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেত ভাবছে আমরাই কালের পরিবর্তনের মহা হাতিয়ার !! তারা হয় অবোধ নয় মহা মূর্খ। !! কারণ এই অবিশ্বাসী ন-আস্তিক সম্প্রদায় হালের কোন আবিস্কার নয়। কালে কালে এরা ছিল। এবং পরিণতি হয়েছে ধ্বংসের।

মহাশাস্তি আস্বাদন করে তারা সত্যকে বিশ্বাস করেছিল যখন সেই বিশ্বাস আর তাদের কোন কাজেই আসেনি। সামুতে তারা বিশেষত ইসলাম এবং ইসলামের টার্মস, নর্মস গুলৌ নিয়ে হামলে পড়েছে! তেমনি ইসলামের নির্দেশ হইতাছে কাফের হত্যা করা, দেশে ইসলাম কায়েম করা। কোরআনের যুদ্ধ সম্র্পকিত ঘোষনা নিয়ে মহা আবালের মত তারা অনুসিদ্ধান্তে পৌছে গেছে যেহেতু এই ধর্ম গ্রন্থে এই রুপ আয়াত বিরাজমান তাই ইহা অগ্রহনযোগ্য! এটি মধ্যযুগের র্ববর ধর্ম! ব্লা ব্লা ব্লা....। এটি কিংবা তাদের মন্তব্যের (৪নং)বাহার দেখূন.. "লেখক(আসিফ মহিউদ্দিন) বলেছেন: ধরেন ভুডু ধর্মের নিয়ম হইতাছে অন্য ধর্মের মানুষরে কাইট্টা খায়া ফেলা। তখন কি তাদের বিশ্বাসে আঘাত করা একজন মানুষ হিসেবে আমার কর্তব্য না? তেমনি ইসলামের নির্দেশ হইতাছে কাফের হত্যা করা, দেশে ইসলাম কায়েম করা।

মধ্যযুগীয় বর্বর ব্যাবস্থা, শরিয়তী আইন কায়েম করা। তখন কি সেই বিশ্বাসরে আদর সোহাগ করা উচিত, না লাত্থি মারা উচিত? !!!! == তাদের বিশ্বাস কত ভুল! তাদের উপস্থাপনা কত নোংরা? তারা মিথ্যাচারে কত পারদর্শী !!! লক্ষ্য করুন। এই বিষয়ে উনার পোষ্টে মন্তব্যে বলেছিলাম .. বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ বলীহারি!!!! কি শান্তি!! .. দুঃখ লাগে এই সমুদয় বুদ্ধিজীবি ভাইরাই কেন বুইঝাও বোঝেন না!। । ।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ যখন আমরা অস্ত্রের ডাক দেই তখন আমরা উজ্জিবীত হই। কেন? এটা আমাদের আত্মার প্রয়োজন। আমাদের মুক্তির প্রশ্ন। আমরা রক্থ নদী নয় রক্ত সাগর বইয়ে দিয়ে হলেও দেশকে স্বাধীন করতে রাজি। জীবন যৌবন, সন্তান, সূখ সব বিসর্জন দিয়েও আমরা জয় বাংলা বলতে বলতে হাসিমূখে বুলেট বুকে নিতে পেরেছি।

কারণ আমাদের মুক্তির স্বপ্ন। ঐ সময়ের প্রেক্ষাপটে নিরবে নিভৃতে যখন ইসলামের দাওয়াতের কাজ চলছিল যখন বছেরর পর বছরে শুধু মুক্তচিন্তক মুসলমান হবার অপরাধে ঘরবাড়ী, দেশ থেকে বিতাড়িত হতে হচ্ছিল... সহায় সম্পদ জীবন সব কেড়ে নিচ্ছিল কাফেররা, নিজ মাতৃভূমি থেকে উচ্ছেদ করছিল শুধু একটা বিশ্বাস করার কারণে... তার প্রতিক্রিয়ায়, আত্ম রক্ষায়, অস্তিত্বের প্রয়োজনে যখন যুদ্ধের হুকুম হল .. তাকে আপনি এইভাবে সাজালেন????? আপনার উপস্থাপনায়তো মনে হয় মুক্তিযুদ্ধকেও বোধকরি আপনারা একসময় হত্যা, আর রক্ত নদীর বিভৎসতার মোড়কে আবৃত এক ঘটনা বানানোর ভয়ংকর চেষ্টা করবেন!!। তাই একটা জাতি গোষ্ঠির পিছনে কোন ইন্ধন বা পেইড না হলে বোধকরি এমন অন্ধ উপস্থাপনা সম্ভব হতোনা। আপনি দয়া করে যদি না জানার দলের হোন তবে ছোট্র ইশারই আপনার জ্ঞান চক্সু খোলার জন্য যথেষ্ট। আর যদি আত্মবিকৃত হয় থাকেন (জানিনা ক্ষমা করবেন, সম্ভাবনা হিসেবে উত্থাপিত) তবে বিষয় ভিন্ন।

