আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হলিউড দেবী ডেইম এলিজাবেথ টেইলর: শেষ পর্ব

বুকের ভেতর বহু দূরের পথ...
তৃতীয ও শেষ পর্বে রয়েছে এলিজাবেথ টেইলর অভিনীত ৮টি চলচ্চিত্র নিয়ে সংক্ষিপ্ত রিভিউ। হলিউড দেবী ডেইম এলিজাবেথ টেইলর: পর্ব ১ হলিউড দেবী ডেইম এলিজাবেথ টেইলর: পর্ব ২ A Place in the Sun (1951) Directed by George Stevens Starring- Montgomery Clift Elizabeth Taylor Shelley Winters এলিজাবেথের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় জর্জ স্টিভেন্সের ‘এ প্লেস ইন দ্য সান’ ছবিটি। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প। ৬টি বিভাগে অস্কার জিতে চলচ্চিত্রটি লাইব্রেরী অব কংগ্রেস ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে জায়গা করে নেয়। ফুটনোট: এখনও দেখিনি Giant (1956 film) Directed by George Stevens Starring- Elizabeth Taylor Rock Hudson James Dean জর্জ স্টিভেন্সের রোমান্টিক-এপিক ঘরানার ছবি ‘জায়ান্ট’ এ টেইলরের সহশিল্পী ছিলেন রক হাডসন আর জেমস ডিন।

ডিন আর রকের পারবারিক শত্রুতা ও প্রতিশোধ এ ছবির মূল বিষয়। ডিন ছবিটি মুক্তির কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। রক হাডসন বাস্তব জীবনে টেইলরের খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এইডসে আক্রান্ত হয়ে রক মারা গেলে টেইলর খুবই মর্মাহত হন। তার এইডস প্রতিরোধ বিষয়ক আন্দোলনে রকের মৃত্যু বড় ভুমিকা রেখেছে।

অস্কারে ১০টি মনোনয়ন পেলেও শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে অস্কার পায় ছবিটি। ফুটনোট: আসল টেইলরকে খুঁজে পাইনি এ মুভিতে। সৌন্দর্য ছড়িয়েছেন তবে অভিনয়ের পারঙ্গমতা তখন চৌকস হয়ে উঠেননি বলেই মনে হয়েছে। তবে ছবিটি বেশ ভালো। Suddenly, Last Summer (1959) Directed by Joseph L. Mankiewicz Starring Elizabeth Taylor Katharine Hepburn Montgomery Clift ‘সাডেনলি লাস্ট সামার’ ছবির জন্য টানা তৃতীয়বারের মত অস্কার মনোনয়ন পান টেইলর।

সাইকোলজিতক্যাল ড্রামা ঘরানার এ ছবিটিতে টেইলর অভিনয় করেছেন কাজিনের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্যহীন একজন নারীর চরিত্রে। এ ছবিতে হবু স্বামী এডি ফিশার খুব ছোট্ট একটি ভূমিকায় অভিনয় করেন। ক্রেডিট লাইনে তার নামও ছিলোনা। সহশিল্পী হিসেবে আরো ছিলেন আরেক হলিউড কুইন ‘ক্যাথরিন হেপবার্ন’। টেইলর গোল্ডেন গ্লোব জেতেন এ ছবির জন্য।

ফুটনোট: ভালোই ছবিটা। টেইলরের চেয়ে অনেক বেশি আলো ছড়িয়েছেন হেপবার্ন। BUtterfield 8 (1960) Directed by Daniel Mann Starring Elizabeth Taylor Laurence Harvey Eddie Fisher টানা চতুর্থবারের মত মনোনয়ন পাওয়ার পর অবশেষে এ ছবিটির জন্য প্রথম অস্কার পান টেইলর। টেইলর স্বামী এডি ফিশারও গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। আর টেইলর অভিনয় করেন পতিতার ভূমিকায় যিনি বিবাহিত এক পুরুষের প্রেমে পড়ে যান।

মুভিটিতে ছোটবেলা থেকেই পিতৃহীন টেইলর পুরুষের প্রতি একই সাথে আকর্ষন ও ঘৃণা অনুভব করেন। এ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে জীবনের প্রথম অস্কারটি জুটলেও টেইলর-ফিশার জুটির কাছে চলচ্চিত্রটি ছিলো খুবই অপছন্দের। বাটারফিল্ড ৮ এর জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোবও জেতেন। ফুটনোট: পাকা অভিনয় যাকে বলে আর কী। একটি ব্যাপার লক্ষনীয় সময়ের সাথে সাথে টেইলর নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়।

