একজন চরম বোরিং মানুষ, কোন এক্সসাইটমেন্ট নাই আমার মাঝে। চিল্লাপাল্লা ভালো লাগেনা।
বিশ্বকাপ ফুটবলে সেই অক্টোপাস পল কে নিয়ে কত মাতামাতি। তার কথায় তখন তাবৎ দুনিয়া চলছে। ক্রিকেট তাহলে পল মুক্ত থাকবে কেন।
ক্রিকেটের পল রা কিন্তু তাই বলে দশ পা ওয়ালা কোন প্রানী নয়, বরং আমার আপনার মতই দুই হাত পা ওয়ালা মানুষ। ফুটবলের মত খালি জয় পরাজয় নির্ধারন করেই তারা বসে ছিলেন না, তাদের করতে হয়েছে প্রতিটি বলের হিসেব। আর সেই পলের রাজত্ব বসে ছিল যে ক্যাম্পাসে তা হল বগুড়া মেডিকেল কলেজ। পল অব দা টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে পল অব দা ফাইনাল, পল অব দা ম্যাচ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাচের মধ্যে চলেছে অঘোষিত যুদ্ধ।
প্রথম দিকে তেমন সাড়া না থাকলেও দিন যত যায় ততই যেন বেড়ে যাচ্ছিল পলের সংক্রমন।
ক্লাসের চশমা পড়া ছেলেটা সেও কেন জানি উদাস মনে খেলা দেখছে, তার মনে একটাই দোয়া, যুবরাজ যেন ১৪১ রানটি নেন। নেবার সাথে সাথেই তার চিৎকার। পরবর্তীতে রিফিল পেলে তো কথাই নেই। সারা মাস জুড়ে এরকম অসংখ্য হাড়কাপানো উত্তেজনা বিরাজ করেছে আমাদের মাঝে। প্রতিটি খেলার আগের রাত থেকে শুরু হত চুলচেরা বিশ্লেষন- কে টস জিতবে, আগে কে কত রান করেছে, এমনকি কে কোন ওভারে বল করতে পারে তা নিয়ে চলেছে নানা জল্পনা কল্পনা।
সৃষ্টি হয়েছে নানা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞের। ক্লাসের পিছনে বসে আছেন, হঠাত আপনি দেখলেন একটা কয়েন অল্প করে আকাশে উড়ল, বুঝে নিবেন কোন কঠিন একটা ভাগ্য নির্ধারন চলছে। আর খেলা শেষে পলকে ঘিরে মিছিল।
মেডিকেল এর ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে সবসময়ি একটা খারাপ কথা প্রচলিত যে, এরা পড়াশুনা বাদে কিছু একটু কম পারে। এই পল দিয়েই তারা প্রমান করেছে যে, তারা যেমন খেলা বুঝে তেমনি ভাগ্য তাদের বুঝে।
সবশেষে ধন্যবাদ দিবো ১৬ তম ব্যচের নুরুল ভাইকে, যিনি দিনরাত ভাগ্য দেবীর সাথে খেলা খেলে পল অব দা টুর্নামেন্ট হয়েছেন, ১৮ তম ব্যচের শাহীন- পল অব দা ফাইনাল। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের পল অব দা ম্যাচঃ যাদের নাম বলতে শুরু করলে অনেক হয়ে যাবে। তবে আরেকটা কথা বাংলাদেশের ৭৮ রানে আউট হবার কারন ঠিক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল কিনা জানিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।