মনেরে আজ কহযে, ভাল মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে। গতকাল পল্টনে যা ঘটলো তার এক এক রকম ব্যখ্যা করেছে এক এক দল। আওয়ামী লীগ সমর্থক প্রশাসনের দাবী এটা জামায়াত এর ইন্ধনে ঘটেছে। বিএনপির দাবী এটা আওয়ামী সমর্থক পুলিশের অসহিষ্ণুতার ফল। আমরা সাধারণ মানুষ কোনটা বিশ্বাস করবো? আমি মনে করি আমাদের দুইটি রাজনৈতিক দলই তাদের কদর্য রূপ এতটা দেখিয়েছে যে দুটি অভিযোগই সত্য হতে পারে।
কিন্তু আমার সমস্যা হচ্ছে এতে লাভ হল আবারও জামায়াত এর। রাজাকারদের বিচার আর জামায়াত নিষিদ্ধ করার যে গণদাবীতে সারা দেশ সোচ্চার, তা থেকে diversion কিন্তু চলছে খুবই নিপুণতার সাথে।
শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের যে জাগরণ, তাতে সরকার তথা আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়ে যতটুকু বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে, বিএনপি তা থেকে দূরে থেকে ততটুকু নির্বুদ্ধিতা বা জামায়াত/ রাজাকার সমর্থনের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সরকারের অবস্থান আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তারা যেখানেই যা ঘটুক, দোষ চাপাতে চাচ্ছে বিএনপির উপর।
তাদের কথাবার্তায় দেখা যাচ্ছে তারা বিএনপিকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ দেশের এই নইরাজ্যময় পরিস্থিতির জন্য মূলত জামায়াত দায়ী, বিএনপি পার্শ্বচরিত্র। সরকারের মনোভাব দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার ধরেই নিয়েছে, জামায়াতকে অনেকটা দুর্বল করা গেছে, এখন বিএনপিকে বিপাকে ফেলতে পারলেই পরবর্তী নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগ কি আমাদের ছাগল পেয়েছে? তারা যদি এইটা না বুঝে যে এই জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন, শুধু ভোটের রাজনীতি করে আর পার পাবে না, তাহলে তাদের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না। পরের বার ক্ষমতায় আসার একমাত্র উপায় রাজাকারদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করা, জামায়াত এর ধ্বংসলীলা বন্ধের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, জামায়াত নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করা।
সরকার একটি বিরাট প্রতিষ্ঠান। তাদের অনেক দায়িত্ব থাকতে পারে। কিন্তু তারা যেন ভুলে না যায় যে তাদের ক্ষমতায় আসার পিছনে অন্যতম কারণ রাজাকারদের বিচারের অঙ্গীকার করা। এটা নিয়ে কোন টালবাহানা আমরা সৈহ্য করবো না।
[এই লেখাটা লিখতে লিখতে আমার আফসোস হচ্ছে যে আজকের দিনে ৭ই মার্চ বা হুগো শ্যাভেজ নিয়ে কিছু না লিখে নোংরা রাজনীতি নিয়ে লিখছি।
কিন্তু কি আর করা, এখন সময়ের দাবী রাজাকারের বিচার নিশ্চিত করা। অন্য সব বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে। আগে হল- "একটাই দাবী, রাজাকারের ফাঁসী"। ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।