যে কারণে কানের পর্দা ছিঁড়ে যেতে পারে তাহলো-
- কোনো কিছু দিয়ে কান খোঁচালে।
- কোনো কিছু ঢুকলে তা অদক্ষ হাতে বের করার চেষ্টা করলে।
- হঠাৎ বাতাসের তীব্র চাপে। যেমন_কানে থাপ্পড় দিলে, বিস্ফোরণে, ঘুষি লাগলে।
- হঠাৎ পানির তীব্র চাপে।
যেমন গভীর পানির নিচে সাঁতার কাটলে, ওয়াটার পোলো খেললে, ডাইভ দিলে।
- মাথায় আঘাত পেলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে।
উপসর্গ
- প্রথমে তীব্র এবং পরে অল্প অল্প ব্যথা হবে।
- অল্প ছিঁড়ে গেলে শুনতে সমস্যা হবে, বেশি ছিঁড়ে গেলে বধিরতা হবে বা কানে শোনা যাবে না।
- কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হতে পারে।
- কারো কারো মাথা ঘোরাতে পারে, যদিও তা স্বল্পকালীন।
- কান পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, কানের পর্দায় ছিদ্র আছে এবং ছিদ্রের চারপাশে এলোমেলো ও লাল হয়ে আছে।
- বহিঃকর্ণে রক্ত জমাট হয়ে থাকতে পারে।
চিকিৎসা
- কানে ইনফেকশন যেন না হয় সে কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে।
- ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল খেতে হবে।
- কানে কোনো পানি দেওয়া যাবে না।
- কান খোঁচানো যাবে না।
- কানে কোনো ড্রপ দেওয়া যাবে না।
- সাঁতার কাটা যাবে না।
- দুই সপ্তাহ পর রক্ত জমা থাকলে তা বের করতে হবে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ দিয়ে।
যদি দেরিতে চিকিৎসার জন্য কান থেকে পুঁজ পড়া বা ইনফেকশন হয় তখন বহিঃকর্ণ ও মধ্যকর্ণের প্রদাহ হিসেবে চিকিৎসা করাতে হবে।
যদি কানের পর্দায় ছিদ্র থেকে যায় তাহলে তিন মাস পর মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে কানের পর্দা জোড়া লাগাতে হবে; যা এখন বাংলাদেশেই হয়।
অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী
নাক কান গলা বিভাগ
মেডিক্যাল কলেজ ফর উইমেন্স, উত্তরা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।