একবার একটা নাটক দেখছিলাম।
নায়ক আহমেদ রুবেল আর নায়িকা সম্ভবত সুমাইয়া শিমু।
স্ত্রী শিমুর দিকে তাকিয়ে খালি রুবেলের আফসোস হয়। বিধাতা তাকে এত রুপমাধুর্য দিয়েছেন খালি তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে । তার এত রুপ কিন্তু সে বোবা ।
তার সাথে রুবেল কথা বলতে পারে না। রুবেলের খালি মনে হয় এত সুন্দর তুমি তোমার কন্ঠস্বর না জানি কত সুন্দর।
অবশেষে রুবেল অনেক দুষ্প্রাপ্য একটা ওষুধ জোগাড় করে শিমুকে খাওয়ায় । রুবেল তো খুশিতে আটখানা। তার প্রিয়ার কন্ঠ শুনতে পারবে।
কিন্তু বিধি বাম। সুন্দর সুন্দর প্রেমালাপের বদলে তাহার কন্ঠ থেকে ঝরতে থাকে খাটি নোয়াখাইল্যা ভাষা। রুবেলের কান ঝালাপালা হওয়ার যোগাড়। সে রীতিমত স্ত্রীকে পাশ কাটাতে পারললেই বাচে। কিন্তু শিমু তো তাকে ছাড়ে না।
দিন দিন রুবেলের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে থাকে। অবশেষে সে কবিরাজের কাছ থেকে অষুধ নিয়ে নিজের কান নিজেই নষ্ট করে ফেলে। আহ শান্তি।
তত্তাবধায়ক সরকারের দুবছরের জেল রুপ জীবনে মানুষ শুধুই দীর্ঘনিশ্বাস ফেলছিল। কিভাবে এই দুর্গতি থেকে রক্ষা পাবে।
জীবন বিষিয়ে উঠছিল। এইসময় মানুষ ভাবছিল আহা গণতান্ত্রিক সরকার কত ভালো। ভাই তোরা তাড়াতাড়ি আয়।
মানুষ এতবেশি উচ্ছাস প্রকাশ করল মৃতমানুষ পর্যন্ত ভোট দেয়ার রেকর্ড পাওয়া গেল (নয়তো ৮৫ থেকে ১০৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয় ক্যামনে সেটা আমার যুক্তিতে বুঝে আসে না। অবশ্য চিটাগাং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট কাস্ট মাত্র ৫৪ ভাগ।
মনে হয় মৃত মানুষ সব আগ্রহ হারায় ফেলছে)
সে যাই হোক দেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল । গণতান্ত্রিক সরকার দেশের ক্ষমতায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু মানুষ পড়ল রুবেলের মত মহা গ্যাড়াকলে । সরকার জুলুম শোষন আর নির্যাতনে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। শুধুই তাই নয় তাদের জারজ সন্তানরা আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় ভালভাবেই গণতান্ত্রিক সরকারের সুপরিয়রিটি বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
যন্ত্রণায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অভাব যেভাবে সাধারণ মানুষকে যেভাবে অসহায় করে তুলেছে সেই ভাবে অসহায় করছে আজ বিচারকদেরকে। খুনের আসামীরা আজ বিচারক। কেউ জামিন পেলেই সরকার কোর্টের দরজা থেকে তাকে গ্রেফতার করে জানান দেয় ইউ আর গোয়িং ইন রং ট্র্যাক। ঢাকার রাজউক স্কুলের ছাত্র আজ রাজশাহীতে খুনের মামলার আসামী।
আহমেদ রুবেল তবুতো তাও একটা উপায় পেয়েছিল নিজের কান নষ্ট করে দিয়ে। এই দেশের মানুষের উপায় কি হবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।