আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্রামীনফোনের শেয়ার বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে তালিকা ভূক্তি এবং আমাদের পাওয়া না পাওয়ার কিছু চিত্র।



ব্যাপারটা অর্থনৈতীক। আমি অর্থনীতি নিয়ে পড়িনি তাই আমার হিসাব ভুল হতে পারে। শেয়ার মার্কেটের সাথে জড়িত থাকায় এই কম্পানিটি নিয়ে মাঝে মাঝে মেতে উঠি। গ্রামীনফোনের বাৎসরিক হিসাব অনুযাই গত বৎসর তারা লাভ করেছে প্রায় ১৪৯৬ কোটি কাটা। নিয়ম অনুযায়ী তারা ৩৫% ট্যাক্স পরিশোধ করেছে।

অর্থাৎ তাদের লাভ হয়েছিল প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা। শেয়ার মার্কেটে তালিকা ভুক্তির কারনে তারা ট্যাক্স পরিশোধ করেছে ৩৫%। সকরারের আইন অনুযায়ী তালিকা ভুক্তির আগে তাদের লাভের উপর ৪৫% ট্যাক্স পরিশোধ করতে হয়েছে। অর্থাৎ হিসাবটা এই রকম। ক) ২৩০০ কোটি ৩৫% ট্যাক্স ৮০৫ কোটি টাকা সরকারকে দিতে হয়েছে শেয়ার মার্কেটে তালিকা ভুক্তির কারনে।

খ) ২৩০০ কোটি ৪৫% ট্যাক্স ১০৩৬ কোটি টাকা দিতে হতো যদি তারা শেয়ার মার্কেটে না আসতো। অর্থাৎ গ্রামীনফোনকে ২৩১ কোটি টাকা কম দিতে হয়েছে ১০% শেয়ার, শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধারন জনগন এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করার কারনে। গ্রামীনফোন এ বৎসর তাদের শেয়ার হোল্ডারদের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৬ টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছে সে হিসেবে তারা টোটাল শেয়ার ছেড়েছে ১৩ কোটি ৫১ লক্ষ্য অর্থাৎ তাদের সাধারন জনগনকে লভ্যাংশ দিতে হয়েছে প্রায় ৮১কোটি টাকার মত। সাধারন জনগনকে ৮১ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিতে হয়েছে বিধায় ২৩১ কোটি কাটা তাদের ট্যাক্স দিতে হয়নি। অর্থাৎ কম্পানির বেচে গেল ১৫০ কোটি টাকা।

যে টাকা দিয়ে তারা আরও দু্ই বৎসর লভ্যাংশ দিতে পারবে যদি এ বৎসরের হারে দেয়। অর্থাৎ কম্পানির টাকা দিতে হচ্ছে না। সরকারকে ট্যাক্স দিতো এখন সাধারন জনগনকে দিবে তাতেও কম্পানি লাভ থাকবে। গ্রামীনফোন ৬০ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়েছে। সে হিসেবে তারা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম নিয়েছে।

এই টাকা যদি তারা লভ্যাংশ দেয়ায় ব্যায় করে তবে তারা ১০ বৎসর লভ্যাংশ দিতে পারবে (এ বৎসর যে হারে দিয়েছে সে হারে দিলে)। অর্থাৎ আমাদের টাকা আমাদেরকেই দিতে পারবে দশ বৎসর। ট্যাক্স থেকে যে বেনিফিট পাবে তা বাদই দিলাম। কোন যুক্তিতে ৬০ টাকা পিমিয়াম করা হল শুধু বড় এবং নামী দামী কম্পানি এই জন্য?। লটারীর মাধ্যমে আমরা ৭০টাকা করে এ কম্পানির শেয়ার কিনেছি।

এই টাকা যদি আমরা ব্যাংকে রাখতাম প্রতি বৎসর ৭ টাকা করে লভ্যাংশ পওয়া যেত কিন্তু গ্রামিনফোরেন কাছ থেকে পেলাম ৬ টাকা। এর বেশী আর আমরা আসাও করতে পারিনা। এ বৎসর ৮০০ কোটি টাকা শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে লাভ করেছে তাই তাদের ই পি এস দাড়িয়েছে ১২ টাকা। আগামি বৎসর হয়ত ৭-৮ এ দাড়াবে। সে হিসেবে ২ থেকে ৫ টাকা লভ্যাংশ আসা করতে পারি।

আমার যুক্তিতে তারা বোনাস শেয়ার দিতে চাইবে না কারন শেয়ার সংখ্যা বারলে নগদ লভ্যাংশের টাকা বেশী দিতে হবে। এখন আসি আমরা কোন যুক্তিতে এ শেয়ার কিনছি। শেয়ার ব্যাবসা মানে বুদ্ধির খেলা। বুদ্ধির চালে ১০ জন কোটি পতি হচ্ছে ৯০ জন তার পুজি হারাচ্ছে। শেয়ার মার্কেটের সাথে যারা জড়িত আছেন নিচ্চই সবাই এ কম্পানির শেয়ার কিনেছেন এবং কম বেশী লাভবান হেয়েছেন।

কিন্তু সেটা কম্পানির কাছ থেকে পেয়ে নয়। আমাদেরই মাঝ থেকে এক জনার টাকা একজনে পাচ্ছি কিন্তু সেটা কতদিন। কিছু লোকতো লুজারে আছেই এবং থাকবে। আমরা যদি কোন কম্পানির শেয়ার কিনি তখন যদি এই হিসেব করে কিনি যে আমি এই কম্পারি মালিকানা কিনলাম অর্থাৎ এ কম্পানির আমি একজন অংশিদার। এই কম্পানির লাভই আমার লাভ সে হিসেবে গ্রামীনফোনের অবস্থান কোথায়।

বর্তমান মার্কেট দর হিসেবে ৩৫৯ টাকায় যদি আমি একটা শেয়ার কিনি কত বৎসর লাগবে আমার পুজি ঘরে আসতে তার পর লাভাবের হিসাব। বর্তমান মার্কেটে গ্রামীনফোনই মার্কেট নিয়ন্ত্রন করছে। মার্কেট ভাল না খারাপ বুঝা যাচ্ছে না। গ্রামীনফোনের শেয়ারের দাম বারলে ইনডেক্স বারছে আবার কমলে ইনডেক্স কমছে। গত কয়ের দিন পর্যন্ত সব ব্যাংক মিলিয়ে দেলদেন হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার মত সেখানে এক মাত্র গ্রামীনফোনের লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

এই গ্রামীনফোন কি সত্যি আমাদের আশিরবাদ নাকী অভিশাপ। যেমন বর্তমান মার্কেটে এক একটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মত এবং তাদের ই পি এস ৩০ থেকে ৬০ টাকার মত সে হিসেবে শত করা ১৫%-২০% লাভ পাওয়া যাবেই ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে বেশী। কিন্তু এ হিসেবে গ্রামীনফোনকে কোথায় দারকরাতে পারি। যানি আমার এ হিবেবে শেয়ার মার্কেটের শেয়ার বেচা কেনা হয়না। কিন্তু তারপরওতো হিসাব নিকাশ করে শেয়ার কিনতে হয়।

শেয়ারব্যাবসায়ী এবং অর্থনীতিবিদদের কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ্ব চাচ্ছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.