Cleopatra (1963) Directed by Joseph L. Mankiewi Starring Elizabeth Taylor Richard Burton Rex Harrison ১৯৬৩ সালে মুক্তি পেলো ‘ক্লিওপেট্রা’ আর বক্স অফিসে সৃষ্টি করলো ইতিহাস। এ চলচ্চিত্রটি দিয়েই বার্টন-টেইলর প্রেমের সূত্রপাত ঘটে । ৪৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এ এপিক মুভিটি তৎকালীন সময়ে সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য প্রযোজকের সঙ্গে টেইলর রেকর্ড এক মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিকের চুক্তি করেন। ৯টি বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পেয়ে ৪টি অস্কার পায় চলচ্চিত্রটি।

ফুটনোট: এ চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে আলাদা করে আসলে কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয়না। এ ছবি দেখেই তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। ঐতিহাসিক চরিত্র ক্লিওপেট্রা মানেই আমাদের কাছে এখন এলিজাবেথ টেইলর। ইতিহাসে ক্লিওপেট্রা চরিত্রটি সৃষ্টিই হয়েছিলো যেনো টেইলর এ ভূমিকায় অভিনয় করবেন বলে। এক কথায় অনবদ্য! Who's Afraid of Virginia Woolf? (1966) Directed by Mike Nichols Starring- Elizabeth Taylor Richard Burton অ্যাডওয়ার্ড আলবির নাটক অবলম্বনে নির্মিত মাইক নিকোলসের অভিষেক চলচ্চিত্র ‘হু’জ অ্যাফরেইড অফ ভার্জিনিয়া উলফ’ এলিজাবেথকে এনে দেয় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অস্কার।

বার্টন মনোনয়ন পেলেও জিততে পারেননি। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর অস্কারসহ মোট ৫টি বিভাগে অস্কার জিতে নেয় এ মুভিটি। মাত্র এক রাতের গল্প। চরত্রি মোটে ৪টি। টেইলর-বার্টন দম্পতির সঙ্গে নতুন এক দম্পতির কথোপকথন দিয়ে উঠে আসে তাদের জীবনের নানা দিক।

অনেক বেশি মনস্তাত্ত্বিক ছবি। সংলাপধর্মী শক্তিশালী ছবির তালিকায় সব সময় উপরের দিকে থাকবে এ মুভিটি। ফুটনোট: আভিনয়ের দিক থেকে এটিই মনে হয় টেইলরে সেরা কাজ। এত পাওয়ারফুল আভিনয়!!!! বার্টনও কম যাননি। পাল্লা দিয়ে আভিনয় করেছেন।

Secret Ceremony (1968) Directed by Joseph Losey Starring Elizabeth Taylor Mia Farrow Robert Mitchum ‘সিক্রেট স্রিমনি’ ছবিতে টেইলর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত একজন পতিতার ভূমিকায় অভিনয় করেন যিনি একাকীত্বে ভুগতে থাকা অল্পয়স্ক এক নারীর (মিয়া ফেরোউ) সঙ্গে অদ্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে যান। এ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে। বক্স অফিস একবারে মুখ থুবড়ে না পড়লেও দর্শক-সমালোচকদের বেশ বড় একটা অংশের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ফুটনোট: এ ছবির প্রাণ মূল ভুমিকায় দুই নারীর অভিনয়। Hammersmith Is Out (1972) Directed by Peter Ustinov Starring Elizabeth Taylor Richard Burton Peter Ustinov সাইকোলজিক্যাল কমেডি ধারার এ চলচ্চিত্রটি গ্যেটের বিশ্ববিখ্যাত নাটক ' ফাউস্ট ' থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত।

এ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর 'সিলভার বিয়ার্স' জিতে নেন টেইলর। ফুটনোট: এখনও দেখিনি। ছবিটিতে নাকি টেইলর দুর্দান্ত নৈপূণ্য দেখিয়েছেন। সমালোচকদের অনেকের মতে এটিই তার জীবনের সেরা কাজ।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।