আপনার জন্য দোয়া আপনি যেন শীঘ্রই সত্যালোকে আলকিত হতে পারেন। ইসলাম কখনোই আগ্রাসী যুদ্ধকে সমর্থন করে না। আত্ম রক্ষা এবং অস্তিত্বের প্রয়োজনেই কেবল তা অনুমোদীত। আপনাদের সুশীল এবং চেতনাধারীদের কাউকেই দেখলাম না আমি্রকার সাম্রাজ্যবাদী আক্রমন ইরাক, আফগানিস্থান, লিবিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, অসমীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে কথা বলতে!!!! আপনি যদি মানবতাবাদীই হয়ে থাকেন তবে ধর্ম বর্ণ পরিচয় নির্বিশেষে সকল মানবতার জণ্য আপনার প্রাণ কাঁদবে। আর যদি কোন পেইড প্রোজেক্ট হয় তবেই বোধকরি এমন অন্ধ এক রঙা আইডলজি ধারন করা সম্ভব।

যা দুঃখজনকই বটে। আপনার শুভবোদয় হোক। == এখন এই আপেক্ষিকতা কি শুধু নিদিষ্র্ট সময় কেন্দ্রীক!! একাত্তরে আমরা যে চেতনায় উদ্ধুদ্ব হয়েছি... ৭ই মার্চের ভাষন আমাদের রক্তে যে আগুন জ্বালিয়েছীল তা কি শুধূ ঐ রেসকোর্সেই সীমাবদ্ধ ছিল ??? না বরং তা বালাদেশের আপামর জনগণের জণ্য প্রেরণা হয়ে থাকবে চীরদিন। যেই আত্মত্যাগ আর শত্রুকে ঘৃণা এবং দমনের যেই চিরন্তন বোধ তাকি শুধু কোন কালের ফ্রেমে আবদ্ধ!!! না তা সব সময় সব কালে মুক্তি পিয়াসী মানুষের জন্যই প্রযোজ্য!!!!! তবে? আপনাদের এই বাল খিল্যতা কেন? কেন বহুমূখী চরিত্র!!! দেশ আর ধর্মের মাঝে, বিশ্বাস আর আমজনতার হৃদয়ে সর্বদা রক্ষক্ষরণের এই ড্রাকুলা বাসনা কেন?? শুধূই নিজেকে ভিন্ন কিছু বলে জাহিরের অদম্য বাসনা? নাকি বিকৃত আত্মার প্ররোচনা!!! সুস্থ সুন্দর আত্মাতো মঙ্গলের কথা বলবে। শান্তির কথা বলবে।

মুক্তির কথা বলবে। আর কথিত গংয়েরা কি করছে??? ৮০ ভাগ মানুষের বিশ্বাসকে আঘাত আর জিঘাংষায় মিথ্যাচারের মাধ্যমে ক্রোধান্বিত করছে!!! তারা যেন লাটিমের ঘূর্ণনের মতো একই পাকে চক্রে ঘূর্নি খাচ্ছে!!! অতিজ্ঞান! অজ্ঞানতায় তারা ক্রমশঃ পাপমার্গেই আরোহনে ব্যস্ত ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়!!!! তাদের আত্মা মুক্তি হোক। সুন্দর সত্য পথের সন্ধান লাভ করুক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.