www.theeconomist2011@yahoo.com
আমাদের অর্থমন্ত্রীর একহাতে বাশঁ আর এক হাতে তেলের শিশিঁ। তিনি বাশঁ দিবেন শেয়ার বাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। এটি তার এক ধরণের বিচার বলা যেতে পারে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কেন বিনিয়োগ করতে আসলো সেই অপরাধে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তো বলেছেনই ওরা চোর, ওদের জন্য তার হৃদয় কাদেঁনা।
অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীর হাতে আছে তেলের শিশিঁ, যা তিনি সযত্নে ব্যয় করিবেন শেয়ার বাজার থেকে যারা ২০ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন। বিদেশে পাচার করেছেন বলে জনশ্রুতি আছে-তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও থাকতে পারে, যা আমরা আমজনতা জানিনা। আরো জনশ্রুতি আছে এই পুকুরচুরির একটি অংশ নাকি বঙ্গবন্ধু গবেষণা ফাইন্ডেশনের ফান্ডে গিয়েছে। এই ফান্ডের অন্যতম উপদেষ্টা অর্থমন্ত্রী স্বয়ং আছেন, বিশেষ উপদেষ্টা আছেন দরবেশ নামে খ্যাত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সলেমান রহমান। মৃত দরিদ্র বঙ্গবন্ধুর ফান্ডের প্রধান চালক নাকি জয় নাতিজি।
তাহলে সমীকরনের বামপক্ষ=ডানপক্ষ হয়েই গেলো। আমেরিকা বর্তমানে স্বশরীরে গিয়ে কোথাও দেশ দখল করেনা, নিজ দেশে বসেই তা করা হয়। এটাই সাম্রাজবাদীদের বর্তমান দখলী নীতি। সে হিসাবে জয় নাতিজিরাও তাই করবেন, মহাজনদের দেখানো পথে-এ আর নতুন কিছু নয় এখন। মিথ্যাবাদীতার শিল্পে এদেশে আওয়ামী লীগ প্রথম এটা দেশবাসী জানে, ১০ টাকা কেজি চাল, ঘরে ঘরে চাকুরী, দিন বদলের স্বপ্ন-এসব তারই কয়েকটি নমুনা।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান শেয়ার বাজার নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ওরা সমাজের শত্রু। ওদের জন্য মাথা ঘামানোর দরকার নেই। তাদের কষ্টে আমার মন কাঁদে না(হয়ত অ্ন্যকোন দেশের জনগণের জন্য কাদেঁ)। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ভারতের কাছ থেকে ট্রানজিটের নামে টোল/ফি/শুল্ক চাওয়া অসভ্যতা। তাই আমার জিজ্ঞাসা, তাকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন, নাকি মনমোহন সিং নিয়োগ দিয়েছেন? তার কাছ থেকে রেহমান সোবহান, খলিকুজ্জামান, আতিউর রহমান, এম এম আকাশ, আবুল বারাকাতদের এখন সভ্যতাও শিখতে হচ্ছে।
এ রকম সভ্য মানুষ কি বাংলাদেশের জন্য বেশী প্রয়োজন? তাকে কি ভারতের পেইড বলা যাবেনা?
জনগণের সাথে প্রতারণা করে, দায়িত্বহীনতার সাথে দায়িত্বপালন ও হাসি হাসি মুখে কেলানোর সুযোগ আগামীতে আরও দুই/আড়াই বছর হয়ত পাওয়া যাবে। কিন্তু শেয়ার বাজারের দস্যুদের সাথে সরকারের আজ যে পিরিতি গর্ভধারণ করলো, তাকে গর্ভপাতের রিস্ক থেকে সরকার মহোদয় দায়মুক্তির অপচেষ্টা করছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা জানতেও পারলোনা, জানাতেও পারলোনা দেশবাসীকে কারা তাদের এই সবর্নাশ করলো। কিন্তু জনগণ এই পিরিতির গর্ভপাত ঘটাবে সময়ে। তখন আজকের ক্ষমতাসীনরা পাছা থাপড়ানোর সময়ও হয়ত পাবেনা।
কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হবে সাধারণ আওয়ামী লীগ সমর্থক কর্মীদের, তারা সরকার পরিবর্তন হলে এলাকা ছাড়া হবে, তাদের ঘরে ঘরে আগুনও জ্বলতে পারে। কিন্তু আজকের শেয়ারবাজারী দস্যুদের তখনও বন্ধু জুটে যাবে, তখনও শেয়ার বাজার থাকবে, তখনও তাদের লাভ নিশ্চিত হতেই থাকবে। আমাদের সাধারণ শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরা কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে কিছু টাকা যোগার করে হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের মরুভুমি কিংবা মালয়েশিয়ার জঙ্গলে রাত কাটাবে সাপ-বিচ্ছুর কামড় খেয়ে। সরকারকে অভিশাপ দিতে থাকবে। তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশন দেশব্যাপী ঝালমুড়ি খেয়ে বেড়াবে, পাছায় হাত মুছবে।
সরকার আগামী দিনগুলো মৌলবাদীদের গালাগালি(লোক দেখানো মাত্র) আর বিরোধী দলকে মামলা দিয়ে দৌড়ের উপর রাখবে। কতিপয় বটতলার উকিলরা জিয়া, তারেক জিয়াকে গালাগালি, চর, রাজাকার, চেতনাহীন ইত্যাদি বলে বলে সময় পার করবে।
জনগণের অভিসম্পাত পেতে পেতে সরকারের পাপের বুঝা বাড়তে বাড়তে ভারী হয়ে উঠবে। গিয়াস মামুন, তারেকদের নামে ব্যাপক দুর্নীতির যে অভিযোগ জনগণের মনে আছে তা আস্তে আস্তে ফিঁকে হয়ে যাবে, ক্লিন হয়েই তারেক রহমান আগামীতে বাংলাদেশে ফিরবে এবং তিনি আগামী বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হবেন, এটা নিশ্চিত হবে। তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্টে যাদের নাম এসেছে, তারা নাকি সরকারকে টলানোর ক্ষমতা রাখে, তাই ভাসুরদের নাম মুখে আনা যাবেনা।
ঠিক আছে, জনগণ যদি কোনদিন পারে এর জবাব দিবে, যেমন দিয়েছে মইন গংদের। প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেমের যে চেতনা আমরা দেখেছিলাম তাতে অলরেড়ি আলকাতরা দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রী ডিব্বা, ব্রাশ নিয়ে রেডি হয়েছেন। এখন অনেকটাই পরিস্কার কেন দুদককে ক্ষমতাহীন করা হচ্ছে, কেন দায়মুক্তির আইন দরকার পড়ছে-এসব বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। একটি সরকার ও তার উদ্দেশ্য কতটা অসৎ হলে তদন্ত কমিটিতে আসা অপরাধীদের নাম প্রকাশ করতে চায়না, তা দেশবাসী ও বিশ্ববাসী যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়-তাদের কাছে দিনের আলোর চেয়েও পরিস্কার। তাই মাঝে মাঝে অবাক হই, যখন সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও হানিফের মতো নেতারা বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও ড. ইউনুসদের চোর হিসাবে অভিহিত করে।
তখন মনে হয়, শুয়োরের মলমুত্র এদের মুখে গুজে দিই-যাতে কোনো সাউন্ড না করতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।